যুবলীগ নেতা হত্যা: সাবেক এমপি রানার জামিন স্থগিতই থাকল

টাঙ্গাইলে দুই যুবলীগ নেতা হত্যা মামলায় সাবেক এমপি আমানুর রহমান খান রানাকে হাইকোর্টের দেয়া জামিন আদেশ স্থগিত করে চেম্বার জজ আদালতের দেয়া স্থগিতাদেশ বহাল রেখেছেন সুপ্রিমকোর্টের আপিল বিভাগ।

একই সঙ্গে নিয়মিত আপিল আবেদন (সিপি ফাইল) করার নির্দেশ দিয়েছেন আপিল বিভাগ।

রাষ্ট্রপক্ষের আপিল আবেদন শুনানি নিয়ে সোমবার প্রধান বিচারপতি সৈয়দ মাহমুদ হোসেনের নেতৃত্বে চার সদস্যের আপিল বিভাগ এ আদেশ দেন।

এ বিষয়ে পরবর্তী শুনানি অনুষ্ঠিত হবে ৮ জুলাই। সেই সময় পর্যন্ত জামিন স্থগিত থাকবে বলে জানান রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল ড. মো. বশির উল্লাহ।

আদালতে আজ রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন অ্যাটর্নি জেনারেল মাহবুবে আলম। তার সঙ্গে ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল ড. মো. বশির উল্লাহ ও কাজী মো. মাহমুদুল করিম রতন।

অন্যদিকে আমানুর রহমানের পক্ষে শুনানি করেন আইনজীবী মনসুরুল হক চৌধুরী। তার সঙ্গে ছিলেন অ্যাডভোকেট রুশো মোস্তাফা।

গত ২০ জুন আজ (১ জুলাই) পর্যন্ত আমানুর রহমান খান রানার জামিন স্থগিত করে আদেশ দেন আপিল বিভাগের চেম্বার জজ আদালত। এর আগের দিন ১৯ জুন বহুল আলোচিত যুবলীগের দুই নেতা হত্যা মামলায় রানার স্থায়ী জামিন মঞ্জুর করেন হাইকোর্ট।

উল্লেখ্য, ২০১৩ সালের ১৮ জানুয়ারি জেলা আওয়ামী লীগ সদস্য ফারুক আহমেদের গুলিবিদ্ধ লাশ তার কলেজপাড়া এলাকার বাসার কাছ থেকে উদ্ধার করা হয়।

ঘটনার তিন দিন পর তার স্ত্রী নাহার আহমেদ বাদী হয়ে টাঙ্গাইল সদর থানায় অজ্ঞাত ব্যক্তিদের আসামি করে মামলা করেন। তদন্ত শেষে ২০১৬ সালের ৩ ফেব্রুয়ারি আদালতে অভিযোগপত্র জমা দেয় গোয়েন্দা পুলিশ।

এ মামলায় সাবেক এমপি রানা ছাড়াও তার তিন ভাই টাঙ্গাইল পৌরসভার সাবেক মেয়র সহিদুর রহমান খান মুক্তি, ব্যবসায়ী নেতা জাহিদুর রহমান খান কাকন, কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগের সাবেক সহসভাপতি সানিয়াত খান বাপ্পাসহ ১৪ জনকে আসামি করা হয়েছে। এ মামলায় আমানুর রহমান খান রানা উচ্চ আদালত থেকে জামিনে রয়েছেন।