রংপুরে ১০লক্ষ টাকা দেনমোহরে বিয়ে না করায় প্রেমিকের বিরুদ্ধে ধর্ষণ মামলা

দশ লক্ষ টাকা দেনমোহর অন্যথায় এক বিঘা জমি দিতে রাজি না হওয়ায় ধর্ষণের অভিযোগে প্রেমিকও তার পরিবারের বিরুদ্ধে মামলা দিয়েছে মেয়ের পরিবার। ঘটনাটি ঘটেছে রংপুরের মিঠাপুকুর উপজেলার ভাংনী ইউনিয়নের ঠাকুরবাড়ী গ্রামে।

জানা গেছে, উপজেলার ভাংনী ইউনিয়নের ঠাকুরবাড়ি গ্রামের আব্দুল লতিবের ছেলে এনামুল হকের সঙ্গে প্রতিবেশী আব্দুল মালেকের মেয়ে একই সঙ্গে পড়াশুনার সুবাদে সুসম্পর্ক থেকে প্রেমের সম্পর্ক গড়ে ওঠে।গত ছয় মাস পূর্বে বিষয়টি জানাজানি হলে দুই পরিবারের মধ্যে রেষারেষি সৃষ্টি হয়।দুই পরিবারের অভিভাবকবৃন্দ তাদের ছেলে মেয়েকে শাসন করে।

গত মঙ্গলবার (৫ সেপ্টেম্বর) রংপুর থেকে প্রাইভেট পড়ে আসার পথে দুপুর ২ ঘটিকার সময় ছেলের বাড়িতে লোকজন না থাকার সুবাদে ছেলের রুমে প্রবেশ করে মেয়েটি।প্রাইভেট পড়ে আসার পরও দীর্ঘক্ষণ মেয়ের খোঁজ না পাওয়ায় মেয়ের সন্ধানে ছেলের বাড়িতে প্রবেশ করে মেয়ের মা ও তার ভাই।ছেলের কক্ষের দরজা ভিতর থেকে লাগিয়ে দেয়ায় ডাকাডাকি শুরু করে ছেলের মা ও তার ভাই।এর মধ্যেই প্রতিবেশিরা ও ছেলের পরিবারের লোকজন ছুটে আসে দরজার সামনে।দীর্ঘক্ষণ ডাকাডাকির পর দরজা খুলে দেয় মেয়েটি।ছেলেকে দেখা যায় রুমের ছাদের উপরে আত্মগোপন করতে।উদ্ভূত পরিস্থিতিতে মেয়েটি ও তার পরিবারকে বাড়ি থেকে বের করে দেয় ছেলেপক্ষ।ঘটনার পরপরই বিষয়টি বিয়ের মাধ্যমে সমাধানের চেষ্টা চালায় ছেলেপক্ষ।দুই পক্ষের মধ্যে চলে দেনদরবার।

ছেলের জ্যাঠো রফিক মন্ডল জানান,গত তিন বছর থেকে তাদের প্রেমের সম্পর্ক।বিষয়টি জানার পরই আমরা বিয়ের সিদ্ধান্ত নেই।মেয়েপক্ষ পরিকল্পিতভাবে ফাঁসানোর জন্য মেয়েকে ছেলের রুমে ঢুকিয়ে দিয়েছিলো।আমাদের কাছে দশলক্ষ টাকা দেনমোহর অন্যথায় এক বিঘা জমি দাবি করে।আমরা আমাদের সামর্থ্য অনুযায়ী সর্বোচ্চ ছয়লক্ষ টাকা পর্যন্ত দেনমোহর দিতে স্বীকার করি।মেয়েপক্ষ দাবি না মানলে পরিবারসহ আমাদের জেল খাটানোর হুমকি প্রদান করে।তাদের দাবি অনুযায়ী এক বিঘা জমি লিখে না দেয়ার তারা গতকাল থানায় গিয়ে ধর্ষণ মামলা করেছে।

মেয়ের বাবা এনামুল হক ও ভাই মাসুদ রানার সঙ্গে ধর্ষণের ঘটনার বিষয়ে জানতে চাইলে তারা জানান,এ বিষয়ে আমরা কিছুই বলতে চাইনা।সময় হলে জানানো হবে।

এবিষয়ে মিঠাপুকুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা(ওসি) মোস্তাফিজার রহমান জানান,চারজনের নামে থানায় একটি ধর্ষণ মামলা দায়ের করেছে মেয়ের পরিবার। আসামি গ্রেফতারের চেষ্টা চলছে।