মানিকগঞ্জের সিংগাইরে জনপ্রতিনিধিরা আত্মগোপনে, নাগরিক সেবা ব্যাহত
ছাত্র- জনতার আন্দোলনের মুখে শেখ হাসিনার পদত্যাগ ও দেশ ছাড়ার পর মানিকগঞ্জের সিংগাইর উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান,ভাইস চেয়ারম্যান, পৌর মেয়র,কাউন্সিলর ও বেশীরভাগ ইউপি চেয়ারম্যানসহ রাজনৈতিক নেতৃবৃন্দ আত্মগোপনে চলে যান । এতে সংশ্লিষ্ট দপ্তর ও ওয়ার্ডের নাগরিক সেবা ব্যাহত হচ্ছে । ফলে, চরম দুর্ভোগের শিকার হচ্ছেন সেবা গ্রহীতারা।
বৃহস্পতিবার ( ১৫ আগস্ট)ইউনিয়ন ঘুরে খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, উপজেলার ১১ টি ইউনিয়নের মধ্যে সদর ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান ছাড়া বাকি সবগুলো ইউপি চেয়ারম্যানই আওয়ামীলীগ সমর্থিত । এর মধ্যে বলধারা ইউপি চেয়ারম্যান আব্দুল মাজেদ খান পদত্যাগ করে সদ্য সমাপ্ত উপজেলা নির্বাচনে অংশ নেন । ভারপ্রাপ্ত হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন প্যানেল চেয়ারম্যান মো. হযরত আলী ।
শেখ হাসিনা সরকারের পদত্যাগের পর থেকে গা ঢাকা দেয়া ইউপি চেয়ারম্যানদের তালিকায় রয়েছেন – মো. রমজান আলী, দেওয়ান জিন্নাহ লাঠু,শেখ জাহিদুল ইসলাম ভূঁইয়া, ইঞ্জি: শাহাদৎ হোসেন, দেওয়ান মো. রিপন, গাজী কামরুজ্জান, শওকত হোসেন বাদল,আবুল হোসেন মোল্লা ও আব্দুল হালিম।এসব জনপ্রতিনিধিরা পরিষদে না থাকায় ব্যাহত হচ্ছে জন্মনিবন্ধন,মৃত্যু সনদ,বাসাবাড়ির নকশা অনুমোদনসহ বিভিন্ন নাগরিক সেবা কার্যক্রম ।
বেশীরভাগ ইউনিয়ন পরিষদের একাধিক সেবাগ্রহীতার সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, পরিষদে চেয়ারম্যান না থাকায় নাগরিক সেবা নিয়ে তারা বিপাকে পড়েছেন । এ জনদুর্ভোগ নিরসনে চেয়ারম্যান – ইউপি সদস্য ছাড়াও অন্যান্য জনপ্রতিনিধিদের দ্রুত কার্যালয়ে ফেরার দাবী জানান ভুক্তভোগীরা । বায়রা ইউপি চেয়ারম্যান দেওয়ান জিন্নাহ লাঠু বলেন,গভর্নমেন্ট যেদিন থেকে বলবে সেদিন থেকেই অফিস করবো। চান্দহর ইউপি চেয়ারম্যান শওকত হোসেন বাদল বলেন,দেশের অস্থিতিশীল পরিস্থিতির জন্য গত এক সপ্তাহ অফিস করা হয়নি, ইউএনও স্যারের সঙ্গে কথা হয়েছে রোববার থেকে যাব।
এ ব্যাপারে সিংগাইর উপজেলা নির্বাহী অফিসার পলাশ কুমার বসু বলেন,সরকারি আদেশ অনুযায়ী উপজেলা পরিষদ ও ইউপি কার্যালয়ে অনুপস্থিত জনপ্রতিনিধিদের তালিকা করে উর্ধতন কর্তৃপক্ষ বরাবর পাঠানো হবে ।
এই রকম সংবাদ আরো পেতে হলে এই লেখার উপরে ক্লিক করে আমাদের ফেসবুক ফ্যান পেইজে লাইক দিয়ে সংযুক্ত থাকুন। সংবাদটি সম্পর্কে মন্তব্য করতে হলে এই পেইজের নীচে মন্তব্য করার জন্য ঘর পাবেন