যুক্তরাষ্ট্রে মাঙ্কিপক্সের সংক্রমণ বেড়ে যাওয়ায় পরীক্ষা বৃদ্ধির চেষ্টা
যুক্তরাষ্ট্রের স্বাস্থ্য কর্মকর্তারা, এখন তাদের কাছে যে অল্প কিছু জনস্বাস্থ্য পরীক্ষাগার রয়েছে, তার বাইরে মাঙ্কিপক্সের পরীক্ষার সক্ষমতা বৃদ্ধির চেষ্টা করছেন। সংক্রামক ব্যাধি বিশেষজ্ঞদের পরামর্শে এমন করা হচ্ছে। ঐ বিশেষজ্ঞরা বলছেন যে, এই ভাইরাস সনাক্ত করার পরীক্ষা, নিয়মিত স্বাস্থ্যসেবার আওতাভুক্ত করতে হবে।
যুক্তরাষ্ট্রের সেন্টারস ফর ডিজিজ কন্ট্রোল অ্যান্ড প্রিভেনশন (সিডিসি) এর পরিচালক, ড. রোশেল ওয়ালেন্সকি, শুক্রবারে এক টেলিফোন সম্মেলনে জানান, পরীক্ষার সক্ষমতা বাড়াতে তার সংস্থাটি ফুড অ্যান্ড ড্রাগ অ্যাডমিনিস্ট্রেশন (এফডিএ), সেন্টারস ফর মেডিকেয়ার অ্যান্ড মেডিকেইড সার্ভিসেস (সিএমএস) এবং কিছু বানিজ্যিক পরীক্ষাগারের সাথে কাজ করছে।
এবিষয়ে বিস্তারিত তথ্যের অনুরোধে সিডিসি কোন সাড়া দেয়নি।
বর্তমানে, ৬৯টি জনস্বাস্থ্য পরীক্ষাগারের নেটওয়ার্কের মাধ্যমে যুক্তরাষ্ট্রে মাঙ্কিপক্সের প্রাথমিক পরীক্ষা সম্পন্ন করা হয়। ঐ পরীক্ষাগারগুলো তাদের ফলাফল নিশ্চিত করতে সিডিসি-তে পাঠায়।
এখনও পর্যন্ত যুক্তরাষ্ট্রের ১৬টি অঙ্গরাজ্যে, মাঙ্কিপক্সের ৪৫ জন রোগী শনাক্ত হয়েছে বলে নিশ্চিত হওয়া গিয়েছে। আফ্রিকার বাইরে, বেশিরভাগ সংক্রমণই ইউরোপে হয়েছে। রোগটি আফ্রিকার একটি স্থানীয় রোগ।
যুক্তরাষ্ট্র, মাঙ্কিপক্স সন্দেহে প্রায় ৩০০ জনকে পরীক্ষা করেছে। গত সপ্তাহে এই ভাইরাসের পরীক্ষা ৪৫ শতাংশ বৃদ্ধি পেয়েছে। সংক্রামক রোগ বিশেষজ্ঞরা বলছেন, ক্রমণ ছড়িয়ে পড়া রোধ করতে পরীক্ষার সংখ্যা ব্যাপকভাবে বৃদ্ধি করতে হবে।
বাণিজ্যিক গবেষণাগারগুলোতে পরীক্ষা চালানোর জন্য, তাদের মাঙ্কিপক্সের নমুনা পেতে হবে, যাতে তারা পরীক্ষার ফলাফল যাচাই করতে পারে। এছাড়াও এফডিএ থেকে নিয়ন্ত্রক নির্দেশিকা এবং সিএমএস থেকে বাণিজ্যিক বিলিং কোড এরও প্রয়োজন পড়বে। কোভিড-১৯ প্রতিক্রিয়া বিষয়ক হোয়াইট হাউজের এক সাবেক ঊর্ধ্বতন উপদেষ্টা, টম ইঙ্গেলসবি এসব তথ্য জানান।
শনাক্ত হওয়া ১৭ জন রোগীর বিষয়ে গত সপ্তাহে সিডিসি কর্তৃক প্রকাশিত এক বিস্তারিত প্রতিবেদনে বলা হয় যে, বেশিরভাগ রোগীই পুরুষ, যারা অন্য পুরুষদের সাথে যৌন সম্পর্ক স্থাপন করেছিলেন।
এই রকম সংবাদ আরো পেতে হলে এই লেখার উপরে ক্লিক করে আমাদের ফেসবুক ফ্যান পেইজে লাইক দিয়ে সংযুক্ত থাকুন। সংবাদটি সম্পর্কে মন্তব্য করতে হলে এই পেইজের নীচে মন্তব্য করার জন্য ঘর পাবেন