মাদারীপুরে ইতালি প্রবাসীর স্ত্রী ২০ লক্ষ টাকা ও স্বর্ন নিয়ে প্রেমিকের সাথে উধাও
মাদারীপুরে এক ইটালী প্রবাসীর স্ত্রী স্বর্ণালঙ্কারসহ ২০ লাখ টাকা নিয়ে পরকীয়া প্রেমিকের সাথে পালিয়ে যাওয়ার অভিযোগ পাওয়া গেছে। ঘটনাটি সদর উপজেলার কালিকাপুর ইউনিয়নের চরনাচনা গ্রামে ঘটেছে। এই ঘটনায় ভুক্তভোগী স্বামী তার পালিয়ে যাওয়া স্ত্রী ও তার প্রেমিকের বিরুদ্ধে সদর মডেল থানায় একটি অভিযোগ দায়ের করেছেন।
পুলিশ বলছে, বিষয়টি তদন্ত করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে। অপরদিকে ইউপি চেয়ারম্যান জানিয়েছেন, পরিষদে কোন পক্ষ অভিযোগ দিলে দুই পক্ষকে পরিষদে ডেকে এনে সমাধানের উদ্যোগ নেওয়া হবে।
মাদারীপুর থানার লিখিত অভিযোগ থেকে জানা গেছে, মাদারীপুর সদর উপজেলার কালিকাপুর ইউনিয়নের চরনাচনা গ্রামের বারেক ফকিরের ইটালী প্রবাসী ছেলে আমিনুল ইসলামের সাথে আত্মীয়তার সূত্রে হোসনাবাদ গ্রামের হাফেজ বেপারীর মেয়ে বৃষ্টি আক্তারের সাথে ২০১৯ সালের ৫ এপ্রিল পারিবারিক ভাবে বিয়ে হয়। বিয়ের পরে আমিনুল ইসলাম ইটালী প্রবাস জীবন কাটায়। এ সময় স্ত্রীকে ভালোবেসে আমিনুল ইটালী থেকে স্ত্রীর কাছে নিয়মিত ভাবে টাকা পাঠাত, যা তার স্ত্রীর নিজের নামে ব্যাংক হিসাবে জমা রাখতেন। আমিনুলও সরল বিশ্বাসে স্ত্রীর ব্যাংক হিসাবে টাকা রাখতে সম্মতি দেয়। এভাবে চলতে থাকে তাদের সংসার জীবন। এরমধ্যেই তার স্ত্রী বৃষ্টি আক্তার কৌশলে আমিনুলের টাকায় নিজের ভাই বিল্লাল হোসেন বেপারীকেও ইটালীতে পাঠায়। এরই মধ্যে আমিনুলের স্ত্রী বৃষ্টি আক্তার নোয়াখালী জেলার শাওন হোসেন নামের এক তরুণের সাথে মোবাইল ফোনের মাধ্যমে পরকীয়া প্রেমে জড়িয়ে পড়ে। সেই পরকীয়া প্রেমের জেরে ইটালী থেকে আমিনুলের বিভিন্ন সময়ে পাঠানো স্বর্ণালঙ্কারসহ ২০ লাখ টাকা নিয়ে গত ৪ সেপ্টেম্বর নোয়াখালীর শাওন হোসেন নামের প্রেমিকের সাথে পালিয়ে যায়। পরে নোয়াখালীর আদালতের মাধ্যমে এফিডেভিডের করে আমিনুল ইসলামকে তালাকের নোটিশ বৃষ্টি আক্তার পাঠায়। পরে কোন উপায়ন্ত না পেয়ে ভুক্তভোগী স্বামী আমিনুল ইসলামের মা মোসাম্মা রিজিয়া বেগম তার স্ত্রী বৃষ্টি আক্তারের বিরুদ্ধে স্বর্ণালঙ্কারসহ ২০ লাখ টাকা ফেরতের প্রতিকার চেয়ে সদর থানায় একটি অভিযোগ দায়ের করেন।
অভিযোগকারী মোসাম্মাত রিজিয়া বেগম বলেন, আমাদের সর্বশান্ত করে বৃষ্টি টাকা পয়সা ও স্বর্ণালঙ্কার নিয়ে পরকীয়া প্রেমিকের সাথে পালিয়ে গেছে। আমার ছেলে ইটালীতে থাকে, তার সরলতার সুযোগ নিয়ে বৃষ্টি বেঈমানী করেছে। আমরা এর প্রতিকার চাই।
এই বিষয়ে জানতে চাইলে কালিকাপুর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান বাবুল ফকির বলেন, ‘এই বিষয়ে এখনো আমাদের পরিষদে মেয়ে কিংবা ছেলের পরিবারের পক্ষ থেকে জানায়নি। যদি কোন পক্ষ আমাদের পরিষদকে বিষয়টি অবহিত করে তাহলে দুই পক্ষকেই পরিষদে এনে সমাধানের উদ্যোগ নেওয়া হবে।
তবে, মাদারীপুর সদর থানার ওসি মনোয়ার হোসেন চৌধুরী জানিয়েছেন, ইটালী প্রবাসী আমিনুলের স্ত্রী পালিয়ে যাওয়া নিয়ে থানায় একটি লিখিত অভিযোগ পেয়েছি। বিষয়টি আমরা তদন্ত করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করবো।
এই রকম সংবাদ আরো পেতে হলে এই লেখার উপরে ক্লিক করে আমাদের ফেসবুক ফ্যান পেইজে লাইক দিয়ে সংযুক্ত থাকুন। সংবাদটি সম্পর্কে মন্তব্য করতে হলে এই পেইজের নীচে মন্তব্য করার জন্য ঘর পাবেন