যশোরের মণিরামপুরে বিএনপির কমিটি গঠন নিয়ে দু’গ্রুপের হামলা-পাল্টা হামলা, আহত ১২
যশোরের মণিরামপুরে বিএনপির ওয়ার্ড কমিটি গঠন নিয়ে দু’গ্রুপের মধ্যে হামলা-পাল্টা হামলাসহ দলের অস্থায়ী কার্যালয়ের আসবাবপত্র ভাংচুরের ঘটনা ঘটেছে। মঙ্গলবার (০৭ জুন-২০২২) সন্ধ্যা থেকে মধ্যরাত পর্যন্ত এ ঘটনা ঘটে। এতে উভয় পক্ষের কমপক্ষে ১২জন আহত হয়েছেন। এ ঘটনায় দুই পক্ষের মধ্যে টানটান উত্তেজনা বিরাজ করছে। দলের সাধারণ নেতা-কর্মীরা আতঙ্কিত হয়ে পড়েছেন।
সংশ্লিষ্ট একাধিক সূত্র জানায়, মঙ্গলবার থানা বিএনপির যুগ্ম আহ্বায়ক জি এম মিজানুর রহমান ও খান শফিয়ার রহমানসহ দলের কতিপয় নেতা উপজেলার ভোজগাতী ইউনিয়নের ওয়ার্ড কমিটি করতে যায়। এ সময় স্থানীয় যুবদল নেতা জামির হোসেনের নেতৃত্বে একদল যুবক আয়েশা বেগম নামের এক নারী কর্মীর উপর হামলা করে। এ ঘটনার পর থানা বিএনপির যুগ্ম আহ্বায়ক জি এম মিজানুর রহমান ঘটনাস্থল ত্যাগ করেন।
বিষয়টি থানা পর্যায়ে গড়ালে মুছা গ্রুপের সমর্থকরা ওইদিন জামির হোসেন, ইমরান, আরিফুল ইসলামের উপর হামলা করে। এতে যুবদল নেতা জামির হোসেনের পা ভেঙ্গে দেওয়াসহ ছাত্রদল নেতা আরিফুল ও ইমরান হোসেন আহত হয়। আহতদেরকে মণিরামপুর হাসপাতাল ও ক্লিনিকে ভর্তি করা হয়। এ ঘটনার পর থেমে থেমে হামলা-পাল্টা হামলার ঘটনা ঘটে চলেছে।
পরে মুছা গ্রুপের ইজাজুল ইসলাম ও মহিবুল আলম মামুনকে পিটিয়ে আহত করে শহীদ ইকবাল গ্রুপের সমর্থকেরা। মুহুর্তের মধ্যে উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়ে। একপর্যায়ে পৌর বিএনপির আহ্বায়ক খায়রুল ইসলাম, সদস্য সচিব আবদুল হাইকে মুছা গ্রুপের সমর্থকেরা তল্লাশী করে এবং তাদের বাড়িতে ইট পাটকেল ছোঁড়ে।
এদিকে বুধবার (০৮ জুন-২০২২) দুপুরে শহীদ ইকবাল হোসেন গ্রুফের সমার্থক যুবদল নেতা ফরাদ হোসেন এবং ছাত্রদল নেতা সাজিদ হোসেনকে পৌর শহরের উত্তরমাথায় মারপিট করে গুরুতর আহত করে মুছা গ্রুপের সমার্থকরা। আহতরা মণিরামপুর হাসপাতালে ভর্তি রয়েছেন।
সংশ্লিষ্ট সূত্র জানায়- রাত ১১টার দিকে মুছা গ্রুপের কর্মী সমর্থকেরা বিএনপির নারকেল পট্টির অস্থায়ী কার্যালয়ের চেয়ার-টেবিল ও ফ্যান ভাংচুর করে। অবশ্য থানা বিএনপির আহ্বায়ক দলীয় কার্যালয় ভাংচুরের বিষয়টি অস্বীকার করে তিনি দাবী করেন, একদল দূর্বৃত্তরা চুরি করার উদ্দেশ্যে দরজা ভেঙ্গে কার্যালয়ের ফ্যানসহ অন্যান্য আসবাবপত্র চুরি করেছে। এ রিপোর্ট লেখার আগ পর্যন্ত এসব ঘটনায় কোনো পক্ষ থানায় কোনো অভিযোগ করেননি বলে জানিয়েছেন থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) নুর-ই আলম সিদ্দীকি।
দলের সিনিয়র নেতাদের গ্রুপিং-হামলা ও পাল্টা হামলার ঘটনার পর পৌর শহরসহ ইউনিয়ন পর্যায়ে দলের নেতা কর্মীদের মধ্যে আতঙ্ক বিরাজ করছে। এ রিপোর্ট লেখার আগ পর্যন্ত দুই পক্ষের মধ্যে টানটান উত্তেজনা বিরাজ করছিলো।
এই রকম সংবাদ আরো পেতে হলে এই লেখার উপরে ক্লিক করে আমাদের ফেসবুক ফ্যান পেইজে লাইক দিয়ে সংযুক্ত থাকুন। সংবাদটি সম্পর্কে মন্তব্য করতে হলে এই পেইজের নীচে মন্তব্য করার জন্য ঘর পাবেন