হত্যা

যশোরে ধানক্ষেতে মিললো চা দোকানির লাশ

যশোরের মনিরামপুর উপজেলার রাজগঞ্জে ধান ক্ষেতে আব্দুল জলিল বিশ্বাস (৬০) নামের এক চা দোকানির লাশ পাওয়া গেছে।

বৃহস্পতিবার সকাল পৌনে আটটার দিকে পুলিশ রাজগঞ্জের ঝাঁপা ইউনিয়নের খালিয়া গ্রাম থেকে লাশটি উদ্ধার করা হয়। লাশের কপালে ক্ষত চিহ্ন রয়েছে।

আব্দুল জলিল ওই গ্রামের মৃত আজিবার বিশ্বাসের ছেলে।

স্থানীয় খালিয়া মাদ্রাসা মোড়ে তার চা দোকান রয়েছে। দীর্ঘ ২০ বছর ধরে তিনি সেখানে চা বিক্রি করেন।

স্থানীয়রা জানান, আব্দুল জলিল বৃহস্পতিবার ভোরে বাড়ি থেকে দোকানের উদ্দেশে বের হন। এরপর কে বা কারা তাকে কুপিয়ে ও শ্বাসরোধে হত্যা করে। পরে বাড়ির অদূরে রাস্তার ধারে আব্দুল গনি নামের এক ব্যক্তির ধান ক্ষেতে লাশ ফেলে মাথা ও মুখের উপর মাটি চাপা দিয়ে রাখে। সকালে খেজুরের রস আনতে যাওয়ার সময় আবু তালেব নামে এক ব্যক্তি লাশ পড়ে থাকতে দেখেন। পরে স্থানীয়রা পুলিশে খবর দেন। খবর পেয়ে মণিরামপুর সদর সার্কেলের এএসপি সোয়েব আহমেদ খান, মণিরামপুর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) রফিকুল ইসলাম, ওসি (তদন্ত) শিকদার মতিয়ার রহমান ও রাজাগঞ্জ পুলিশ তদন্ত কেন্দ্রের ইন্সপেক্টর শাহজাহান আহমেদ ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন।

নিহতের বোন আকলিমা খাতুন বলেন, দোকানে যাওয়ার সময় ভাই বলেছিল সকালে তার জন্য রুটি নিয়ে যেতে। সাথে ভাবিকে নিতে বলেছিল। বলেছিল, আমাদের নিয়ে ভাই এক জায়গায় যাবে।

আব্দুল জলিলের স্ত্রী শাহিদা বেগম বলেন, প্রতিদিন ফজরের আজানের আগে দোকানে যান আমার স্বামী। আজও সেই সময়ে উঠে দোকানে রওয়ানা হন। পরে সকালে তার লাশের খবর পাই।

কারো সাথে আব্দুল জলিলের শত্রুতা ছিল কিনা তা জানাতে পারেননি শাহিদা বেগম।

স্থানীয় ঝাঁপা ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান সামছুল হক মন্টু বলেন, গ্রামে কারো সাথে আব্দুল জলিলের শত্রুতা ছিল না।

মনিরামপুর থানার পরিদর্শক (তদন্ত) শিকদার মতিয়ার রহমান ঘটনাস্থল থেকে বলেন, প্রাথমিকভাবে হত্যার ব্যাপারে কিছু জানা যায়নি। লাশ উদ্ধার করে মর্গে পাঠানো হচ্ছে।

মণিরামপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) রফিকুল ইসলাম জানান, জালাল বিশ্বাসের খালিয়া বাজারে চায়ের দোকান রয়েছে। দোকান খোলার জন্য তিনি ফজরের নামাজ পড়ে বাড়ি থেকে বের হন। এরপর সকাল সাড়ে ৮টার দিকে একটি ধানক্ষেতে তার মরদেহ দেখতে পান স্থানীয়রা। খবর পেয়ে পুলিশ তার মরদেহ উদ্ধার করে যশোর জেনারেল হাসপাতালের মর্গে পাঠিয়েছে।

ওসি আরো জানান, তার মাথার পেছন দিকে আঘাতের চিহ্ন রয়েছে। ধারণা করা হচ্ছে পেছন থেকে কেউ মাথায় আঘাত করায় তার মৃত্যু হয়েছে। তবে কে বা কারা কী কারণে তাকে হত্যা করেছে, তা উদঘাটনে তদন্ত শুরু হয়েছে এবং মামলা প্রক্রিয়াধীন রয়েছে।