মোদিকে সমর্থন না করার জন্য অনুরোধ মমতার

ভারতের আসন্ন লোকসভা নির্বাচনে বিজেপির সহযোগী সংগঠনগুলো যাতে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদিকে সমর্থন না করে সেজন্য অনুরোধ করেছেন পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।

সোমবার এক সভায় মমতা বলেন, এখন দেশের লড়াই মোদি এবং বিজেপি সভাপতি অমিত শাহের বিরুদ্ধে। এবারের নির্বাচন বিভিন্ন দিক থেকে বিশেষ।

রাজ্যে বিজেপির সংগঠন বৃদ্ধি সম্পর্কে মুখ্যমন্ত্রী বলেন, এবার বাংলায় বিজেপি একটিও আসন পাবে না। তাছাড়া গোটা দেশে বিজেপির আসন সংখ্যা কমে ১২৫ হতে চলেছে। ২০১৪ সালে দক্ষিণ ভারতের অন্ধ্র, কেরালা কর্ণাটক এবং তামিলনাড়ু মিলিয়ে ১৯১ টি আসনের মধ্যে বিজেপি ২২টি পেয়েছিল।

মমতা মনে করেন এবার সেই ফলের পুনরাবৃত্তি প্রয়োজন। অন্যদিকে গত নির্বাচনে উত্তর প্রদেশে বিজেপির ফল সবচেয়ে ভালো হয়েছিল। ৮০টির মধ্যে ৭৩টি আসন পেয়েছিল তারা। কিন্তু এবার মায়াবতী এবং অখিলেশ যাদবের জোট হওয়ায় সেই ফল আর হবে না।

পশ্চিমবঙ্গে আসছেন মোদী, সভা এগিয়ে আনলেন মমতা : ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীকে অন্ধ্র প্রদেশের সভা থেকে বিতর্কে বসার আহ্বান জানিয়েছেন পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। এবার মোদীর জনসভার দিনের সঙ্গে তাল রাখতে নিজের প্রচারের দিন একদিন এগিয়ে আনলেন মমতা। লোকসভা নির্বাচনের প্রচারে কাল পশ্চিমবঙ্গে আসছেন মোদী। আর কাল থেকেই জনসভা করে দলের প্রার্থীদের জন্য ভোট চাইবেন মমতা।

আগামীকাল ৩ এপ্রিল এ রাজ্যে দুটি সভা করবেন মোদী। প্রথমটি হবে উত্তরবঙ্গের শিলিগুড়িতে। দুপুর একটা নাগাদ ওই সভা শুরু হওয়ার কথা। সেখান থেকে কলকাতায় এসে দুপুর তিনটে নাগাদ ব্রিগেড ময়দানে সভা করবেন তিনি। এটাই ব্রিগেডে মোদীর প্রথম সভা।

শুধু তাই নয় মাস দুয়েক আগে এই ব্রিগেড প্যারেড গ্রাউন্ডেই বিজেপি বিরোধী বিরাট সমাবেশের আয়োজন করেন মমতা। দেশের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে বিজেপি বিরোধী দলগুলির শীর্ষ নেতারা সেদিন কলকাতায় এসেছিলেন। এই মাঠ থেকেই বিজেপির হয়ে প্রচার চালাবেন মোদী। এমতাবস্থায় নিজের প্রচার একদিন এগিয়ে আনলেন মমতা। আগে ঠিক ছিল ৪ এপ্রিল উত্তরবঙ্গের কোচবিহারে সভা করে প্রচার শুরু করবেন। কিন্তু এখন জানা যাচ্ছে আগামীকাল ৩ এপ্রিল থেকেই প্রচারের কাজে হাত দেবেন তৃণমূল সুপ্রিমো।

মমতার সভা কখন শুরু হবে তা নিয়ে এখনও স্পষ্ট কোনো তথ্য পাওয়া যায়নি। একটি সূত্র বলছে মমতা কোচবিহার পৌঁছাবেন বিকেল চারটে নাগাদ। তার মানে মমতার সভা শুরুর আগেই মোদীর ভাষণ শেষ হয়ে যাবে। সভা থেকে প্রধানমন্ত্রী তৃণমূল বা রাজ্য সরকারের বিরুদ্ধে যে সমস্ত অভিযোগ করবেন সেগুলো উত্তর দেওয়ার সুযোগ পাবেন পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী। সূত্র: এনডিটিভি