মানিকগঞ্জের সিংগাইরে সড়ক নষ্ট করে পাইপ লাইনের মাধ্যমে বালু ফেলে পুকুর ভরাট
মানিকগঞ্জের সিংগাইর উপজেলার ধল্লা-ফোর্ডনগর সড়ক নষ্ট করে স্থাপন করা হয়েছে বালু নেয়ার পাইপ লাইন। আর এ পাইপ লাইনের মাধ্যমে বালু ফেলে ভরাট করা হচ্ছে পুকুর। ফলে, সড়কটিতে যান চলাচলে বিঘ্ন ঘটার পাশাপাশি অবৈধভাবে পুকুর ভরাট নিয়ে স্থানীয় বাসিন্দাদের মধ্যে চাপা ক্ষোভ বিরাজ করছে।
সোমবার (৭ অক্টোবর)সকাল ১১ টার দিকে সরেজমিন জানা গেছে, ধল্লা নর্দান পাওয়ার প্ল্যান্ট সংলগ্ন ধল্লা মৌজায় সরকারি পাকা সড়ক নষ্ট করে বালু নেয়ার জন্য স্থাপন করা হয়েছে দীর্ঘ পাইপ লাইন। সড়কে উঁচু ও বৃহদাকারে নির্মাণ করা হয়েছে গতিরোধক। এতে প্রতিদিন যানবাহন চলাচলেও প্রতিবন্ধকতার সৃষ্টি হচ্ছে।
গত ১৫ দিন ধরে ধলেশ্বরী নদীতে বালু ভর্তি বুলগেট থেকে দীর্ঘ পাইপ লাইন টেনে বালু ফেলে ভরাট করা হচ্ছে পুকুর। এ অবৈধ কর্মযজ্ঞে একদিকে যেমন পাকা রাস্তার ক্ষতি এবং যানচলাচলে প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি হচ্ছে অন্যদিকে,সরকারি নিয়মনীতি উপেক্ষা করে অবৈধভাবে ভরাট করা হচ্ছে পুকুর। নষ্ট হচ্ছে পরিবেশ।
স্থানীয়দের সাথে কথা বলে জানা গেছে, পার্শ্ববর্তী ফোর্ডনগর গ্রামের ইকবাল হোসেন শামীম (শামীম নেতা) তার লোকজন সানজিদুল,শাকিলসহ আরো ৪/৫ জনকে দায়িত্ব দিয়ে অবৈধভাবে এ পুকুর ভরাটের কাজটি করছেন। এ কাজে সরকারি পাকা রাস্তার পাশাপাশি অন্য রাস্তায়ও বসানো হয়েছে পাইপ। এতে এলাকাবাসী চলাচলে ভোগান্তির শিকার হচ্ছেন।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক আশপাশের একাধিক ব্যক্তি অভিযোগ করে বলেন, দীর্ঘদিন ধরে প্রকাশ্যে এমন কর্মযজ্ঞ চললেও প্রশাসনের পক্ষ থেকে জড়িতদের বিরুদ্ধে নেয়া হচ্ছে না কোনো আইনি ব্যবস্থা। ফলে, তাদের ভূমিকা নিয়ে নানা প্রশ্ন দেখা দিয়েছে। জড়িতরা এলাকার প্রভাবশালী হওয়ায় তাদের বিরুদ্ধে কেউ মুখ খুলতে সাহস পাচ্ছেন না বলেও জানান তারা।
পুকুর ভরাটের দায়িত্বে থাকা সানজিদুলকে স্পটে গিয়ে পাওয়া যায়নি। তার মোবাইল ফোনে একাধিকবার যোগাযোগের চেষ্টা করলেও তিনি রিসিভ করেননি।
অভিযুক্ত ইকবাল হোসেন শামীম (শামীম নেতা) বলেন,আমি ১২৪ শতাংশ জমি বায়না করেছি। জায়গাটা নিচু হওয়ায় মুন্সিগঞ্জ থেকে বুলগেটে করে বালু কিনে এনে পাইপ লাইন টেনে জায়গা ভরাট করছি। এটা অবৈধ কোনো কাজ না। চাষাবাদের জন্য জমিটি উপযোগী করছেন বলেও জানান তিনি।
সিংগাইর উপজেলা এলজিইডি ইঞ্জিনিয়ার মো.ইসমাইল হোসেন বলেন,প্রথমে আমি নোটিশ করবো পরবর্তীতে এসিল্যান্ডের সঙ্গে কথা বলে আইনগত ব্যবস্থা নেব।
এ ব্যাপারে সিংগাইর উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) মো. হাবিবুর রহমান খাঁন বলেন, সরকারি সড়ক নষ্ট ও অনুমতি না নিয়ে পুকুর ভরাট অপরাধ। আমি নায়েবকে পাঠিয়ে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিচ্ছি।
এই রকম সংবাদ আরো পেতে হলে এই লেখার উপরে ক্লিক করে আমাদের ফেসবুক ফ্যান পেইজে লাইক দিয়ে সংযুক্ত থাকুন। সংবাদটি সম্পর্কে মন্তব্য করতে হলে এই পেইজের নীচে মন্তব্য করার জন্য ঘর পাবেন