মাসদার হোসেন মামলা থেকে ড. কামাল-আমীরুলকে প্রত্যাহার
বিচার বিভাগ পৃথকীকরণ সংক্রান্ত মাসদার হোসেন মামলা পরিচালনার জন্য ড. কামাল হোসেন ও ব্যারিস্টার এম আমীর-উল ইসলামকে যে ক্ষমতা (ওকালতনামা) দেয়া হয়েছিল তা প্রত্যাহার করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে নিম্ন আদালতের বিচারকদের সংগঠন বাংলাদেশ জুডিশিয়াল সার্ভিস অ্যাসোসিয়েশন।
এক বৈঠকের পর বুধবার সন্ধ্যায় এই তথ্য জানিয়েছেন অ্যাসোসিয়েশনের ভারপ্রাপ্ত মহাসচিব ও আইন মন্ত্রণালয়ের যুগ্ম সচিব (প্রশাসন) বিকাশ কুমার সাহা।
এদিকে অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি ঢাকা জেলা ও দায়রা জজ এস এম কুদ্দুস জামান এবং ভারপ্রাপ্ত মহাসচিব স্বাক্ষরিত এক বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, ড. কামাল হোসেনসহ জ্যেষ্ঠ ছয় আইনজীবী সম্প্রতি এক বাণীতে বিধিমালা নিয়ে যেসব মন্তব্য করেছেন তা অ্যাসোসিয়েশনের দৃষ্টিগোচর হয়েছে। অ্যাসোসিয়েশন মনে করে ছয় আইনজীবী মাসদার হোসেন মামলাকে রাজনীতিকরণের অপচেষ্টায় লিপ্ত আছেন। যেহেতু আপিল বিভাগ বিধিমালা গ্রহণ করেছেন এবং অধঃস্তন আদালতের বিচারকদের মধ্যে এই বিধিমালার বিষয়ে কোনোরূপ অসন্তোষ নেই সেহেতু ছয় আইনজীবীকে এ বিষয়ে নেতিবাচক সমালোচনা না করার জন্য বিনীতভাবে অনুরোধ করা হলো।
বিজ্ঞপ্তিতে আরও বলা হয়, ৩ জানুয়ারি মামলার শুনানির সময় ব্যারিস্টার আমীর-উল ইসলাম অধঃস্তন আদালতের বিচারকদের স্বার্থবিরোধী বক্তব্য সুপ্রিম কোর্টের আপিল বিভাগে উপস্থাপন করায় এবং এ বক্তব্য আদালতে গ্রহণযোগ্য না হওয়ায় অ্যাসোসিয়েশন তার এরূপ নেতিবাচক বক্তব্যে অসন্তোষ প্রকাশ করছে।
১৯৯৯ সালের ২ ডিসেম্বর মাসদার হোসেনের মামলায় (বিচার বিভাগ পৃথককরণ) ১২ দফা নির্দেশনা দিয়ে রায় দেয়া হয়। ওই রায়ের ভিত্তিতে নিম্ন আদালতের বিচারকদের চাকরির শৃঙ্খলা সংক্রান্ত বিধিমালা প্রণয়নের নির্দেশনা ছিল।
গত বছরের ১১ ডিসেম্বর এ সংক্রান্ত গেজেট জারি করা হয়। বুধবার সে গেজেট গ্রহণ করে আদেশ দেন সুপ্রিম কোর্ট।
এই রকম সংবাদ আরো পেতে হলে এই লেখার উপরে ক্লিক করে আমাদের ফেসবুক ফ্যান পেইজে লাইক দিয়ে সংযুক্ত থাকুন। সংবাদটি সম্পর্কে মন্তব্য করতে হলে এই পেইজের নীচে মন্তব্য করার জন্য ঘর পাবেন