মারাত্মক স্বাস্থ্য ঝুঁকিতে বাংলাদেশ
পরিবেশ দূষণে আফ্রিকার দেশ বুরুন্ডির পরেই বাংলাদেশের অবস্থান। ১৮০ দেশের ইপিআই সূচকে অবস্থান ১৭৯। যুক্তরাষ্ট্রের ইয়েল ও কলাম্বিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের গবেষকেরা বলছেন, পরিবেশ বিপর্যয়ে মারাত্মক স্বাস্থ্য ঝুঁকিতে পড়েছে দেশ।
প্রাকৃতিক বন, কৃষিজমি, জলাশয় ও মাছের মজুদ রক্ষায়ও হয়েছে অবনমন। আইন থাকলেও প্রয়োগের অভাবে, সার্বিক পরিস্থিতি সঙ্কটে রূপ নিয়েছে বলে জানাচ্ছেন পরিবেশবিদেরা। লোকবল সংকটের করাণে পরিবেশ আইন কঠর ভাবে বাস্তবায়ন করা সম্ভব হচ্ছে না বলে জানিয়েছেন পরিবেশ ও বনমন্ত্রী আনিসুল ইসলাম মাহমুদ।
ধূলার কুয়াশায় ডুবে থাকছে শহর। সঙ্গে আছে তীব্র শব্দ দূষণ, শিল্প কারখানার ধোঁয়া। কার্বন ডাইঅক্সাইড, কার্বন মনোক্সাইড ও সিসাসহ নানা রাসায়নিকে দূষিত হচ্ছে বাতাস।
অ্যাজমা-ফুসফুস ক্যান্সারে আক্রান্ত হয়ে বাড়ছে মৃতের সংখ্যা। বায়ু দূষণ এখন সবচেয়ে বড় পরিবেশগত হুমকি।
২০১৮ সালের এনভায়রনমেন্টাল পারফরম্যান্স ইনডেক্স–ইপিআই সূচক বলছে, জীববৈচিত্র্য রক্ষায় গত দুই বছরে বাংলাদেশ পিছিয়েছে ১৫ ধাপ। বায়ু দূষণের মাত্রা ভেঙেছে সর্বকালের রেকর্ড। প্রাকৃতিক বন সংরক্ষণে অবনমন ৪১ ধাপ। দূষণের মাত্র বেড়েছে নদ-নদী, হাওর, কৃষি জমিতেও। কমেছে জলাশয়ে মাছের মজুদ।
জীববৈচিত্র্য ১১৮ থেকে ১৩৩। বায়ু দূষণের ৭৪ থেকে ১২০। প্রাকৃতিক বন ৫৭ থেকে ৯৮। মাছের মজুদ ২ থেকে ৩। জীববৈচিত্র সংরক্ষণে ২০১৮ তে ১৫৩ এবং ২০১৬তে ১৪৩। স্বাস্থ্য রক্ষায় ২০১৮তে ১৭৮ এবং ২০১৬তে ১৭৮।
দূষণ বন্ধ ও বন রক্ষায় সরকার আন্তরিক । লোকবল বৃদ্ধি হলে আইনের কঠোর প্রয়োগ সম্ভব বলে জানালেন পরিবেশ ও বনমন্ত্রী ।
এবারের ইপিআই সূচকে বায়ুর মান, পানি সরবরাহ, পয়োনিষ্কাশন, পানিসম্পদসহ ১০ বিষয়ের বাংলাদেশের স্কোর ২৯ দশমিক ৫৬ , গত দুই বছরে যা পিছিয়েছে প্রায় ১৩ ধাপ।
এই রকম সংবাদ আরো পেতে হলে এই লেখার উপরে ক্লিক করে আমাদের ফেসবুক ফ্যান পেইজে লাইক দিয়ে সংযুক্ত থাকুন। সংবাদটি সম্পর্কে মন্তব্য করতে হলে এই পেইজের নীচে মন্তব্য করার জন্য ঘর পাবেন