রংপরের পীরগঞ্জে মাদ্রাসা সুপারের বিরুদ্ধে অভিযোগ করায় স্বামী, স্ত্রী ও পুত্রকে পিটিয়ে গুরুতর আহত
রংপুরের পীরগঞ্জ উপজেলার টুকুরিয়া ইউনিয়নের ছাতুয়া দ্বিমুখী দাখিল মাদ্রাসা সুপারের বিরুদ্ধে নানা অনিয়ম ও দুর্নীতির অভিযোগ করায় সুপারের লেলিয়ে দেয়া মাদ্রাসার নৈশপ্রহরীসহ ভাড়াটে লোকজন অভিযোগকারী হারুনুর রশিদকে বেধড়ক পিটিয়ে গুরুতর আহত করা হয়েছে।
এ সময় তাকে বাঁচাতে এগিয়ে আসা ৬ষ্ট শ্রেণি পড়ুয়া পুত্র শাহাদত হোসেন ও স্ত্রী রাজিয়া বেগমকে পিটিয়েছে হামলাকারীরা। আহত পিতা-পুত্রকে পীরগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়েছে। বুধবার সকালে মাদ্রাসা সংলগ্ন ছাতুয়া গ্রামে এ ঘটনা ঘটে।
প্রত্যক্ষদর্শী ও অভিযোগ সূত্রে জানা যায়, ছাতুয়া দ্বিমুখী দাখিল মাদ্রাসার সুপার একেএম শহিদুল ইসলামের বিরুদ্ধে নির্দিষ্ট ১২টি অনিয়ম ও দুর্নীতির অভিযোগ উল্লেখ করে ছাতুয়া গ্রামের আফজাল হোসেনের পুত্র হারুনুর রশিদ সম্প্রতি উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তাসহ বিভিন্ন শিক্ষা দফতরে লিখিত অভিযোগ করেন।
অভিযোগের প্রেক্ষিতে নির্বাহী কর্মকর্তা বিষয়টি তদন্তের জন্য উপজেলা মহিলা বিষয়ক কর্মকর্তা শাহনাজ ফারহানা আফরোজকে দায়িত্ব প্রদান করেন। এরই প্রেক্ষিতে গত ৭ জানুয়ারী ২০২৫ ইং সকালে তদন্তকারী কর্মকর্তার কার্যালয়ে উভয় পক্ষের স্বাক্ষ্য গ্রহন করেন। এসময় অভিযোগকারী হারুনুর রশিদ সুপারের বিরুদ্ধে নানা অনিয়ম ও দুর্নীতির অডিও, ভিডিওসহ বিভিন্ন তথ্যাদি উপস্থাপন করেন।
এতে সুপার একেএম শহিদুল ইসলাম ক্ষিপ্ত হয়ে মাদ্রাসার নৈশপ্রহরী আব্দুল জলিল মিয়া ও তাঁর ভাড়াটে লোকজনকে লেলিয়ে দিয়ে অভিযোগকারী হারুনুর রশিদকে মাদ্রাসা সংলগ্ন রাস্তায় একা পেয়ে বেধড়ক পেটাতে থাকে। বাঁচাতে এগিয়ে এলে স্ত্রী পুত্র ও কর্মচারী সোহেল মিয়াকেও এলোপাতাড়ি মারপিট করে।
খবর পেয়ে পীরগঞ্জ থানার এসআই মাসুদ রানা সঙ্গীয় ফোর্স নিয়ে ঘটনা হাজির হলে তারা পালিয়ে যায়। এ সময় হামলাকারীদের ব্যবহৃত দেশীয় অস্ত্র ও লাঠি উদ্ধার করা হয়। এ বিষয়ে মাদ্রসা সুপার একেএম শহিদুল ইসলামের সঙ্গে মোবাইলে একাধিকবার যোগাযোগ করা হলে তিনি ফোন রিসিভ করেননি। এ সংবাদ লেখা পর্যন্ত থানায় মামলা হয়নি।
এই রকম সংবাদ আরো পেতে হলে এই লেখার উপরে ক্লিক করে আমাদের ফেসবুক ফ্যান পেইজে লাইক দিয়ে সংযুক্ত থাকুন। সংবাদটি সম্পর্কে মন্তব্য করতে হলে এই পেইজের নীচে মন্তব্য করার জন্য ঘর পাবেন