যুক্তরাষ্ট্রকে টপকে সবচেয়ে বড় অর্থনীতির দেশ হচ্ছে চীন!
যুক্তরাষ্ট্রকে টপকে বিশ্বের সবচেয়ে বড় অর্থনীতির দেশ হবে চীন। ২০২৮ সালেই এটি ঘটবে বলে ভবিষ্যতবাণী করেছে সেন্টার ফর ইকোনমিক অ্যান্ড বিসনেজ রিসার্চ (সিইবিআর)।
আন্তর্জাতিক গবেষণা প্রতিষ্ঠানটি শনিবার চীনের বৃহৎ অর্থনেতিক শক্তি হিসেবে আত্মপ্রকাশের এই তথ্য প্রকাশ করে।
একইসঙ্গে সিইবিআর জানিয়েছে, তারা আগে যে ভবিষ্যতবাণী করেছিল তার চেয়ে ৫ বছর আগেই চীন যুক্তরাষ্ট্রকে টপকে যাবে। খবর দ্য গার্ডিয়ান ও রয়টার্সের।
অর্থনীতিতে যুক্তরাষ্ট্রকে টপকে শীর্ষ স্থান চীন দখল করবে- এমন ভবিষ্যতবাণী বিভিন্ন সংস্থা করে আসছে কয়েক বছর থেকে।
সিইবিআরের সর্বশেষ ভবিষ্যতবাণীর এক বছর আগেই চীন যুক্তরাষ্ট্রকে ২০৩৩ সালে টপকাবে বলা হয়েছিল। কিন্তু এখন সংস্থাটি বলছে মহামারীতে চীনের দক্ষ ব্যবস্থাপনা, কঠোর লকডাউন ও পশ্চিমা দেশগুলোতে প্রবৃদ্ধিতে দীর্ঘমেয়াদি আঘাত বেইজিংয়ের উন্নয়ন ঘটাবে দ্রততার সঙ্গে।
২০২১ থেকে ২০২৫ সাল পর্যন্ত চীনে গড় অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধির লক্ষ্যমাত্রা ছিল ৫ দশমিক ৭ শতাংশ। ২০২৬ থেকে ২০৩০ পর্যন্ত এই লক্ষ্যমাত্রা কমে ৪ দশমিক ৫ শতাংশে দাঁড়িয়েছে।
ব্রিটেনভিত্তিক সিইবিআরের প্রকাশিত ১৯৩টি দেশের বার্ষিক সম্ভাব্য প্রবৃদ্ধি লিগ টেবিলের তথ্য অনুযায়ী, ২০২০ সালের চরম অর্থনৈতিক সংকটের মধ্যেও চীনের প্রবৃদ্ধি হবে ২ শতাংশ। কিন্তু যুক্তরাষ্ট্রের প্রবৃদ্ধি কমে যাবে ৫ শতাংশ।
এ কারণে বিশ্বের প্রথম ও দ্বিতীয় বৃহত্তম অর্থনীতির মধ্যকার দূরত্ব কমে আসবে। এছাড়া এ বছর করোনা মহামারীর কারণে বৈশ্বিক প্রবৃদ্ধি কমে যাবে ৪ দশমিক ৪ শতাংশ। এটি দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের পর এক বছরে সবচেয়ে বড় প্রবৃদ্ধি সংকোচন।
চীনের বিপরীতে তার প্রধান প্রতিদ্বন্দ্বী যুক্তরাষ্ট্রের অবস্থা একেবারে ভিন্ন। মহামারীর কারণে ২০২২ থেকে ২০২৪ সালের মধ্যে যুক্তরাষ্ট্রের অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি ১ দশমিক ৯ শতাংশ কমতে পারে। তারপর কমতে পারে ১ দশমিক ৬ শতাংশ।
ঘাড়ে নিঃশ্বাস ফেলা প্রতিপক্ষের উত্থানের পাশাপাশি নিজের অবনমনের কারণে যুক্তরাষ্ট্র অবস্থান হারাবে চীনের কাছে।
চীন ও যুক্তরাষ্ট্র ছাড়া আরও কিছু দেশের অর্থনৈতিক অবস্থানে পরিবর্তন আসবে ২০৩০ সালের মধ্যে। ওই বছরের শুরুতে অর্থনৈতিক সূচকে জাপান হবে বিশ্বের তৃতীয় দেশ ।
অবশ্য একই সময়ে ভারত টপকে যেতে পারে জাপানকে। সেটি হলে জার্মানি হবে চতুর্থ বা পঞ্চম দেশ।
সিইবিআরের মতে, অর্থনৈতিক সামর্থ্যে ব্রিটেন বর্তমানে পঞ্চম।
২০২৪ সালে এটি ষষ্ঠ স্থানে চলে যেতে পারে। ইউরোপীয় ইউনিয়ন থেকে বেরিয়ে যাওয়ায় ২০২১ সালে যুক্তরাজ্যের অর্থনীতিতে নেতিবাচক পড়তে পারে। অবশ্য ২০৩৫ সাল পর্যন্ত ফ্রান্সের চেয়ে অনেক এগিয়ে থাকবে ব্রিটেন।
এই রকম সংবাদ আরো পেতে হলে এই লেখার উপরে ক্লিক করে আমাদের ফেসবুক ফ্যান পেইজে লাইক দিয়ে সংযুক্ত থাকুন। সংবাদটি সম্পর্কে মন্তব্য করতে হলে এই পেইজের নীচে মন্তব্য করার জন্য ঘর পাবেন