মামুনুল কাণ্ড: সোনারগাঁ থানার সেই ওসিকে বাধ্যতামূলক অবসর


সোনারগাঁয়ের একটি রিসোর্টে কথিত দ্বিতীয় স্ত্রীসহ অবরুদ্ধের পর হেফাজতে ইসলামের যুগ্ম মহাসচিব মামুনুল হককে ছাড়িয়ে নিতে ব্যাপক তাণ্ডব চালায় সংগঠনটির নেতাকর্মীরা। তাদের তাণ্ডবের সময় পুলিশ নির্লিপ্ত ছিল বলে অভিযোগ ওঠে।
এর পরদিনই সোনারগাঁ থানার ওসি রফিকুল ইসলামকে বদলি করা হয় নারায়ণগঞ্জের পুলিশ লাইন্সে। সেই ওসি রফিকুল ইসলামকে অবসরে পাঠানো হয়েছে।
সোমবার বিকালে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের জননিরাপত্তা বিভাগের এক প্রজ্ঞাপনে এ সিদ্ধান্ত জানানো হয়।
মন্ত্রণালয়ের উপসচিব ধনঞ্জয় কুমার দাসের সই করা প্রজ্ঞাপনে বলা হয়, রফিকুলের চাকরির মেয়াদ ২৫ বছর পূর্ণ হওয়ায় সরকারি চাকরি আইন, ২০১৮ এর ৪৫ ধারা অনুযায়ী তাকে অবসরে পাঠিয়েছে সরকার। বিধি মোতাবেক অবসরজনিত সকল সুবিধা পাবেন।
৩ এপ্রিল হেফাজতে ইসলামের নেতা মামুনুল হক এক নারীকে নিয়ে নারায়ণগঞ্জের সোনারগাঁওয়ের রয়্যাল রিসোর্টে যান। পরে সেখানে তাকে অবরুদ্ধ করে রাখা হয়। মামুনুল হকের দাবি তিনি দ্বিতীয় স্ত্রীকে নিয়ে রিসোর্টে অবকাশ যাপনে গিয়েছিলেন। এ ঘটনায় তাকে অবরুদ্ধ করে রাখার ঘটনায় তোলপাড় সৃষ্টি হয়। হেফাজত কর্মীরা নারায়ণগঞ্জে বিক্ষোভ করে। রয়্যাল রিসোর্টসহ বিভিন্ন স্থাপনায় ভাঙচুর করা হয়।
পাশাপাশি ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়ক অবরোধ করে ব্যাপক গাড়ি ভাঙচুর করেন হেফাজতের নেতাকর্মীরা। ক্ষমতাসীন দল ও তার সহযোগী সংগঠনের স্থানীয় কার্যালয়েও হামলা হয়। হামলা হয় স্থানীয় যুবলীগ ও ছাত্রলীগ নেতাদের বাড়িঘরেও হামলা ভাংচুর করা হয়।

এই রকম সংবাদ আরো পেতে হলে এই লেখার উপরে ক্লিক করে আমাদের ফেসবুক ফ্যান পেইজে লাইক দিয়ে সংযুক্ত থাকুন। সংবাদটি সম্পর্কে মন্তব্য করতে হলে এই পেইজের নীচে মন্তব্য করার জন্য ঘর পাবেন