মাদারীপুর সদর হাসপাতালে আগুন; বড় ধরণের দুর্ঘটনা থেকে রক্ষা
২৫০ শয্যা বিশিষ্ট মাদারীপুর সদর হাসপাতালের ৫ম তলার শিশু ওয়ার্ডে রোগীর টেবিল ফ্যান থেকে আগুন লাগার ঘটনা ঘটে। সোমবার (৪ সেপ্টেম্বর) ভোর পাঁচটার দিকে আগুন লাগে। এতে তেমন কোন ক্ষয়ক্ষতি হয় নাই।
সরেজমিনে গিয়ে জানা যায়, সদর উপজেলার ত্রিভাগদী এলাকার রুমা আক্তার ৬দিন আগে বাচ্চা ভর্তি করিয়েছেন। প্রচণ্ড গরম থাকায় বাসা থেকে টেবিল ফ্যান এনে ব্যবহার করছেন। আজ হঠাৎ ফ্যানের ত্রুটি থেকে আগুন লেগে বেড, মশারি, বাচ্চাসহ তার জামাকাপুড় পুড়ে যায়। পরে অন্য এক রোগী এসে আগুন নির্বাপন যন্ত্র দিয়ে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনে।
কুনিয়ার এলাকার শিশু রোগীর বাবা আসাদুল্লাহ জানান, ভোর বেলা আগুন লাগার পর জরুরী বিভাগের সামনে ফায়ার এক্সটিঙ্গুশ এনে আগুন নিভাতে সক্ষম হই। তিনি আরও জানান, এখানে পযাপ্ত পরিমাণে ফায়ার এক্সটিঙ্গুশ নাই। যা আছে শতকরা ৮০ ভাগ নষ্ট এবং মেয়াদীর্ণ।
শিশু ওয়ার্ডের সিনিয়র স্টাফ নার্স ইতু বৈরাগী জানান, ঘটনাটি ঘটেছে ভোর পাঁচটায় আমি ডিউটিতে আসছি সকাল ৮টায়। এসে দেখলাম ডেঙ্গু ইউনিটে এই ঘটনাটি ঘটছে। ওই রোগী টেবিল ফ্যান অন করে ঘুমিয়েছিল। পরে ওই ফ্যান থেকে আগুন লাগে। এতে বেশি কিছু ক্ষতি হয় নাই শুধু ম্যাট্রেস পুড়েছে। আমরা সবাইকে মৌখিক ভাবে জানিয়েছিলাম কোন চার্জার বা টেবিল ফ্যান ব্যবহার করা যাবে না। আমরা নতুন করে নোটিশ টানিয়েছি এসব বৈদ্যুতিক যন্ত্র ব্যবহার নিষেধ করেছি।
এবিষয়ে সিভিল সার্জন ডা: মুনীর আহমেদ খান বলেন, শিশু ওয়ার্ডের উপরে সিলিং ফ্যান থাকার পরও এক রোগী নিম্নমানের একটি টেবিল এনে ব্যবহার করার ফলে ভোর বেলা আগুন লাগে। আল্লাহর রহমতে বড় ধরণের ক্ষতি হয় নাই। শুধুমাত্র বেড ও মশারি পুড়ে গেছে। অন্য এক রোগী থাকায় তিনি অগ্নি নির্বাপন মেশিন দিয়ে আগুন নিয়ন্ত্রণে এনেছে। এছাড়াও ফায়ার সার্ভিসের লোকজন এসে দেখেছে। কোন সমস্যা নাই। ভবিষ্যতে আমরা সবাইকে সতর্ক করে দিয়েছি এবং এসব ফ্যান চার্জার হিটার ব্যবহার করার বিষয়ে সতর্ক নোটিশ টাঙ্গিয়ে দিয়েছি।
এই রকম সংবাদ আরো পেতে হলে এই লেখার উপরে ক্লিক করে আমাদের ফেসবুক ফ্যান পেইজে লাইক দিয়ে সংযুক্ত থাকুন। সংবাদটি সম্পর্কে মন্তব্য করতে হলে এই পেইজের নীচে মন্তব্য করার জন্য ঘর পাবেন