মেয়াদ বাড়ে,মেয়াদ শেষ হয়—তবু শুরু হয়নি ড্রেনের কাজ! নোবিপ্রবি শিক্ষার্থীদের ক্ষোভ

নোয়াখালী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে (নোবিপ্রবি) “R.C.C Rigid Pavement Road ও Central Drain” নির্মাণ প্রকল্পের আওতায় আরসিসি রোডের কাজ সম্পন্ন হলেও এখন পর্যন্ত শুরু হয়নি ড্রেন নির্মাণের কাজ। একাধিকবার সময়সীমা বৃদ্ধি করার পরও কাজ শুরু না হওয়ায় শিক্ষার্থীদের মধ্যে ক্ষোভ ও হতাশা ছড়িয়ে পড়েছে।
প্রকল্পের আওতায় একাডেমিক ভবন-১ এর দক্ষিণ-পূর্ব কোণ থেকে মেডিকেল সেন্টার পর্যন্ত আরসিসি রোড এবং মেডিকেল সেন্টার থেকে পূর্ব পাশের খাল পর্যন্ত আরসিসি সেন্ট্রাল ড্রেন নির্মাণের পরিকল্পনা নেওয়া হয়। ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান কেএমসি ব্রিকস-এর পক্ষ থেকে কাজ শুরু হলেও ড্রেন নির্মাণ এখনও অধরা।
বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রকৌশল অফিস সূত্রে জানা গেছে, প্রথম দফায় ২০ মে ২০২৪ থেকে ২০ মে ২০২৫ সাল পর্যন্ত কাজ শেষ করার নির্দেশনা দেওয়া হয়েছিল। কিন্তু নির্ধারিত সময়ের মধ্যে সেন্ট্রাল ড্রেনের কাজ শেষ তো দূরের কথা, শুরুই হয়নি। পরে দ্বিতীয় দফায় মেয়াদ বাড়িয়ে ১৭ জুন ২০২৫ পর্যন্ত সময় নির্ধারণ করা হয়। কিন্তু সময় বাড়লেও কাজ শুরু করতে পারেনি কেএমসি ব্রিকস।
এরপর আবার মেয়াদ বাড়িয়ে ৩০ জুন ২০২৫ পর্যন্ত সময় নেয় কেএমসি ব্রিকস প্রতিষ্ঠানটি । তবে দুইবার সময় বাড়ানোর পরও ড্রেন নির্মাণ কাজ এখনও শুরু করতে পারেনি প্রতিষ্ঠানটি।
অন্যদিকে বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা ড্রেন নির্মাণে বিলম্ব হওয়ায় উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন। তারা জানান, বর্ষা মৌসুমে ড্রেন না থাকায় পানি জমে চলাচলে সমস্যা হয়, এমনকি দুর্ঘটনার আশঙ্কাও থাকে।
সিয়াম আহম্মেদ নামের এক শিক্ষার্থী বলেন,
“দীর্ঘ সময় পর রাস্তার কাজ হয়েছে ঠিকই, কিন্তু ড্রেন না থাকায় বর্ষায় পুরো এলাকা জলাবদ্ধ হয়ে পড়ে। এতে চলাচলে চরম দুর্ভোগ পোহাতে হয়।”
আরেকজন শিক্ষার্থী ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেন,
“একবার নয়, একাধিকবার মেয়াদ বাড়ানো হয়েছে। কিন্তু কাজের কোনো অগ্রগতি নেই। শুধু কাগজে-কলমে মেয়াদ বাড়ালেই তো হবে না, বাস্তবায়নও দেখতে চাই।”
ড্রেনের কাজ এখনও শুরু না হওয়া প্রসঙ্গে বিশ্ববিদ্যালয়ের কোষাধ্যক্ষ অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ হানিফ (মুরাদ) বলেন,
“প্রতিষ্ঠানটি ৩০ তারিখ পর্যন্ত সময় চেয়ে নিয়েছে। এর মধ্যেই তাদের সব কাজ সম্পন্ন করার কথা। এখন যদি এর মধ্যে কাজ শেষ না করে, তাহলে আমরা আইনগত ব্যবস্থা নেব। তবে আইনগত ব্যবস্থা নিলে টেন্ডার বাতিল হবে, এবং পরবর্তীতে পুনরায় টেন্ডার করলে আরও ছয় মাস লেগে যাবে। তার চেয়ে তাদের একটু সময় বাড়িয়ে দিয়ে কাজটি আদায় করে নিতে পারলে ভালো হয়। এমনিতেই তাদের কোনো বিল দিচ্ছি না, যাতে অন্তত বিল পাওয়ার জন্য হলেও কাজটি শেষ করে।”
এই বিষয়ে কেএমসি ব্রিকস ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানটির সাথে মোবাইল ফোনে একাধিকবার যোগাযোগ করা হলেও তাঁদের কোনো সাড়া পাওয়া যায়নি।

এই রকম সংবাদ আরো পেতে হলে এই লেখার উপরে ক্লিক করে আমাদের ফেসবুক ফ্যান পেইজে লাইক দিয়ে সংযুক্ত থাকুন। সংবাদটি সম্পর্কে মন্তব্য করতে হলে এই পেইজের নীচে মন্তব্য করার জন্য ঘর পাবেন