যশোরের মণিরামপুরে গরু ব্যবসায়ীর ১৭ লাখ টাকা ছিনতাই

যশোরের মণিরামপুরে দুই গরু ব্যবসায়ীকে মারধর করে ১৭ লাখ টাকা ছিনিয়ে নেওয়ার অভিযোগ উঠেছে।

বুধবার (২৯ জুন) সন্ধ্যায় উপজেলার দক্ষিণ হালসা গ্রামে ঘটনাটি ঘটে। ছিনতাইকারীরা আশপাশের এলাকার বলে জানা গেছে। তবে ভয়ে কেউ তাঁদের বিষয়ে মুখ খুলছেন না।

খবর পেয়ে সন্ধ্যায় ঘটনাস্থলে যান থানা-পুলিশ। পাড়দিয়া এলাকার স্থানীয় সাবেক ইউপি সদস্য ইউনুস আলী জানান- নোয়াখালীর লক্ষ্মীপুর এলাকা থেকে দুই গরু ব্যবসায়ী আত্মীয়তার সূত্রে পাড়দিয়া এলাকায় ফজলু দফাদারের বাড়িতে আসেন। তারা মূলত এ এলাকায় আত্মীয়ের বাড়ি থেকে গরু কিনে ট্রাকে করে নিয়ে যান। বুধবার সন্ধ্যার পূর্বে একটি ভ্যানে চড়ে তারা হালসা এলাকায় গরু কিনতে বের হন। ভ্যানটি গ্রামের তাজাম্মুলের বাড়ির সামনে পৌঁছালে ৪-৫ টা মোটরসাইকেলে ছিনতাইকারীরা এসে ব্যবসায়ীদের ঘিরে ফেলে। এরপর মারধর করে তাদের কাছে থাকা ১৭ লাখ টাকা ছিনিয়ে নিয়ে চলে যায়।

প্রত্যক্ষদর্শী ভ্যানচালক মহাদেব কুমার বলেন- নোয়াখালীর দুই ব্যাপারী প্রতি বছর এ এলাকায় এসে গরু কিনে নিয়ে যায়। বৃহস্পতিবার (৩০ জুন) সকালে হালসা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সামনে থেকে একটি ট্রাকে গরু বোঝাই হওয়ার কথা ছিল। সে জন্য বুধবার বিকেলে পাড়দিয়া গ্রামের তিন আত্মীয়কে নিয়ে নোয়াখালীর দুই ব্যবসায়ী আমার ভ্যানে উঠে গরু দেখতে যান। সেখান থেকে ফেরার পথে তাজাম্মুলের বাড়ির সামনে পৌছালে ৪-৫ টা মোটরসাইকেলে লোকজন এসে আচমকা আমাদের ওপর হামলা করে মারধর শুরু করে। আমার গায়েও কয়েকটা আঘাত লেগেছে। এরপর ওরা চলে যায়। যাওয়ার সময় কত টাকা নিয়ে গেছে তা বলতে পারবো না।

ঘটনার প্রত্যক্ষদর্শী ভ্যানচালক আরও বলেন- পুলিশ এসে আমার কাছে জিজ্ঞেস করেছে। আমি বলেছি, ছিনতাইকারীদের কারও চিনতে পারিনি।

আবু হুরায়রা নামে ভুক্তভোগীর আত্মীয় বলেন- ২০১২ সাল থেকে কোরবানীর ঈদের আগে লক্ষ্মীপুর থেকে ইসমাইল হোসেন আমাদের বাড়িতে আসেন। তারা দুজন গরু ব্যবসায়ী। আমাদের এলাকা থেকে গরু কিনে ট্রাকে করে নিয়ে যান। গত বছর ঈদের আগে ৪ ট্রাক গরু নিয়ে গিয়েছিলেন তারা।

আবু হুরায়রা আরও বলেন- এবারও তারা একই উদ্দেশ্যে এসে আমাদের এক চাচার বাড়ি উঠেছেন। ব্যাংক থেকে টাকা তুলে তারা গরু কিনতে বের হওয়ার পর তাদের পথে আটকিয়ে মারধর করে এবং সাথে থাকা সব টাকা নিয়ে যায় ছিনতাইকারীরা। টাকার পরিমাণ ১২ থেকে ২০ লাখ হবে।

এ ঘটনায় মণিরামপুর থানার ইনচার্জ (ওসি) নূর-ই-আলম সিদ্দীকি বলেন- খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পুলিশ পাঠিয়েছিলাম। তারা বিষয়টি খতিয়ে দেখছেন।