মাশরাফিকে ছাড়িয়ে গেলেন তাইজুল
দেড়শ রানের মধ্যে জিম্বাবুয়েকে অলআউট করার টার্গেট ছিল বাংলাদেশের। শেষ পর্যন্ত তা পারেনি টাইগাররা। তবে লক্ষ্যের চেয়ে খুব বেশি দূর যেতে পারেনি সফরকারীরা। অলআউট হয়েছে ১৮১ রানে।
এর নেপথ্য নায়ক তাইজুল ইসলাম। ৬২ রানে একাই শিকার করেছেন ৫ উইকেট। প্রথম ইনিংসের মতো দ্বিতীয় ইনিংসেও ঘূর্ণি জাল বিস্তার করেন তিনি। তার আঁটসাঁট জালে একে একে ধরা পড়েন ব্রেন্ডন টেইলর, শন উইলিয়ামস, সিকান্দার রাজা, পিটার মুর ও টেন্ডাই চাতারা।
এতে তাইজুলের টেস্ট ক্যারিয়ারের সাফল্যে যোগ হয়েছে আরেকটি পালক। এ নিয়ে পঞ্চমবারের মতো ৫ উইকেট শিকার করলেন তিনি। প্রথম ইনিংসেও বাংলাদেশের বোলিং আক্রমণে নেতৃত্ব দেন এ বাঁহাতি স্পিনার। তার স্পিন বিষেই নীল হয়েছিল জিম্বাবুয়ে। অলআউট হয়েছিল ২৮২ রানে। নিজে শিকার করেছিলেন ১০৮ রানে ৬ উইকেট।
ক্যারিয়ারে প্রথমবারের মতো কোনো টেস্টে দুই ইনিংসেই ৫ উইকেট নিলেন তাইজুল। তার ১৭০ রানে ১১ উইকেট শিকার বাংলাদেশের তৃতীয় সেরা বোলিং ফিগার। ১৫৯ রানে ১২ উইকেট নিয়ে সবার ওপরে মেহেদী হাসান মিরাজ। ২০০ রানে সমানসংখ্যক উইকেট নিয়ে দ্বিতীয় এনামুল হক জুনিয়র।
এদিন আরও একটি কীর্তি গড়েছেন তাইজুল। ক্রিকেটের অভিজাত সংস্করণে উইকেট শিকারে বাংলাদেশ কিংবদন্তিতুল্য পেসার মাশরাফি বিন মুর্তজাকে ছাড়িয়ে গেছেন তিনি। এতদিন ৭৮ উইকেট নিয়ে দেশের হয়ে তৃতীয় সর্বোচ্চ উইকেটশিকারি ছিলেন ম্যাশ। জিম্বাবুয়ে দ্বিতীয় ইনিংসে ৫ উইকেট ঝুলিতে ভরার বদৌলতে তাকে ছাড়িয়ে গেছেন তাইজুল। ক্রিকেটের আদি ফরম্যাটে এখন তার উইকেট সংখ্যা ৮০।
বাংলাদেশের হয়ে টেস্টে সর্বোচ্চ উইকেটশিকারি সাকিব আল হাসান। সাদা পোশাকে বিশ্বসেরা অলরাউন্ডারের শিকার ১৯৬ উইকেট। তার পরেই আছেন উইকেটের সেঞ্চুরি (১০০) পূর্ণ করে অবসর নেয়া বাঁ-হাতি স্পিনসেরা মোহাম্মদ রফিক।
এই রকম সংবাদ আরো পেতে হলে এই লেখার উপরে ক্লিক করে আমাদের ফেসবুক ফ্যান পেইজে লাইক দিয়ে সংযুক্ত থাকুন। সংবাদটি সম্পর্কে মন্তব্য করতে হলে এই পেইজের নীচে মন্তব্য করার জন্য ঘর পাবেন