মেগা প্রকল্পগুলোর সুফল কবে পাবে ঢাকাবাসী?
শুধু সড়কপথ নয়, একটি শহরের টেকসই যোগাযোগে প্রাধান্য দেয়া হয়- জল, রেল বা অযান্ত্রিক যানবাহনের পথকে। এই হিসেবে, ঢাকা প্রাকৃতিকভাবে আর্শীবাদপুষ্ট হলেও, দিন দিন সেই সম্ভাবনা কমিয়েছে- অপরিকল্পিত নগরায়ন ও দুর্নীতি। সরকারের কয়েকটি প্রকল্প আশার আলো দেখালেও, তা পর্যাপ্ত নয়।
সড়ক পরিবহন ও সেতু মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, চলমান মেগা প্রকল্পগুলো বাস্তবায়ন হলে, ২০৩০ সাল নাগাদ সুফল পাবেন নগরবাসী।
আশপাশের চারটি নদী দিয়ে ঘেরা ঢাকা, নগর পরিকল্পনাবিদদের চোখে এক আদর্শ শহর। নগরের অভ্যন্তরীণ যোগাযোগে জলপথের ব্যবহার শেষ হয়েছে জমির লোভে। লোভের এই মাত্রা ভয়াবহ হয়েছে নগর পরিকল্পনায় সড়কের প্রাধান্যে।
হাজার কোটি টাকা খরচ করে হলেও, নদী খনন করে জলপথে যাতায়াতের ব্যবস্থা করা হলে কেউই সদরঘাট থেকে বাসে করে মিরপুর যেতো না বলে মনে করেন বিশেষজ্ঞরা।
দেরিতে হলেও, হাতির ঝিলের মতো প্রকল্পের সুফল পাচ্ছেন নগরবাসী। কিন্তু, তা কি পর্যাপ্ত? বিশেষজ্ঞরা মনে করেন, পরিকল্পনায় যা ছিল তার ৫ শতাংশ কাজও এখানে হয় নি।
অতিরিক্ত মানুষের চাপ কমাতে শহরের ভিতরে রেল যোগাযোগের বিকল্প নেই। পরিকল্পনাবিদদের মতে, নৌ, রেল বা সড়কে পৃথক প্রকল্প না নিয়ে সমন্বিত যোগাযোগ পরিকল্পনার পূর্ণ বাস্তবায়ন প্রয়োজন।
ঢাকায় কখনোই পরিকল্পিত নগর করার সমন্বিত উদ্যোগ দেখেন নি বলে জানান পরিকল্পনাবিদরা। তাদের মতে, ঢাকা শুধু মাত্র প্রধান সড়ক নির্ভর।
যোগাযোগের জটিলতা স্বীকার করে নিয়ে সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের জানান, রাতারাতি সম্ভব নয় যানজট নিরসন। তিনি বলেন, আমরা যাই করি, যানজট নিরসনের বিষয়টি যদি কোনো অগ্রগতি না পাই, তাহলে আমাদের এই চেষ্টা বৃথা। ঈদের পরে সংশ্লিষ্ট সংস্থার সঙ্গে বৈঠকের আভাস দিলেন ওবায়দুল কাদের।-সময় টিভি’র সৌজন্যে।
এই রকম সংবাদ আরো পেতে হলে এই লেখার উপরে ক্লিক করে আমাদের ফেসবুক ফ্যান পেইজে লাইক দিয়ে সংযুক্ত থাকুন। সংবাদটি সম্পর্কে মন্তব্য করতে হলে এই পেইজের নীচে মন্তব্য করার জন্য ঘর পাবেন