যশোরের মনিরামপুরে মশা তাড়ানোর সাজালের আগুনে ছাই বিধবার শেষ সম্বল

প্রতিদিনের মত মশা তাড়াতে মশালে আগুন ধরিয়ে রান্না ঘরের এক কোনায় রেখে দিয়েছিলেন বিধবা মর্জিনা বেগম। সেই সাজাল (মশা তাড়ানোর জন্য জ্বালানো মশাল) থেকে সৃষ্ট আগুনে দুটি গরু ও দুটি ছাগলসহ রান্না ঘর পুড়ে ছাই হয়েছে বিধবার। এই ঘরের বারান্দায় থাকতেন মর্জিনা বেগম। ভিতরে ঘরে থাকত তাঁর বাঁচার অবলম্বন গরু ছাগাল।

বৃহস্পতিবার (২৭ অক্টোবর) মধ্যরাতে যশোরের মণিরামপুরের আম্রুঝুটা গ্রামে এ ঘটনা ঘটে। মর্জিনা বেগম ওই গ্রামের আব্দুল আজিজ সরদারের স্ত্রী। আগুন নেভাতে গিয়ে বিধবার ছোট ছেলে আজগার আলী আহত হয়েছেন।

আজগার আলী বলেন- বাবা নেই। মা রান্না ঘরের বারান্দায় ঘুমান। ঘরের ভিতরে দুটো গরু ও দুটো ছাগল থাকত। বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় গোয়াল ঘরে মশা তাড়ানোর জন্য মা সাজাল ধরিয়ে রান্না ঘরের এক কোনায় রাখেন। রাত সাড়ে ১১টার দিকে মা ঘরে আগুন দেখতে পান। তখন আমরা উঠে চিৎকার দিলে লোকজন এসে আগুন নেভায়। ততক্ষণে দুটো ছাগল ও দুটো গরুসহ রান্নাঘরের সব পুড়ে গেছে।

স্থানীয় আম্রুঝুটা ওয়ার্ডের ইউপি সদস্য দীলিপ সিংহ বলেন- মর্জিনা বেগমের স্বামী নেই। ছেলেরা গরিব। তিনি দুটো ছাগল ও দুটো গরু পালন করে কোনোমতে চলতেন। বৃহস্পতিবার রাতে রান্না ঘরের জ্বালানী কাটে সাজালের আগুন লাগে। এতে ঘরের চালসহ সব পুড়ে গেছে।

মেম্বর বলেন- রাত সাড়ে ১১টার দিকে বাড়ির লোকজন আগুন লাগার ঘটনা টের পান। তখন ঘরের মধ্যে দুটো ছাগল ও একটা গরু পুড়ে মারা গেছে। একটা গরু দাঁড়িয়ে ছিলো। এ দেকে মর্জিনা বেগমের ছোট ছেলে আজগার জীবিত গরুটি উদ্ধার করতে গিয়ে আহত হন। পরে বাইরে আনা হলে ওই গরুটা মারা গেছে।

ইউপি সদস্য দীলিপ সিংহ আরো বলেন- শেষ সম্বল হারিয়ে বিধবা নিঃস্ব হয়ে গেছেন। সরকারিভাবে তাঁকে সহযোগিতার চেষ্টা করা হবে।