যশোরের মনিরামপুরে টিসিবির কার্ডধারীরা এবার পাননি সয়াবিন তেল

যশোরের মনিরামপুর উপজেলার টিসিবি কার্ডধারীরা এবার সয়াবিন তেল পাননি। টিসিবি পণ্য সরবরাহকারী ডিলাররা বলছেন তেল সংকট থাকায় দেওয়া সম্ভব হচ্ছে না।

সূত্রে জানা যায়- ট্রেডিং করপোরেশন অব বাংলাদেশ (টিসিবি) থেকে ফ্যামিলি কার্ড অনুযায়ী প্রতি মাসে ডিলারের মাধ্যমে ইউনিয়ন পরিষদ চত্বরে সরকার নির্ধারিত মূল্যে পণ্য সরবরাহ করে। নিম্ন আয়ের পরিবারের মানুষের জন্য ভর্তুকি মূল্যে এই পণ্য সরবরাহ করে টিসিবি।

গত মঙ্গলবার (০৩ ডিসেম্বর) মনিরামপুর উপজেলার বিভিন্ন ইউনিয়নে টিসিবির পণ্য ভর্তুকি মূল্যে বিক্রয় করা হয়েছে। ২/১ টা ইউনিয়নে বাদ রয়েছে। তাও খুব দ্রুত বিক্রয় করা হবে।

জানাগেছে- প্রতি মাসে একজন টিসিবি কার্ডধারীকে ৫ কেজি চাল, ২ লিটার তেল ও ২ কেজি মসুর ডাল ৪৭০ টাকা প্রতি প্যাকেজ দেওয়ার কথা থাকলেও এবার চিত্র ভিন্ন। চলতি পর্যায়ে প্রতি টিসিবি কার্ডধারী পরিবারকে ২৭০ টাকার বিনিময়ে শুধু ৫ কেজি চাল ও ২ কেজি মসুর ডাল দেওয়া হয়েছে। নিত্য প্রয়োজনীয় দ্রব্যের মধ্যে অন্যতম সয়াবিন তেল না পেয়ে নিম্ন আয়ের মানুষেরা ক্ষোভ প্রকাশ করছেন।

গত মঙ্গলবার উপজেলার চালুয়াহাটি ইউনিয়নে টিসিবি পণ্য ক্রয় করতে আসা আয়ুব হোসেন নামের এক ব্যক্তি বলেন- সরকারী মূল্যে প্রতি মাসে তেল, চাল ও ডাল ক্রয় করতাম। এতে অনেকটা উপকার হত, কিন্তু এবার এসে দেখি সয়াবিন তেল নাই। বাইরেও তো তেলের দাম বেশী সবকিছুর বাজার বেশী হওয়ায় আমরা একটু বিপাকে।

এ ইউনিয়নের টিসিবি পণ্য ক্রয় করতে আসা নজরুল ইসলাম বলেন- টিসিবি’র মাধ্যমে কম দামে সয়াবিন তেল ক্রয়ে অর্থ সাশ্রয় হয়। কিন্তু এবার না পেয়ে বাইরে খুচরা-পাইকারী দোকানে ২ লিটার সয়াবিন তেল ক্রয়ে প্রায় দেড়শ টাকা অতিরিক্ত খরচ হচ্ছে।

নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক টিসিবি পণ্য বিক্রয়কারীর এক সদস্য বলেন- টিসিবি ক্যাম্প অফিসে সয়াবিন তেল সংকট থাকায় চলতি মাসে ডিলারদের সয়াবিন তেল দেয়নি। এজন্য টিসিবি কার্ডধারীদের তেল দিতে পারছি না।

তিনি আরও বলেন- সয়াবিন তেলের জন্য সকল কার্ডধারী টিসিবি পণ্যের পুরো প্যাকেজ ক্রয় করে। কিন্তু এবার সয়াবিন তেল না থাকায় টিসিবি পণ্যে ক্রয়ে আগ্রহ কম দেখা যাচ্ছে।
উপজেলার হরিহরনগর ইউনিয়নের নাম প্রকাশ না করার শর্তে এক ইউপি সদস্য বলেন- বর্তমান সময়ে এমনিতেই নিত্য প্রয়োজনীয় দ্রব্যের বাজার বেশী। টিসিবি পণ্য কিনতে এসে সয়াবিন তেল না পাওয়ায় টিসিবি কার্ডধারীদের মাঝে ক্ষোভের সৃষ্টি হচ্ছে।

এই বিষয়ে জানতে উপজেলা নির্বাহী অফিসারের মোবাইল ফোনে যোগাযোগের চেষ্টা করা হলে, কোন সাড়া পাওয়া যায়নি।