ম্যান বুকারের প্রাথমিক তালিকায় অরুন্ধতীর নতুন উপন্যাস
সাহিত্যের মূল্যবান ম্যান বুকার পুরস্কারের প্রাথমিক বাছাই তালিকায় জায়গা পেয়েছে ভারতীয় সাহিত্যিক অরুন্ধতী রায়ের দ্বিতীয় উপন্যাস ‘দ্য মিনিস্ট্রি অব আটমোস্ট হ্যাপিনেস’।
এর আগে ১৯৯৭ সালে প্রকাশিত প্রথম উপন্যাস ‘গড অব স্মল থিংস’ এর জন্যও ম্যান বুকার পুরস্কার পেয়েছিলেন অরুন্ধতী।
২০১৭ সালের ম্যান বুকারের জন্য ১৩টি উপন্যাসের প্রাথমিক তালিকা তৈরি করা হয়েছে।
এতে অরুন্ধতীর পাশাপাশি আলী স্মিথ, জ্যাডি স্মিথ, সেবাস্টিয়ান ব্যারি, মোহসিন হামিদ, এমিলি ফ্রিডলান্ড, মাইক ম্যাককর্ম্যাক, জন ম্যাকগ্রেগর, ফিওনা মোজলে, জর্জ সন্ডার্স, কামিলা শামিস এবং কলসন হোয়াইটহেডের উপন্যাস রয়েছে।
পাঁচ বিচারকের একটি প্যানেল ২০১৬ সালের ১ অক্টোবর থেকে ২০১৭ সালের ৩০ সেপ্টেম্বর সময়ে যুক্তরাজ্যে প্রকাশিত ১৪৪টি উপন্যাস থেকে বাছাই করে প্রাথমিক তালিকা প্রস্তুত করে।
এ তালিকা থেকে ছয়টি উপন্যাসকে নিয়ে একটি শর্টলিস্ট বা চূড়ান্ত বাছাই তালিকা তৈরি হবে। যা প্রকাশিত হবে ১৩ সেপ্টেম্বর। তারপর ১৭ অক্টোবর ২০১৭ সালের বিজয়ীর নাম ঘোষণা হবে।
ম্যান বুকার পুরস্কারের মূল্য ৫০ হাজার ব্রিটিশ পাউন্ড।
১৯ বছর আগে লেখা ‘গড অব স্মল থিংস’উপন্যাসে ভারতের জাতপাত, শ্রেণি ও ধর্মের গণ্ডি ছাড়িয়ে মানবিক সম্পর্ক নিয়ে কথা বলেন অরুন্ধতী।
তিনি বইটিতে ভারতের প্রচলিত সমাজ ব্যবস্থার কঠোর সমালোচনা করেন।
এরপর দীর্ঘ সময় আর কোনো উপন্যাস লেখেননি অরুন্ধতী। বরং এই সময়ে কাশ্মীরের স্বাধীনতা, মাওবাদী কমিউনিস্টেদের মানবাধিকার এবং পরিবেশ আন্দোলনের জন্য বারবার ভারতীয় কর্তৃপক্ষের সঙ্গে বিরোধে জড়িয়ে পড়েন তিনি।
কিন্তু দেড় যুগ পর ফের দ্বিতীয় উপন্যাস ‘দ্য মিনিস্ট্রি অব আটমোস্ট হ্যাপিনেস’ লিখে সাড়া ফেলে দেন অরুন্ধতি।
এ উপন্যাসে একটি বিষণ্ণ প্রেমের গল্প বলেছেন অরুন্ধতী। যার হিরোরা এমন মানুষ, যাদের পৃথিবী টুকরো টুকরো করে ফেলেছে এবং এরপর প্রেম এবং আশায় পরিচালিত হয়ে তাদের উদ্ধার করেছে। এ কারণেই তারা যতটা ভঙ্গুর, ততই শক্তিশালী এবং তারা কখনই আত্মসমর্পণ করে না।
এ উপন্যাসের কৌতূহলোদ্দীপক গল্পটি শুরু হয়েছে পুরনো দিল্লির আশপাশে নতুন মহানগর থেকে। যা কাশ্মীর উপত্যকা এবং মধ্য ভারতের বনভূমিকেও বানিয়েছে এর যাত্রাপথ; যেখানে যুদ্ধই শান্তি আর শান্তিই যুদ্ধ এবং যেখানে সময় সময় ‘স্বাভাবিকতা’ ঘোষিত হয়।
এ প্রাণবন্ত, মহৎ বইটি দেখিয়েছে একটি উপন্যাস কী, আর কী করতে পারে। এটা কখনও ফিসফিস করে, কখনও চিৎকার করে, কখনও আনন্দের কান্নার মাধ্যমে এবং কখনও কখনও একটি তিক্ত হাসির সঙ্গে বলা গল্প।
এই রকম সংবাদ আরো পেতে হলে এই লেখার উপরে ক্লিক করে আমাদের ফেসবুক ফ্যান পেইজে লাইক দিয়ে সংযুক্ত থাকুন। সংবাদটি সম্পর্কে মন্তব্য করতে হলে এই পেইজের নীচে মন্তব্য করার জন্য ঘর পাবেন