ময়মনসিংহের তারাকান্দায় কাবিটা-কাবিখা প্রকল্পে অনিয়ম


ময়মনসিংহের তারাকান্দা উপজেলায় অতি দরিদ্র, ভূমিহীন ও বেকার মানুষদের খাদ্য নিশ্চিতকরণের জন্য কাজের বিনিময়ে খাদ্য (কাবিখা), কাজের বিনিময়ে টাকা (কাবিটা) প্রকল্পে শ্রমিক দিয়ে মাটি কাটার বাধ্যবাধকতা থাকলে বাস্তবে এর প্রতিফলন নেই।
এস্কেভেটর (ভেকু নামে পরিচিত) মেশিন দিয়ে সস্তায় মাটি কাটার বড় ধরনের অনিয়ম ও দুর্নীতির কারণে সরকারের গ্রামীণ এলাকায় কর্মসংস্থান সৃষ্টি এবং দরিদ্র জনগোষ্ঠীর আয় বৃদ্ধির কর্মসূচি ব্যাহত হচ্ছে।
রামপুর ইউনিয়নে ২০২২-২৩ অর্থবছরে গ্রামীন অবকাঠামো রাস্তা পূনঃনির্মাণ ও সংস্কার কাজে তিনটি প্রকল্প গ্রহণ করা হয়। (কাবিটা) ৪ লাখ ৪০ হাজার টাকা, কাবিখা গম ২.৯০০ মেঃটন কাবিখা চাল ২.৯০০ মেঃটন।
সরেজমিনে ওই সকল প্রকল্প ঘুরে দেখা যায়, কাবিটা প্রকল্পে ফরিদপুর ব্রীজ হতে তারাটি ঈদগাহ মাঠ পর্যন্ত রাস্তা পূনঃনির্মাণ ৪ লাখ ৪০ হাজার টাকা ও কাবিখা প্রকল্পে চাড়িয়া বাজার সোহেলের দোকান হতে ঘোষপাড়া কালাম মাস্টারের বাড়িপর্যন্ত রাস্তা পূনঃনির্মাণ ২.৯০০ মেঃটন গম’র বরাদ্দ রয়েছে।
কিন্তু বাস্তবে ওই দুইটি রাস্তায় দৃশ্যমান কোন কাজ নেই বলে স্থানীয়এলাকাবাসী জানান। অথচ ওই সকল প্রকল্পের ৫০% বিল উত্তোলন করেছেন প্রকল্প চেয়ারম্যান। এসব অনিয়ম হচ্ছে সংশ্লিষ্ট সরকারি কর্মকর্তাদের চোখের সামনে। কিন্তু, কাউকেই কোনো ব্যবস্থা নিতে দেখা যাচ্ছে না এ বিষয়ে ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন স্থানীয় জনসাধারণ।
অন্যদিকে, রামপুর ইউনিয়নে ডিবি রাস্তা হতে রামপুর প্রাথমিক বিদ্যালয় হয়ে সাহাবুদ্দিনের বাড়ী পর্যন্ত রাস্তা পূনঃ নির্মাণ ২.৯০০ মেঃটন চাল বরাদ্দ দেওয়া হয়।
রামপুর ইউনিয়নের ইউপি সদস্য ও প্রকল্পের চেয়ারম্যান মোঃ বীর মুক্তিযোদ্ধা গিয়াস উদ্দিন জানান, ভেকু দিয়ে ঘন্টায় আঠারো শত টাকা দরে মাটির কাঁচা রাস্তা সংস্কার কাজ করেছেন।
ওই প্রকল্পে তিনি সরকারের নিয়ম বহির্ভূত কাজ করেছেন, এস্কেভেটর দিয়ে মাটি কাটিয়েছেন, অথচ প্রকল্পের কমিটি, শ্রমিক দিয়ে কাজ করার মাধ্যমে মাস্টাররোল পিআইও অফিসে জমা দিয়ে বিল উত্তোলন করেছেন।
৬ নং ওর্য়াডের রামপুর ইউনিয়নের ইউপি সদস্য ও প্রকল্প চেয়ারম্যান মুকুল মিয়া তিনি জানান, ফরিদপুর ব্রীজ’র রাস্তায় কত লক্ষ টাকার প্রকল্প আমি জানিনা, তবে ইউপি চেয়ারম্যান আজিজুল হক বুলে ৫০% বিল উত্তোলন করেছেন। এ ব্যাপারে ইউপি চেয়ারম্যান আজিজুল রহমান জানান, আমি সঠিকভাবে প্রকল্প দিয়েছি। আমার জানা মতে প্রকল্পে কোন অনিয়ম হয়নি। এই বিষয়ে সংশ্লিষ্ট কবিটা-কবিখা প্রকল্প চেয়ারম্যানরা আরো ভালো বলতে পারবে।
এ বিষয়ে প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা জাকারিয়া আলম তালুকদার জানান দুর্নীতি ও নিয়মের প্রশ্নই আসে না, মাঠ পর্যায়ে তদন্ত করে প্রকল্পের কাজ সম্পন্ন না হওয়া পর্যন্ত আর কোন বিল দেওয়া হবে না।
তারাকান্দা উপজেলা নির্বাহী অফিসার মিজাবে রহমত জানান বিষয়টি অবগত হয়েছি তদন্তপূর্বক প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

এই রকম সংবাদ আরো পেতে হলে এই লেখার উপরে ক্লিক করে আমাদের ফেসবুক ফ্যান পেইজে লাইক দিয়ে সংযুক্ত থাকুন। সংবাদটি সম্পর্কে মন্তব্য করতে হলে এই পেইজের নীচে মন্তব্য করার জন্য ঘর পাবেন