যশোরের শার্শায় পবিত্র মাহে রমজানে নিত্য প্রয়োজনীয় দ্রব্যমূল্য নিয়ন্ত্রণে রাখতে নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেটের অভিযান
আগামীকাল শুক্রবার শুরু হচ্ছে “পবিত্র রমজান” মাস। রমজানে নিত্য প্রয়োজনীয় দ্রব্যাদীর মূল্য নিয়স্ত্রণে রাখতে সরকারের মন্ত্রী পরিষদ বিভাগ থেকে বাজার নজরদারীর উপর গুরুত্ব আরোপ করা হয়েছে।
সূত্র বলছে,সাধারণ মানুষের কথা ভেবে সরকার নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যের সরবরাহ, মজুত ও মূল্য স্বাভাবিক রাখতে সব ধরনের পদক্ষেপ নিয়েছে। ভোক্তার অধিকার সুরক্ষায় বাংলাদেশ ট্রেড অ্যান্ড ট্যারিফ কমিশন এবং জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদফতর কাজ করছে। ব্যবসায়ী সংগঠন, ব্যবসায়ী এবং ব্যবসা প্রতিষ্ঠানগুলোকে সততার সঙ্গে ব্যবসা পরিচালনার জন্য সব ধরনের সহযোগিতা দেওয়া হচ্ছে।
বাজার নিয়ন্ত্রণে কঠোর অবস্থানে সরকার বিশেষ করে রমজান মাসে এটি জোরদার করার ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে। অভিযোগ রয়েছে, দ্রব্যমূল্য বৃদ্ধিতে বাজারে কতিপয় অসাধু ব্যবসায়ীরা জড়িত। অনৈতিক মুনাফার আশায় তারা বাজারকে অস্থির এবং সরকারকে বিব্রত করছে বলে মনে করেন সংশ্লিষ্টরা। এ ধরনের অনিয়মের বিরুদ্ধে নিয়মিত বাজার অভিযান পরিচালনা করা হচ্ছে।
দেশের অন্যান্য জেলা-উপজেলার ন্যায় বাজারে নিত্য প্রয়োজনীয় দ্রব্যমূল্য নিয়ন্ত্রণে রাখতে যশোর জেলার শার্শা উপজেলার বেনাপোল বাজারে আজ বৃহস্পতিবার (২৩ মার্চ/২০২৩) ইং তারিখ বিকালে এক ঝটিকা অভিযান পরিচালনা করেন শার্শা উপজেলার নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট ফারজানা ইসলাম,সহকারী কমিশনার(ভূমি)। এসময় তিনি বেনাপোল বাজারের প্রায় বেশ কয়েকটি মূদি ও কাঁচা মালের দোকান পরিদর্শণ করেন। ছোট-বড় সকল ব্যবসায়ী এবং ভোক্তাদের সাথে দ্রব্য মুল্য নিয়ে কথাবার্তা বলেন।
বাজার পরিদর্শণ কালে তিনি সাংবাদিকদের সাথে সরকারের কিছু দিকনির্দেশনা ও আইনি পদক্ষেপ সম্পর্কে অবহিত করে বলেন, বাজারে কোনও ধরনের সিন্ডিকেট, নৈরাজ্য ও একচেটিয়া অধিকার মেনে নেবে না সরকার। নির্ধারিত মূল্যের অতিরিক্ত দামে কেউ কোনও পণ্য বিক্রি করলে এখন থেকে অসাধু ব্যবসায়ীদের বিরুদ্ধে কঠোর আইনি ব্যবস্থা নেওয়া হবে। শুধু জরিমানা আদায় নয়, এজন্য সরাসরি মামলা দায়ের করার নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে।
অভিযানের সময় দোকানে দ্রব্য মূল্য তালিকা না রাখায় জাহিদ স্টোর কে ২০০০(দুই হাজার) টাকা এবং মূল্য তালিকায় পণ্যের নাম গোপণ করায় আশিক দোকানদারকে ৫০০(পাঁচশত) টাকা জরিমানা করা হয়।
বেনাপোল বাজার মনিটরিং করার সময় ম্যাজিস্ট্রেটের সহযোগী হিসেবে অংশ নেন-বাজার কমিটির সভাপতি-আজিজুর রহমান,সাধারণ সম্পাদক-বজলুর রহমান। এ ছাড়াও বাজার কমিটির অন্যান্য নেতৃবৃন্দ অভিযানে অংশ নেন।আইন শৃঙ্খলা রক্ষায় নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেটকে সার্বক্ষনিক সহায়তা প্রদান করে বেনাপোল পোর্টথানা পুলিশ।
এই রকম সংবাদ আরো পেতে হলে এই লেখার উপরে ক্লিক করে আমাদের ফেসবুক ফ্যান পেইজে লাইক দিয়ে সংযুক্ত থাকুন। সংবাদটি সম্পর্কে মন্তব্য করতে হলে এই পেইজের নীচে মন্তব্য করার জন্য ঘর পাবেন