যেসব কারণে বাদ পরলেন চট্টগ্রামের ঐক্যফ্রন্টের প্রার্থীরা
একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে প্রার্থীদের মনোনয়নপত্র বাছাইয়ে চট্টগ্রামের ১৬ আসনে বিএনপি, জামায়াত, এলডিপি ও গণফোরামের মোট ১৯ জন প্রার্থীর মনোনয়ন বাতিল হয়েছে। বাতিলের তালিকায় বিএনপির বেশ কয়েকজন শীর্ষ নেতাও রয়েছেন। যদিও এসব আসনের অধিকাংশতেই বিএনপি-জামায়াতের বিকল্প প্রার্থী রয়েছে। তবে আওয়ামী লীগ ও জাতীয় পার্টির মনোনয়ন পাওয়া সবার প্রার্থিতা টিকে গেছেন।
চট্টগ্রাম-১ (মীরসরাই) আসনে ধানের শীষ প্রতীকের প্রার্থী উপজেলা চেয়ারম্যানের নুরুল আমিনের মনোনয়নপত্র বাতিল হয়েছে স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয় থেকে পদত্যাগপত্রের কপি জমা দিতে না পারার কারণে।
চট্টগ্রাম-২ (ফটিকছড়ি) আসনে ধানের শীষ প্রতীকের প্রার্থী গিয়াস উদ্দীন কাদের চৌধুরীর মনোনয়নপত্র বাতিল হয়েছে ঋণ খেলাপির কারণে।
চট্টগ্রাম-৩ (সন্দ্বীপ) আসনে ধানের শীষ প্রতীকের প্রার্থী সাবেক সাংসদ মোস্তফা কামাল পাশার মনোনয়নপত্র বাতিল হয়েছে ৫৪ হাজার টাকার টিএন্ডটি বিল বকেয়া থাকায়।
চট্টগ্রাম-৫ (হাটহাজারী) আসনে ধানের শীষ প্রতীকের প্রার্থী মীর মো. নাসির উদ্দিন দুর্নীতির মামলায় দণ্ডিত হওয়ায় ও তার ছেলে মীর মো. হেলাল উদ্দিন ঋণ খেলাপির কারণে প্রার্থিতা বাতিল হয়েছে।
চট্টগ্রাম-৬ (রাউজান) আসনে ধানের শীষ প্রতীকের প্রার্থী সামীর কাদের চৌধুরীর মনোনয়পত্রও বাতিল করা হয় ঋণ খেলাপির কারণে। রিটানিং কর্মকর্তা জানান, ঢাকা ব্যাংক, অগ্রণী ব্যাংক ও ন্যাশনাল ব্যাংক সামির কাদের চৌধুরীর কাছ থেকে ঋণ পাওনা রয়েছে।
চট্টগ্রাম-৭ (রাঙ্গুনিয়া) আসনে আসনে ধানের শীষ প্রতীকের প্রার্থী আবদুল আলিম ব্র্যাক ব্যাংক ও স্ট্যন্ডার্ড চাটার্ড ব্যাংকে ঋণ খেলাপি হওয়ায় মনোনয়পত্র বাতিল করা হয়। এ ছাড়া আবু আহমেদ হাসনাত প্রাইম ব্যাংক ও লংকা বাংলা ফাইনান্সের ঋণ খেলাপি হওয়ায় তার মনোনয়পত্রও বাতিল করা হয়। তবে আবু হাসনাত জানান, তার শুধুমাত্র ঋণ আছে লংকা বাংলা ফাইনান্সে।
চট্টগ্রাম-৯ (কোতোয়ালী)আসনে বিএনপির বিকল্প প্রার্থী মোহাম্মদ সামশুল আলমের বিভিন্ন ব্যাংকে শত শত কোটি টাকা ঋণ পাওনা থাকায় মনোনয়পত্র বাতিল করা হয়।
চট্টগ্রাম-৮ (বোয়ালখালী) আসনের বিএনপি বিকল্প প্রার্থী এরশাদ উল্লাহ ব্যাংক হিসাব না খোলার কারণে তার মনোনয়নপত্র বাতিল করেন রিটার্নিং কর্মকর্তা।
চট্টগ্রাম-১৫ (সাতকানিয়া-লোহাগাড়া) আসনে স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে মনোনয়নপত্র সংগ্রহ করা দক্ষিণ জেলা জামায়াতের আমীর জাফর সাদেকের মনোনয়নপত্র বাতিল করা হয়েছে। এক শতাংশ ভোটারের তথ্যের গরমিল থাকায় তার মনোনয়নপত্রটি বাতিল করা হয়।
চট্টগ্রাম-১৬ (বাঁশখালী) আসনে উপজেলা চেয়ারম্যান ও জামায়াতের নায়েবে আমীর মো. জহিরুল ইসলামের মনোনয়নপত্রটি বাতিল ঘোষণা করেন রিটার্নিং কর্মকর্তা। তিনি উপজেলা চেয়ারম্যানের পদ থেকে পদত্যাগ করে মন্ত্রণালয় থেকে কপি আনতে না পারায় তার মনোনয়ন বাতিল করা হয়।
এ ছাড়া চট্টগ্রাম-১১ (বন্দর-পতেঙ্গা) আসনে গণফোরামের জানে আলম, চট্টগ্রাম-১২ (পটিয়া) আসনে এলডিপির এয়াকুব আলী, চট্টগ্রাম-১৩ (আনোয়ারা) আসনে গণফোরামের নারায়ণ রক্ষিতের মনোনয়ন বাতিল করেছেন রিটার্নিং কর্মকর্তারা।
বিভাগীয় কমিশনার জানিয়েছেন, মনোনয়ন বাতিল হওয়া প্রার্থীরা তিনদিনের মধ্যে নির্বাচন কমিশনে আপিল করতে পারবেন।
এই রকম সংবাদ আরো পেতে হলে এই লেখার উপরে ক্লিক করে আমাদের ফেসবুক ফ্যান পেইজে লাইক দিয়ে সংযুক্ত থাকুন। সংবাদটি সম্পর্কে মন্তব্য করতে হলে এই পেইজের নীচে মন্তব্য করার জন্য ঘর পাবেন