রংপুরের পীরগঞ্জে ফুলকপি চাষিদের মুখে তৃপ্তির হাসি

রংপুরের পীরগঞ্জে উচ্চ ফলনশীল ফুলকপি চাষাবাদ করে এবার কৃষক আশানুরুপ দাম পাওয়ায় তাদের মুখে তৃপ্তির হাসি ফুটেছে। এ মওসুমে শুরু থেকেই কপিতে তারা বেশি লাভবান হয়েছেন। মৌসুমের শেষের দিকেও ভালো দামে কপির বিক্রি করেছেন। এই এলাকার কৃষকরা এক জমিতে ২ বার কপির চাষ করে লাভের মুখ দেখতে পাচ্ছেন।

উপজেলা কৃষি বিভাগ জানায়, উপজেলায় এবার বাধা কপি ৪৮০ হেক্টর ফুলকপি ৩৫০ হেক্টর এর মধ্যে পরিবেশ বান্ধব পদ্ধতীতে শাকসব্জী ৭০ হেক্টর জমিতে আবাদ করা হয়েছে। আবহাওয়া অনুকলে থাকায় কপিসহ সকল সবজির ফলনও ভালো হয়েছে। কপি উৎপাদনের শুরু থেকে ভালো দাম পেয়ে চাষিরা খুশি। এখন দেশে সর্বত্র হাইব্রীড কপির চাষ হওযায় ফলনও বেড়েছে। এক একটি কপির ওজন এক থেকে দেড় কেজি। উপজেলার বেশকিছু এলাকায় গিয়ে কথা হয় কপি চাষি কাবিলপুর ইউনিয়নের জামালপুর গ্রামের শামসুল আলমের সাথে। তিনি বলেন, আগাম জাতের ফুলকপি চাষ করে ভালো টাকা পেয়েছি। পৌষ মােেসের শুরুতেই জমি থেকে প্রতিটি কপি ২০ থেকে ২৫ টাকা দরে বিক্রি হয়েছে। আবার একই জমিতে দুই বার কপির চাষ করেছেন। দ্বিতীয় বার চাষে খরচ অনেক কম। এরকম বাজার বরাবর থাকলে চাষিরা অনেক লাভবান হবেন।

একই এলাকার কপি চাষি মাহাবুবার রহমান,আনিছুর রহমান জানান, উপজেলা কৃষি বিভাগ থেকে প্রশিক্ষণ নিয়ে বিভিন্ন প্রযুক্তির মাধ্যমে পরিবেশ বান্ধব কৌশলে ফুলকপির চাষ করা হয়েছে। জমিতে তারা সেক্স্র ফেরোমন ফাঁদ ও হলুদ ফাঁদ টানিয়ে কপির আবাদ করছেন। এতে করে অতিরিক্ত হারে পেকার আক্রমণ কমেছে এবং ক্ষেতে অতিরিক্ত কীটনাশক প্রয়োগের প্রয়োজন হয়নি। পরিবেশ বান্ধব কৌশলে চাষে যেমন খরচ কম তেমনি সুস্থ সফল বিষ মুক্ত ফসল উৎপাদন করা হচ্ছে বলে তারা জানান। তারা আরও বলেন,অন্যআন্য বছরের চেয়ে এবছর ফুলকপি ও বাঁধাকপির আবাদ কম হয়েছে। যে কারনে কপি চাষিরা ভালো বাজার পাচ্ছেন। জমি থেকে প্রতিদিন ব্যবসায়ীরা প্রতিটি ফুলকপি ২০ থেকে ৩০ টাকা দরে কিনে ট্রাক যোগে রাজধানীসহ বিভিন্ন স্থানে নিয়ে যাচ্ছেন। উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা কৃষিবীদ সাদেকুজ্জামান সরকার বলেন, চাষিরা উপজেলা কৃষি বিভাগ থেকে প্রশিক্ষণ নিয়ে বিভিন্ন প্রযুক্তির মাধ্যমে সবজির চাষ করছেন। একই জমিতে ২ বার কপি চাষ করছেন। এতে খরচের হার কম হওয়ায় তাদের লাভের পরিমান বাড়ছে। মৌসুমের শুরুর দিকে ফুলকপি খুচরা ৬০ থেকে ৭০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হয়েছে। দ্বিতীয় দফায় কপি অল্প দিনের মধ্যে বাজারে আসতে শুরু করেছে। কপি চাষাবাদের শেষ পর্যন্ত ভালো বাজার পাওয়া যাবে। এজন্য কৃষি বিভাগের লোকজন সার্বক্ষনিক মাঠ পর্যায়ে কাজ করছেন বলেও তিনি উল্লেখ করেন।