যশোরের শার্শায় কিশোরী গণধর্ষন, যুবক গ্রেফতার

যশোরের শার্শার বাগআঁচড়া সোনাতনকাটি গ্রামে ৬ষ্ঠ শ্রেণীর এক ছাত্রীকে গণধর্ষন করার পর তাকে হত্যার উদ্দেশ্য পুকুরে ফেলে দেয়া হয়। -এ ধরনের অভিযোগে শার্শা থানায় ৩ জনকে আসামী করে ধর্ষিতার বাবা মামলা করেন।

অভিযোগের পর পুলিশ সোমবার রাতে সাগর (২৮) নামে এক যুবককে আটক করে। এসময় দু’জন পালিয়ে যায়।

ধর্ষিতার বাবা জানান, গত শনিবার (২৪ জুলাই) রাত ৮টার দিকে তার কিশোরী মেয়ে প্রতিবেশীর বাড়ি থেকে ফেরার পথে সোনাতন কাটি গ্রামের আক্তারুলের ছেলে সাগর (২৮) ও শফিকুল ইসলামের ছেলে সুমন (১৮) এবং সাতক্ষীরার কলারোয়া থানার ধানঘুরা গ্রামের রেজাউল সর্দারের ছেলে নাহিদ (২৫) অন্ধকারে তার মেয়ের পথ আটকে মুখ চেপে ধরে টেনে হেঁচড়ে পুকুর পাড়ের জঙ্গলের ভিতরে নিয়ে পালাক্রমে ধর্ষণ করে। পরে পুকুরের পানিতে তাকে ডুবিয়ে হত্যার চেষ্টা করে।

মেয়েকে না পেয়ে কিশোরীর বাবা ও আত্মীয়-স্বজন তাকে খোঁজাখুঁজি ও নাম ধরে ডাকতে থাকলে ধর্ষণকারীরা তাকে পানিতে ফেলে পালিয়ে যায়।

পরে কিশোরীর পিতা গরীব ভ্যান চালক ও চাচাতো ভাই সুমন আহত অবস্থায় পুকুর থেকে তাকে উদ্ধার করে।

ঘটনাটি জানাজানি হওয়ায় গত ২৬ জুলাই সোমবার সোনাতনকাটি গ্রামে একটি ঘরের ভিতর গোপনে টাকার বিনিময়ে প্রভাবশালী একটি মহল মিমাংসার চেষ্টা করেন।

খবর পেয়ে বাগআঁচড়া পুলিশ তদন্ত কেন্দ্রের ইনচার্জ মোহাম্মদ মাহমুদ আল ফরিদ ভুইয়া উপস্থিত হলে মিমাংসার চেষ্টাকারীরা পালিয়ে যায়। পুলিশ শালিশের স্থান থেকে আসামি সাগরকে আটক করে এবং ধর্ষনের শিকার কিশোরীকে পুলিশের হেফাজতে নেয়।

শার্শা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা ওসি বদরুল আলম খান জানান, প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে আসামী সাগর স্বীকার করেছে তারা তিনজন মিলে এ অপকর্ম করেছে। বাকি দুই আসামিকে আটকের চেষ্টা চলছে এবং মেয়েটিকে ডাক্তারী পরীক্ষার জন্য যশোর সদর হাসপাতলে পাঠানো হয়েছে।