যৌবনেই দেশের হাল ধরেছেন যে রাষ্ট্রনেতারা
একটি দেশের রাষ্ট্রনায়কের কথা চিন্তা করলেই মাথায় প্রথমে আসে বয়স্ক, অভিজ্ঞতার বলিরেখায় পূর্ণ কোনো দাপুটে চেহারার। রাষ্ট্রের হাল ধরতে হলে হতে হবে প্রজ্ঞাবান প্রবীণ- দীর্ঘদিন ধরে চলে আসা এই রীতি এখন হয়ে গেছে সেকেলে। অপেক্ষাকৃত কমবয়সী দারুণ সুদর্শণ রাষ্ট্রনেতারা এখন দাপিয়ে বেড়াচ্ছেন বিশ্বময়। আসুন বিশ্বের সর্বকনিষ্ঠ রাষ্ট্রনায়কদের পরিচয় জেনে নেই।
ইমানুয়েল মাক্রোঁ
নেপোলিয়নের পর সবচেয়ে কম বয়সে ফ্রান্সের প্রেসিডেন্ট হয়ে আলোচনায় আসেন ইমানুয়েল ম্যাক্রো। মাত্র ৩৯ বছর বয়সে প্যারিসের মসনদে বসেন তিনি। জন্ম হয়েছিল ২১ ডিসেম্বর, ১৯৭৭ সালে। ২০১৭’র নির্বাচনে জয়লাভ করা ম্যাক্রোঁর স্ত্রী, অর্থাৎ ফ্রান্সের বর্তমান ফার্সলেডিই তার চেয়ে ২০ বছরের বড়!
ভানেসা দ্য আমব্রোসিও
বিশ্বের সবচেয়ে ছোট দেশগুলোর মধ্যে সান মারিনো একটি। রাজধানী সান মারিনো সিটি। দেশটির খবর সাধারণত বিশ্ব সংবাদমাধ্যমে কম আসে। ইউরোপ মহাদেশে অবস্থিত এ দেশের রাষ্ট্রপ্রধান ভানেসা দ্য আমব্রোসিওর বয়স মোটে ২৯! জন্ম ২৫ এপ্রিল ১৯৮৮ সালে।
কিম জং উন
উত্তর কোরিয়ার সর্বোচ্চ নেতা কিম জং উন নানা কারণেই আলোচিত। পারমাণবিক অস্ত্র নিয়ে যুক্তরাষ্ট্রকে উড়িয়ে দেবেন- সম্প্রতি এমন দাপুটে হুমকি দেওয়া এই নেতার বয়স কত জানেন? মাত্র ৩৪!
তিনি হচ্ছেন কিম জং ইলের (১৯৪১-২০১১) চতুর্থ সন্তান ও কিম ইল-সাংয়ের (১৯১২-১৯২৪) নাতি। তিনি বর্তমানে ওয়ার্কার্স পার্টি অব কোরিয়ার ফার্স্ট সেক্রেটারি, উত্তর কোরিয়ার কেন্দ্রীয় সেনা কমিশন ও জাতীয় প্রতিরক্ষা কমিশনের চেয়ারম্যান এবং কোরিয়ান পিপলস আর্মির সুপ্রিম কমান্ডারও তিনি। জন্ম ১৯৮৩ সালের ৮ জানুয়ারি।
শেখ তামিম বিন হামাদ আল থানি
শেখ তামিম বিন হামাদ আল থানি কাতারের রাষ্ট্রনায়ক। তার বয়স ৩৬। জন্ম ১৯৮০ সালের তেসরা জুন। ২০২২ সালের কাতারের বিশ্বকাপ আয়োজনের দায়িত্ব পাওয়ার পেছনে শেখ আল থানির বিশেষ ভূমিকা ছিল।
জিগমে খেসার নামগিয়েল ওয়াংচুক
ভুটানের সুদর্শন রাজা জিগমে খেসার নামগিয়েল ওয়াংচুকও অল্প বয়সেই বসেছেন সিংহাসনে। তার বয়স বর্তমানে ৩৭ বছর। ১৯৮০ সালের ২১ ফেব্রুয়ারি জন্মেছিলেন তিনি। রাজা হওয়ার পর ভুটানের রাজনীতিতে ব্যাপক বিবর্তন ঘটান তিনি। প্রথমবারের মতো গণতান্ত্রিক নির্বাচনের প্রচলনও ঘটান তিনি।
ইউরি রাতাস
উত্তর-পূর্ব ইউরোপের সাবেক সোভিয়েত প্রজাতন্ত্র এস্তোনিয়ার জোট সরকারের প্রধানমন্ত্রী ইউরি রাতাসের বয়স মাত্র ৩৮। জন্ম ১৯৭৮ সালের ২ জুলাই। বাল্টিক সাগরের পূর্ব প্রান্তে অবস্থিত এস্তোনিয়া ১৯৯১ সালের ২০ আগস্ট সোভিয়েত ইউনিয়ন থেকে স্বাধীনতা অর্জন করে।
ভ্লাদিমির গ্রসম্যান
আরেক সাবেক সোভিয়েত রাষ্ট্র ইউক্রেনের প্রধানমন্ত্রী গ্রসম্যানের বয়সও বেশি না, মোটে ৩৮। তার জন্ম ১৯৭৮ সালের ২০ জানুয়ারি। ক্ষমতায় আছেন ২০১৬ সালের ১৪ এপ্রিল থেকে। রাশিয়ার পর এটি ইউরোপের দ্বিতীয় বৃহত্তম রাষ্ট্র।
এদিকে অস্ট্রিয়ার সাধারণ নির্বাচনে দেশটির রক্ষণশীল রাজনৈতিক দল ‘পিপলস পার্টি’ জয়ের পথে রয়েছে। এখনও পর্যন্ত হওয়া ভোট গণনায় তারাই এগিয়ে আছে। হিসাব-নিকাশ মিলে গেলেই ইউরোপিয়ান ইউনিয়নের সর্বকনিষ্ঠ নেতা হিসেবে গদিতে বসবেন ৩১ বছর বয়সী সেবাস্টিয়ান কুর্জ।-বিবিসি
এই রকম সংবাদ আরো পেতে হলে এই লেখার উপরে ক্লিক করে আমাদের ফেসবুক ফ্যান পেইজে লাইক দিয়ে সংযুক্ত থাকুন। সংবাদটি সম্পর্কে মন্তব্য করতে হলে এই পেইজের নীচে মন্তব্য করার জন্য ঘর পাবেন