যৌবনের যে ৬ ভুলের খেসারত হয় মারাত্মক!
ভুল করলে তার খেসারত দিতেই হয়। তবে শাস্ত্র অনুসারে, যৌবনে করা কোনো ভুলের ফল বহুদিন ধরে ভুগতে হয়। আসুন, জেনে নিই কী ধরনের ভুল?
১. নিজের স্বাস্থ্যের দিকে নজর না দেওয়া : স্বাস্থ্যের থেকে মূল্যবান আর কিছুই হয় না। কাজেই নিজের স্বাস্থ্যের প্রতি যত্নবান হতে হবে অল্প বয়স থেকেই। নতুবা অসুস্থতায় জর্জরিত এবং অসুখী বার্ধক্য কাটাতে হবে।
২. অর্থ সঞ্চয়ে যত্নবান না হওয়া : টাকা-পয়সা পার্থিব সুখ অর্জনের অন্যতম মাধ্যম। তাই উপার্জনের সূচনা যেহেতু যৌবনে, সেহেতু টাকা জমানোর ব্যাপারেও যৌবনেই সতর্ক হতে হবে। অর্থ সঞ্চয়ের অভ্যাস ভবিষ্যতের সুখকে অনেকখানি সুনিশ্চিত করে।
৩. দেশ পরিভ্রমণে বিরত থাকা : নতুন নতুন দেশ দেখে বেড়ানোর অভ্যাসের মাধ্যমে অভিজ্ঞতার পরিধি বাড়ানো যায়। কিন্তু পরিভ্রমণের জন্য শারীরিক সক্ষমতারও প্রয়োজন রয়েছে। কাজেই শাস্ত্র মতে যৌবনই দেশ পরিভ্রমণের উপযুক্ত সময়।
৪. চেনা গণ্ডির বাইরে বেরুতে না পারা : অচেনাকে চেনার মাধ্যমেই বেড়ে ওঠে একজন মানুষের মানসিক পরিধি। কাজেই নিজের ছকে বাঁধা জীবনের বাইরে গিয়ে একেবারে নতুন ধরনের কিছু করার কথা ভাবুন। নতুন ভাবে চিনুন জীবনকে, এবং সেটা করুন যৌবনেই।
৫. সমাজের তৈরি করে দেওয়া পরিচিতির বাইরে বেরুতে না পারা : ‘তুমি মেয়ে, তাই অমুক কাজ করা তোমার করা উচিৎ নয়’, ‘তুমি ছেলে, তাই তমুক কাজ করা তোমার শোভা পায় না’ এ ধরনের নির্দেশিকার মাধ্যমে প্রতি মুহূর্তে সমাজ আমাদের একটা চেনা পরিচিতির মধ্যে বেঁধে দিতে চায়। যৌবনেই এই পরিচিতিকে ভাঙা প্রয়োজন।
৬. আত্মকেন্দ্রিক জীবনযাপন করা: কেবল নিজেকে নিয়ে ব্যস্ত থাকা কোনও সামাজিক সত্তারই আদর্শ বৈশিষ্ট্য হতে পারে না। অল্প বয়স থেকেই নিজের আশেপাশের মানুষজন সম্পর্কে সচেতন হতে শিখুন, অন্যদের কথা ভাবতে শিখুন। নতুবা বার্ধক্যে আপনাকে একা হয়ে যেতে হবে।
এই রকম সংবাদ আরো পেতে হলে এই লেখার উপরে ক্লিক করে আমাদের ফেসবুক ফ্যান পেইজে লাইক দিয়ে সংযুক্ত থাকুন। সংবাদটি সম্পর্কে মন্তব্য করতে হলে এই পেইজের নীচে মন্তব্য করার জন্য ঘর পাবেন