যানজটের শহরের তালিকায় বিশ্বে ঢাকা প্রথম
যানজটের শহরের তালিকায় এখন ঢাকা প্রথম স্থান দখল করে নিয়েছে। আর এর পরেই রয়েছে ভারতের শহর কলকাতার। তৃতীয় অবস্থানেও রয়েছে ভারতের নয়াদিল্লি।
যানজটের জন্য ঢাকার স্কোর ২৯৭ দশমিক ৭৬। আর ২৮৩ দশমিক ৬৮ স্কোর নিয়ে দ্বিতীয় স্থানে রয়েছে কলকাতা। ২৭৭ দশমিক ৮১ স্কোর নিয়ে তৃতীয় অবস্থানে রয়েছে ভারতের রাজধানী দিল্লি।
অনলাইনভিত্তিক জরিপ প্রতিষ্ঠান ‘নামবিও’ প্রকাশিত ট্রাফিক ইনডেক্স-২০১৯ এ এসব তথ্য তুলে হয়েছে।
শনিবার নামবিওর ওয়েবসাইটে প্রকাশিত এ সূচকের তথ্য মতে, যানজটের দিক থেকে চতুর্থ স্থানে রয়েছে কেনিয়ার রাজধানী নাইরোবি। পঞ্চম ইন্দোনেশিয়ার রাজধানী জাকার্তা, ষষ্ঠ শ্রীলঙ্কার কলম্বো এবং সপ্তম স্থানে রয়েছে ভারতের মুম্বাই।
নামবিও এ তালিকা প্রণয়ন করতে বিভিন্ন দেশের রাজধানী ও গুরুত্বপূর্ণ ২০৭টি শহরকে বিবেচনায় করেছে।
এর আগে ২০১৮ এবং ২০১৭ সালে ঢাকার অবস্থান ছিল দ্বিতীয়। তবে ২০১৬ সালে ঢাকার অবস্থান ছিল তৃতীয় এবং ২০১৫ সালে অষ্টম।
এদিকে ২০১৯ সালেও বিশ্বের সবচেয়ে কম যানজটপূর্ণ শহরের মধ্যে গতবারের শীর্ষস্থান ধরে রেখেছে অস্ট্রিয়ার রাজধানী ভিয়েনা।
এরপর রয়েছে চেক রিপাবলিকের শহর বিয়ারনো, ডেনমার্কের কোপেনহেগেন, সুইডেনের গোথেনবার্গ ও জার্মানির ফ্রাঙ্কফুট।
এ সূচক প্রণয়নে কয়েকটি উপ-সূচক ব্যবহার করেছে নামবিও। এর মধ্যে রয়েছে সময় সূচক, সময় অপচয় সূচক, অদক্ষতা সূচক ও কার্বন-নিঃসরণ সূচক।
সময় সূচকে কোনো গন্তব্যে পৌঁছাতে আসলে ঠিক কত সময় (মিনিটে) লাগছে তা বোঝানো হয়েছে। এ ক্ষেত্রে কর্মস্থল বা স্কুলে যাতায়াত সময়কে বিবেচনায় নেয়া হয়েছে।
এর মধ্যে সময় সূচক, সময় অপচয় সূচক ও অদক্ষতা সূচকে ঢাকার অবস্থান রয়েছে শীর্ষে। আর কার্বন নিঃসরণ সূচকে ঢাকার অবস্থান ১০৯তম।
অদক্ষতার সূচক মূলত ট্রাফিক ব্যবস্থাপনায় অদক্ষতা নির্দেশ করে। অর্থাৎ ট্রাফিক অব্যবস্থাপনা অর্থনৈতিক কর্মকাণ্ডে কী প্রভাব ফেলছে, তা বিবেচনা করা হয়েছে।
প্রতিষ্ঠানটি বলছে, মানুষ সময় বাঁচাতে গণপরিবহন বাদ দিয়ে ব্যক্তিগত গাড়ি ব্যবহার করছে। এতে করে রাস্তায় গাড়ির সংখ্যা বেড়ে গেছে।
বিশ্বের বিভিন্ন শহরের নানা পরিসংখ্যান সংগ্রহ করে অনলাইনে তা প্রকাশ করে নামবিও।
এর মধ্যে রয়েছে জীবনযাপনের ব্যয়, অপরাধের হার, স্বাস্থ্যসেবার গুণগত মান ও যানজটের অবস্থা।
প্রতিষ্ঠানটি তথ্য সংগ্রহের ক্ষেত্রে ফোর্বস, বিজনেস ইনসাইডার, টাইম, দ্য ইকনোমিস্ট, বিবিসি, দ্য নিউইয়র্ক টাইমস, চায়না ডেইলি, দ্য টেলিগ্রাফসহ বিশ্বের খ্যাতনামা বিভিন্ন সংবাদপত্র ব্যবহার করে থাকে।
এই রকম সংবাদ আরো পেতে হলে এই লেখার উপরে ক্লিক করে আমাদের ফেসবুক ফ্যান পেইজে লাইক দিয়ে সংযুক্ত থাকুন। সংবাদটি সম্পর্কে মন্তব্য করতে হলে এই পেইজের নীচে মন্তব্য করার জন্য ঘর পাবেন