মোজাম্মেলকে গ্রেপ্তার দেখানোর আবেদন নাকচ, মুক্তি

বাংলাদেশ যাত্রীকল্যাণ সমিতির মহাসচিব মোজাম্মেল হক চৌধুরীকে কাফরুল থানার বিস্ফোরক মামলায় গ্রেপ্তার দেখানোর আবেদন নাকচ করে দিয়েছেন আদালত। এর পরেই কারাগার থেকে তিনি মুক্তি পেয়েছেন।

বৃহস্পতিবার ঢাকার মুখ্য মহানগর হাকিমের আদালতে মোজাম্মেল হককে গ্রেপ্তার দেখানোর আবেদন শুনানির জন্য উপস্থাপন করে পুলিশ। শুনানি শেষে ঢাকার মহানগর হাকিম মাজহারুল ইসলাম আবেদন নাকচ করে দেন।

এর পরেই দুপুরে ঢাকার কেন্দ্রীয় কারাগার থেকে মোজাম্মেলকে জামিনে মুক্তি দেওয়া হয় বলে জানিয়েছেন আদালতের সাধারণ নিবন্ধন কর্মকর্তা রনপ কুমার ভক্ত।

নিবন্ধন কর্মকর্তা আরো জানান, গত ১০ সেপ্টেম্বর কাফরুল থানার বিস্ফোরক আইনের একটি মামলায় যাত্রীকল্যাণ সমিতির মহাসচিবকে গ্রেপ্তার দেখানোর আবেদন করা হয়। সেই আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে ঢাকার মহানগর হাকিম মাজহারুল ইসলাম আজ গ্রেপ্তার দেখানোর আবেদনের শুনানির জন্য দিন ধার্য করেন।

গত ৫ সেপ্টেম্বর দিবাগত রাত সাড়ে ৩টার দিকে নারায়ণগঞ্জের সিদ্ধিরগঞ্জের সানারপাড় এলাকার বাসা থেকে মোজাম্মেল হককে গ্রেপ্তার করা হয়। পরদিন ৬ সেপ্টেম্বর ঢাকার মহানগর হাকিম তাঁকে একদিনের রিমান্ডে পাঠান।

এরপর রিমান্ড শেষে গত ৮ সেপ্টেম্বর মিরপুর থানার চাঁদাবাজির মামলায় ফের মোজাম্মেলকে রিমান্ডের আবেদন করে পুলিশ। অপরদিকে জামিনের আবেদন করেন তাঁর আইনজীবী। শুনানি শেষে দুটি আবেদনই নাকচ করে তাঁকে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেন আদালত।

এরপর ১০ সেপ্টেম্বর কাফরুল থানার বিস্ফোরক আইনের একটি মামলায় মোজাম্মেলকে গ্রেপ্তার দেখানোর আবেদন করে পুলিশ। সেটি শুনানির জন্য আজকে দিন ধার্য করেন আদালত।

এর মধ্যে গত ১১ সেপ্টেম্বর চাঁদাবাজির মামলায় ঢাকার মহানগর হাকিম মাজহারুল হক মোজাম্মেলের জামিন মঞ্জুর করেন। কিন্তু বিস্ফোরক মামলায় গ্রেপ্তার দেখানোর শুনানি না হওয়ায় তিনি সেদিন কারাগার থেকে বের হতে পারেননি। আজ আদালত আবেদন নামঞ্জুর করলে মুক্তির বাধা কেটে যায় মোজাম্মেলের।

মিরপুর মডেল থানায় দুলাল নামের এক ব্যক্তির দায়ের করা চাঁদাবাজির মামলায় মোজাম্মেলকে গ্রেপ্তার করা হয়েছিল। মিরপুর মডেল থানার সহকারী উপপরিদর্শক (এএসআই) রিয়াজুল ইসলাম জানান, দুলাল নামের এক ব্যক্তি মোজাম্মেলের বিরুদ্ধে থানায় চাঁদাবাজির অভিযোগ এনে মামলা করেন।

গত ৩১ আগস্ট রাজধানীর সেগুনবাগিচায় ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটিতে ‘ঈদুল আজহায় সড়ক দুর্ঘটনা প্রতিবেদন-২০১৮’ প্রকাশ উপলক্ষে সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন মোজাম্মেল।

প্রতিবেদনে বলা হয়, ঈদযাত্রা শুরুর পর থেকে ঈদ শেষে ঢাকায় ফেরার পথে মোট ২৩৭টি দুর্ঘটনায় প্রাণ গেছে ২৫৯ জনের। এ তথ্য তুলে ধরে সড়কে দুর্ঘটনাজনিত মৃত্যু কমিয়ে আনতে ১০ দফা সুপারিশ করা হয়।