ম্যারাডোনার মেয়ের বিরুদ্ধে চুরির অভিযোগ
ফুটবলের জীবন্ত কিংবদন্তি দিয়েগো ম্যারাডোনা। হাত দিয়ে গোল করে প্রথম বিতর্কের জন্ম দিয়েছিলেন তিনি। খেলা ছেড়েছেন সেই কবেই। কিন্তু বিতর্ক এখনও তাড়া করছে সর্বকালের অন্যতম সেরা এই ফুটবলারকে। সর্বশেষ নিজের দুই মেয়ে জিয়ান্নিনা ও দালমারতাদের বিরুদ্ধে চুরির অভিযোগ আনলেন ১৯৮৬ সালের বিশ্বকাপজয়ী আর্জেন্টাইন অধিনায়ক।
ম্যারাডোনার অভিযোগ, তাঁকে অন্ধকারে রেখে মেয়ে ডালমা এবং জিয়ানিনা তাঁর প্রায় দুই মিলিয়ন ডলার প্যারাগুয়ের একটি ব্যাংকে ট্রান্সফার করে নিয়েছেন। পরে সেই টাকা দিয়ে তারা মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে সম্পত্তি কিনেছেন বলেও দাবি এই ফুটবল কিংবদন্তির। তাই দুই মেয়েকে জেলে পাঠাতে চান তিনি।
ম্যারাডোনা তার আইনজীবীকে জানিয়েছেন, তার সাবেক স্ত্রী ক্লদিয়া ভিলাফাম্নের প্ররোচনায় তার দুই মেয়ে অর্থ আত্মসাৎ করে উরুগুয়ের এক ব্যাংকে পাচার করেছেন। যদিও এই খবরের পর ম্যারাডোনার দুই মেয়ের কোনো বক্তব্য পাওয়া যায়নি।
স্পেনের সংবাদপত্র মারকাকে ম্যারাডোনার আইনজীবী জানিয়েছেন, ‘টাকা সরানো নিয়ে আইনি লড়াই চলাকালে জিয়ান্নিনা কয়েক ঘণ্টার জন্য উরুগুয়ে চলে যান। এর কারণ কী? বেড়াতে যাওয়া নয় নিশ্চয়? উরুগুয়ের ব্যাঙ্কে জিয়ান্নিনার অ্যাকাউন্ট ছিল। সেই টাকা সেখান থেকে সরানো হয়েছে।’
উল্লেখ্য, ভিলফানের সঙ্গে ম্যারাডোনার সম্পর্ক ছিল ১৯৯৮ থেকে ২০০৩ সাল পর্যন্ত। এবার সেই ভিলফানের বিরুদ্ধেই জালিয়াতির অভিযোগ এনেছেন দিয়েগো। তার দাবি, ভিনফানের মাথা থেকেই টাকা সরানোর মতলব এসেছিল।
এর আগেও ম্যারাডোনা একই ধরনের অভিযোগ করেছিল দালমা আর জিয়াম্নিনার মা ক্লদিয়ার বিরুদ্ধে। সেবারও তার অভিযোগ ছিল ক্লদিয়া তার অ্যাকাউন্ট থেকে ৯ মিলিয়ন ডলার আত্মসাৎ করেছিলেন। এক বছর আগে ম্যারাডোনা তার বান্ধবী অলিভার বিরুদ্ধেও অর্থ আত্মসাতের মামলা করেছিলেন। কিন্তু ম্যারাডোনার পুরনো কোনো মামলারই সুরাহা হয়নি এখনও।
এই রকম সংবাদ আরো পেতে হলে এই লেখার উপরে ক্লিক করে আমাদের ফেসবুক ফ্যান পেইজে লাইক দিয়ে সংযুক্ত থাকুন। সংবাদটি সম্পর্কে মন্তব্য করতে হলে এই পেইজের নীচে মন্তব্য করার জন্য ঘর পাবেন