‘মানুষকে জানোয়ারের মতো জঙ্গলে দিকে ঠেলে দিয়েছে সু চি’
মিয়ানমারে গণহত্যা ও সন্ত্রাস তদন্তে গঠিত নাগরিক কমিশন’র সদস্যরা বলেছেন- অং সান সু চি’র ভূমিকা মানবতাবিরোধী ভূমিকা। সু চি মানুষকে জঙ্গলের দিকে ঠেলে দিয়েছে। জীব-জন্তু ও জানোয়ারদের যেভাবে ব্যবহার করা হয়, তার চেয়েও রোহিঙ্গাদের সঙ্গে খারাপ আচরণ করেছে তারা। আসলে তারাই জানে কেন এই মানুষগুলোর উপর নির্মম অত্যাচার করেছে। এই রকম নিষ্ঠুর অত্যাচার পৃথিবীর ইতিহাসে খুব কমই হয়েছে।
নাগরিক কমিশন দুই দিন ধরে কক্সবাজারের উখিয়া ও টেকনাফের বিভিন্ন রোহিঙ্গা ক্যাম্প পরিদর্শন শেষে রোববার সংবাদ সম্মেলনে এসব কথা বলেন।
দুপুরে কক্সবাজার জেলা প্রশাসকের সম্মেলন কক্ষে সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন কমিশনের সদস্যসচিব ও সুপ্রীম কোর্টের আপিল বিভাগের অবসরপ্রাপ্ত বিচারপতি এএইচএম শামসুদ্দিন চৌধুরী মানিক।
তিনি বলেন, আমরা চাই মিয়ানমারে হত্যাযজ্ঞের ব্যাপারে আনান কমিশনের রিপোর্ট দেয়ার পরও বিশ্ব দরবারে আমাদের প্রধানমন্ত্রী যে ৫ দফা দাবি পেশ করেছেন, সেই পাঁচ দফা দাবি যেন বাস্তবায়িত হয়। এবং সমস্যা সমাধানে আমরাও চেষ্টা করে যাবো। এক দেশের বিপদ এভাবে আমাদের বহন করা সম্ভব নয়। আমরা বিশ্ববাসীর মাধ্যমে অনুরোধ জানাবো মিয়ানমার যেন তাদের নাগরিকদের শান্তিপূর্ণ পরিবেশে ফিরিয়ে নেয়।
লিখিত বক্তব্যে আরও বলা হয়, বার্মায় গণহত্যা এবং সন্ত্রাস দমনে এই নাগরিক কমিশন গঠন করা হয়েছে। এই কমিশনের ৫১ জন সদস্য রয়েছে। কমিশনের সচিবালয়ে রয়েছে ১০১ জন সদস্য। এটি একান্ত তদন্ত কমিশন।
এই কমিশন কক্সবাজারের উখিয়া ও টেকনাফের রোহিঙ্গা শিবিরে আশ্রিত ১০ হাজার রোহিঙ্গাদের জবানবন্দি রেকর্ড করবে।পরে এই জবানবন্দী, জাতীয় আন্তর্জাতিক গণমাধ্যমে প্রকাশিত সংবাদ, জাতিসংঘ এবং অন্যান্য আন্তর্জাতিক সংস্থার বক্তব্য, বাংলাদেশ ও বার্মার বিভিন্ন সরকারি দলিলপত্রের ভিত্তিতে প্রতিবেদন তৈরী করা হবে।
সংবাদ সম্মেলনে আরও বক্তব্য রাখেন- কমিশনের চেয়ারম্যান আপিল বিভাগের সাবেক বিচারপতি শামসুল হুদা, বিচারপতি মো. নিজামুল হক নাসিম, একাত্তরের ঘাতক দালাল নির্মূল কমিটির ভারপ্রাপ্ত সভাপতি শাহরিয়ার কবির, পুলিশের সাবেক মহাপরিদর্শক মোহাম্মদ নুরুল আনোয়ার, মেজর জেনারেল(অব.) এ কে মোহাম্মদ আলী সিকদার, মমতাজ লতিফ, সমাজকর্মী ও মানবাধিকার কর্মী জুলিয়ান ফ্রান্সিস।
এছাড়াও শহীদ বুদ্ধিজীবী মুনীর চৌধুরী ছেলে আসীফ মুনীর, শহীদ ডা. আলীম চৌধুরীর মেয়ে ডা. নুজহাত চৌধুরী চম্পা, মানবাধিকার কর্মী আরমা দত্ত, ব্যারিস্টার বিব বড়ুয়া, ব্যারিস্টার তাপস কুমার বল, শহীদ পরিবারের সন্তান তৌহিদ রেজা নূরসহ নাগরিক কমিশনের সদস্যরা উপস্থিত ছিলেন।
এই রকম সংবাদ আরো পেতে হলে এই লেখার উপরে ক্লিক করে আমাদের ফেসবুক ফ্যান পেইজে লাইক দিয়ে সংযুক্ত থাকুন। সংবাদটি সম্পর্কে মন্তব্য করতে হলে এই পেইজের নীচে মন্তব্য করার জন্য ঘর পাবেন