যশোরের মণিরামপুরে শেষ মুহুর্তে জমজমাট পশুহাট
দরজায় কড়া নাড়ছে মুসলিম সম্প্রদায়ের অন্যতম ধর্মীয় উৎসব পবিত্র ঈদুল আযহা। ঈদের আর মাত্র তিন দিন বাকি। ঐতিহ্যবাহী মণিরামপুর ও রাজগঞ্জ পশু হাটে বিক্রির উদ্দেশ্যে এবার প্রচুর পশু উঠানো হয়েছে।
এবছর শুরু থেকেই মণিরামপুর ও রাজগঞ্জ পশুহাট ছিলো দেশী গরু ও ছাগলের দখলে। তবে, এর আগের হাটগুলোয় পশু ক্রেতার সংখ্যা কম থাকলেও, ঈদ সন্নিকটে আসায় সোমবার (৪ জুলাই) রাজগঞ্জ ও মঙ্গলবার (০৫ জুলাই) মণিরামপুর পশুহাটে যেয়ে দেখা যায় বিক্রির জন্য উঠানো হয়েছে প্রচুর গরু ও ছাগল। ক্রেতাদেরও উপচে পড়া ভিড়। শেষ মুহুর্তে কোরবানির পশু বেচাকেনা করতে আসা ক্রেতা-বিক্রেতাদের পদচারনা ও দরদামে সকাল থেকে এরিপোর্ট লেখা পর্যন্ত (সন্ধ্যা ৭টা) মুখরিত ছিলো পশুহাট এলাকা। এসব ক্রেতা ও বিক্রেতারা দেশে বিভিন্ন জেলা উপজেলা থেকে এসেছেন বলে জানা গেছে।
মণিরামপুর পশু হাটের কয়েকজন বিক্রেতা বলেছেন- এবছর ৫০ হাজার থেকে ১ লক্ষ্য টাকার মধ্যের ক্রেতারাই বেশি। দেখা গেছে- মণিরামপুর ও রাজগঞ্জ পশুহাটে বাইরের ও অভ্যন্তরীন ক্রেতা-বিক্রেতাদের আগমনে শেষ মুহুর্তে জমে ওঠেছে কোরবানির পশু বেচাকেনা। ভাব বুঝে বিক্রেতারাও হাটে মাঝারি আকারের দেশী জাতের গরু ও ছাগল বিক্রির জন্য বেশি নিয়ে এসেছেন। এদিকে বিগত কয়েক হাটে আশানুরুপভাবে কোরবানির পশু বেচাকেনা না হলেও, শেষ মুহুর্তে বেচাকেনা জমে ওঠায় স্বস্তি ফিরেছে খামারী ও ব্যবসায়ীদের মধ্যে। পশুহাটে ক্রেতা বিক্রেতাদের সার্বিক নিরাপত্তা ব্যবস্থা রেখেই দিনভর বিক্রি হচ্ছে কোরবানির পশু। অন্যদিকে স্বল্প বাজেটে কোরবানির ক্ষেত্রে খাসি ছাগল বিক্রি হয়েছে তুলনামূলক বেশি। ৮ হাজার টাকা থেকে ১৫ হাজার টাকা দামের খাসি ছাগল বেশি বিক্রি হয়েছে বেশি।
মঙ্গলবার (০৫ জুলাই) বিকালে মণিরামপুর পশুহাটের গরু ক্রেতা মো. আশরাফুল ইসলাম (৪০) বলেন- এ হাটে প্রচুর গরু উঠেছে। এর মধ্যে থেকেই বাজেট অনুযায়ী গরু কিনেছি এবং গরু কিনতে পেরে ভালো লাগছে। এরকম আরও একজন ক্রেতা বলেন- এখনো গরু কিনতে পারিনি। তবে, কিনে ফেলবো ইনশাল্লাহ। রাজগঞ্জ পশুহাটের ইজারাদার ইমরান খান জানান- কোরবানির ঈদকে ঘিরে হাটের নিরাপত্তায় স্বেচ্ছাসেবক বাড়ানো হয়েছে। সার্বক্ষনিক স্বেচ্ছাসেবকরা হাটের ভিতর ঘুরে ঘুরে সার্বিক পরিস্থিতি নজরে রাখছে। এছাড়া হাটের বর্তমান পরিবেশ ক্রেতা ও বিক্রেতা বান্ধব রয়েছে। পুলিশের সদস্যরা পশুহাটে রয়েছেন।
আগামী রবিবার (১০ জুলাই) পবিত্র ঈদুল আযহা অনুষ্ঠিত হবে বলে তারিখ ঘোষনা করা হয়েছে। সেক্ষেত্রে ঈদের আগে অর্থাৎ বৃহস্পতিবার রাজগঞ্জে ও শনিবার মণিরামপুরে আর একটি করে পশুহাট হবে।
এই রকম সংবাদ আরো পেতে হলে এই লেখার উপরে ক্লিক করে আমাদের ফেসবুক ফ্যান পেইজে লাইক দিয়ে সংযুক্ত থাকুন। সংবাদটি সম্পর্কে মন্তব্য করতে হলে এই পেইজের নীচে মন্তব্য করার জন্য ঘর পাবেন