নির্বাচনে উত্তাপ না থাকলে ভালো লাগে না : ইসি রফিকুল

নির্বাচনী মারামারি দেশের রাজনৈতিক শক্তির অংশ বলেই মনে করেন নির্বাচন কমিশনার রফিকুল ইসলাম। বলেছেন, একটু উত্তাপ না থাকলে ভালোও লাগে না।

শুক্রবার রাজশাহীতে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে এ কথা বলেন এই নির্বাচন কমিশনার। দুপুরে রাজশাহী শিল্পকলা অ্যাকাডেমিতে নির্বাচনে নারীদের সুরক্ষা ও নিরাপত্তা বিষয়ক সচেতনতা কর্মশালায় প্রধান অতিথি ছিলেন তিনি। আর এ সময় বিভিন্ন নির্বাচনী আসনে সহিংসতা নিয়ে প্রশ্নের মুখে পড়েন তিনি।

গত ১০ ডিসেম্বর প্রতীক বরাদ্দের দিন থেকেই বিভিন্ন নির্বাচনী এলাকায় সহিংসতার খবর এসেছে। প্রার্থীর গাড়িবহর, নির্বাচনী ক্যাম্প আর কর্মীদের ওপর হামলা হয়েছে একাধিক এলাকায়। ক্ষমতাসীন দল ও সহযোগী সংগঠনের তিন জন নেতা খুন হয়েছেন ফরিদপুর, নোয়াখালী ও পাবনায়। বরিশালে ঐক্যফ্রন্ট প্রার্থীর পা ভেঙে দেওয়া হয়েছে।

রফিকুল ইসলাম বলেন, ‘মারামারি, উত্তপ্ত বাক্যবিনিময় বাংলাদেশের রাজনৈতিক সংস্কৃতির অংশ। যখন নির্বাচনের তফসিল ঘোষণা করা হয় তখন আরেকটু গরম হয়ে যায়। আর উত্তাপ না থাকলে ভালো লাগে না।’

নির্বাচনী এলাকায় নিরাপত্তা বিধানে এরই মধ্যে মোতায়েন হয়েছে ৩৬ হাজারের বেশি বিজিবি। সোমবার নামছে সেনাবাহিনীও। তবে বিরোধী দলগুলো সশস্ত্র বাহিনীকে বিচারিক ক্ষমতা দেওয়ার দাবি করলেও তা পূরণ হয়নি।

এ বিষয়ে এক প্রশ্নে রফিকুল ইসলাম বলেন, ‘বিচারিক ক্ষমতা কারও নাই। পুলিশের নাই, র‌্যাবের নাই, সেনাবাহিনীর নাই- কারও নাই। যার হাতে অস্ত্র থাকে তার কিন্তু বিচারিক ক্ষমতা থাকে না। কারণ, এটা বাংলাদেশের সংবিধানের জন্য স্ববিরোধী।’

‘যদি কোন অঘটন ঘটে তাহলে সেনাবাহিনী যেমন যে কোন লোককে গ্রেপ্তার করতে পারে, সহিংস ঘটনা ঘটলে তারা গুলিও চালাতে পারে এবং প্রায়োজনে ম্যাজিস্ট্রেটের কাছ থেকে নির্দেশনা নিতে পারেন। আর জীবন ও জানমালের রক্ষার জন্য এমনিতে গুলি চালাতে পারেন; গ্রেপ্তার করতে পারেন। এখনে বিচারিক ক্ষমতা মূখ্য বিষয় নয়। নিরাপত্তা বড় কথা।’

প্রার্থিতা শূন্য আসনে নতুন করে তফসিল দিতে বিএনপির দাবির প্রসঙ্গে রফিকুল বলেন, ‘আইনি বিষয় খতিয়ে দেখে এ বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেবে কমিশন।’
বলেছেন, ‘শুধু নারী নয়, সকলে যেন নির্বিঘেœ ভোট কেন্দ্রে যেতে পারে তার জন্য যা যা ব্যবস্থা নেয়া প্রয়োজন তা আমরা নেব।’

কর্মশালায় রাজশাহীর বিভাগীয় কমিশনার নূর-উর রহমান এবং রিটার্নিং কর্মকর্তা এসএম আব্দুল কাদেরও বক্তব্য দেন। কর্মশালায় রাজশাহীর বিভিন্ন স্তরের নির্বাচন কর্মকর্তারা অংশ নেন।