যতক্ষণ নিঃশ্বাস-প্রশ্বাস আছে জয় বাংলার গান গাইব- তথ্য প্রতিমন্ত্রী
তথ্য ও সম্প্রচার প্রতিমন্ত্রী ডা. মো.মুরাদ হাসান এমপি বলেছেন, পৃথিবীর নির্যাতিত, নিপীড়িত, শোষিত, বঞ্চিত, মুক্তিকামী মানুষের আজন্মের অনুপ্রেরণা ছিলেন জাতির পিতা। যিনি বাঙালি জাতিকে স্বাধীন সার্বভৌম জাতি হিসেবে সংজ্ঞায়িত করেছেন, বাঙালি জাতিকে হাজার বছরের পরাধীনতার শৃঙ্খল ভেঙে স্বাধীনতা এনে দিয়েছিলেন। জাতির পিতার জয় বাংলা শ্লোগানে অনুপ্রাণিত হয়েই ৭ কোটি নিরস্ত্র বাঙালি যুদ্ধে ঝাঁপিয়ে পড়েছিলেন। তাই যতক্ষণ নিঃশ্বাস-প্রশ্বাস আছে জয় বাংলার গান গাইব।
(শনিবার) জামালপুরের বকশিগঞ্জ উপজেলাধীন “কামালপুর হানাদারমুক্ত দিবস” উপলক্ষে আলোচনা সভায় বিশেষ অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
ডা. মুরাদ হাসান বলেন, ধর্মনিরপেক্ষতা মানে ধর্মহীনতা নয়। এ দেশে সবারই পূর্ণ ধর্মীয় অধিকার রয়েছে। কেউ কাউকে এতে বাধা দিতে পারবে না। তবে ধর্ম নিয়ে রাজনীতি বা ধর্ম নিয়ে ব্যবসা এ দেশে চলবে না। ধর্মকে পুঁজি করে যারা রাজনীতি করে, তাদের ধর্মপ্রীতি নিতান্তই লোক দেখানো। ধর্মীয় অনুশাসনকে এরা কখনোই অন্তর দিয়ে গ্রহণ করেনা এবং অনুশাসন মেনে চলেনা।
প্রতিমন্ত্রী মুরাদ আরো বলেন, ১৯৭০ সালের সাধারণ নির্বাচনে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ জাতির পিতার নেতৃত্বে নৌকা প্রতীক ৬৪ শতাংশ ভোট পেয়েছিলেন। বাকি ৩৬ শতাংশ ভোটার ছিলো আওয়ামী লীগের বাইরে, অর্থাৎ রাজাকার-দালাল। সেই রাজাকারের উত্তরসূরিরা এখনো এই বাংলায় বসবাস করছে এবং নিত্যনতুন ষড়যন্ত্রে করছে;তাদের এই ষড়যন্ত্র আমাদেরকেই রুখে দিতে হবে। ডা. মুরাদ হাসানের মতো লক্ষকোটি সন্তানেরা দেশরত্ন শেখ হাসিনার জন্য রাজপথে জীবন উৎসর্গ করতে পিছপা হবে না।
বৃহত্তর ময়মনসিংহ সমন্বয় পরিষদ এর সভাপতি মোঃ আবুল কালাম আজাদের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন মাননীয় মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রী আ ক ম মোজাম্মেল হক এমপি, বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন সাবেক মন্ত্রী আবুল কালাম আজাদ এমপি, সাবেক সিনিয়র সচিব ড. জাফর উদ্দীন ও সাবেক সিনিয়র সচিব মোঃ আব্দুস সামাদ সহ হারুন হাবীব, রাশেদুল হাসান শেলী প্রমুখ।
এই রকম সংবাদ আরো পেতে হলে এই লেখার উপরে ক্লিক করে আমাদের ফেসবুক ফ্যান পেইজে লাইক দিয়ে সংযুক্ত থাকুন। সংবাদটি সম্পর্কে মন্তব্য করতে হলে এই পেইজের নীচে মন্তব্য করার জন্য ঘর পাবেন