মেয়ের স্কুলের ভর্তি ফরমে ধর্ম উল্লেখ করেন নি কমল হাসান
নিজের মেয়েকে স্কুলে ভর্তির সময় ফরমে ধর্ম উল্লেখ করেন নি তিনি। এই ছিল তার ‘দোষ’। আর তাতেই এবার টুইটে সমালোচনার শিকার কমল হাসান। সম্প্রতি একটি টুইট করেন তিনি। নিজের টুইটার হ্যান্ডলে অভিনেতা লেখেন, ‘আমি মেয়েকে স্কুলে ভর্তির সময় ফরমে ধর্মের কলামটি ফাঁকা রেখেছি। এভাবেই পরবর্তী প্রজন্মের মধ্যে থেকে ধর্মীয় ভেদাভেদ মোছা সম্ভব। প্রত্যেকেরই এমন উদ্যোগ নেওয়া উচিত। যারা ধর্মীয় ভেদাভেদের বিরুদ্ধে তাদের স্বাগত জানাই।’ এ সংক্রান্ত একটি খবর প্রকাশ করেছে ভারতের সংবাদ প্রতিদিন পত্রিকা।
কমল হাসানের টুইটের পরই শুরু হয় শোরগোল। অভিনেতা-রাজনীতিবিদ হাসানের এমন সিদ্ধান্তকে ভাল চোখে দেখেন নি নেটিজেনদের একাংশ। একটি টেলিভিশন শোয়ে অভিনেতার পুরনো এক সাক্ষাৎকার রিটুইট করা হয়। ওই শোয়ে নিজের ধর্মের কথা বলতে দেখা গেছে অভিনেতাকে। তারপরেও কেন মেয়ের স্কুলে ভর্তির ফরমে ধর্মের কথা উল্লেখ করলেন না, টুইট করে কমল হাসানকে সে প্রশ্ন করা হয়। টুইটে তাকে বলা হয়, স্কুলে ভর্তির ফরমে ধর্মের কথা উল্লেখ না করলেই সমাজ থেকে ধর্মীয় ভেদাভেদ দূর হবে না। অভিনেতা-রাজনীতিকের অভিযোগ, স্কুলে ভর্তির ফরমে ধর্মের কথা উল্লেখ না করায় অনেকের থেকে হুমকিও পান তিনি।
ইসলাম ধর্মাবলম্বী এক তরুণকে বিয়ে করার পর পাসপোর্ট নিতে গিয়ে দিনকয়েক আগে চূড়ান্ত হেনস্তার শিকার হন লখনউয়ের হিন্দু ধর্মাবলম্বী তরুণী তনভি। ধর্ম নিয়ে পাসপোর্ট অফিসারের নানা প্রশ্নের মুখোমুখি হতে হয় তাকে। টুইটে পররাষ্ট্রমন্ত্রীর কাছে হেনস্তার কথা জানান তনভি। অভিযোগ পেয়েই ওই দম্পতির পাসপোর্টের বন্দোবস্ত করেন সুষমা স্বরাজ। টুইটে সুষমাকে নিয়ে সমালোচনার ঝড় বইতে শুরু করে। টুইটে ভোটাভুটির বন্দোবস্ত করে রোববারই তার পালটা জবাব দিয়েছেন সুষমা। সেই রেশ কাটতে না কাটতেই এবার নেটিজেনদের একাংশের টার্গেট কমল হাসান।
এই রকম সংবাদ আরো পেতে হলে এই লেখার উপরে ক্লিক করে আমাদের ফেসবুক ফ্যান পেইজে লাইক দিয়ে সংযুক্ত থাকুন। সংবাদটি সম্পর্কে মন্তব্য করতে হলে এই পেইজের নীচে মন্তব্য করার জন্য ঘর পাবেন