রমজানে পাবনায় সবজি ও মাছ-মাংসের বাজার চড়া

প্রতি বছর রমজান শুরু হলে নিত্যপণ্যের বাজার হু-হু করে বাড়তে থাকে। এবছরও এর ব্যতিক্রম ঘটেনি। গত কয়েক দিনের ব্যবধানে বিশেষ করে সবজির মধ্যে শসা ও বেগুনের দাম কেজিতে বেড়েছে ৫-১০ টাকা পর্যন্ত। অন্যদিকে রমজানে ইফতারিতে শরবতের চাহিদা বাড়ে তাই বাড়তি এই চাহিদাকে কাজে লাগিয়ে লেবুর দামও বাড়িয়ে দিয়েছেন বিক্রেতারা। এছাড়া মাছ ও মাংসের বাজারও ঊর্ধ্বমুখী।

বুধবার (২০ এপ্রিল) পাবনার টেবুনিয়া কাঁচা বাজারে খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, প্রতি কেজি বেগুন ৫-১০টাকা বেড়ে গিয়ে এখন বিক্রি হচ্ছে ৬০-৭০ টাকায়। এছাড়া শসা কেজিতে ১৫ টাকা বেড়ে বিক্রি হচ্ছে ৪০-৫০ টাকা। অন্যদিকে আলু বিক্রি হচ্ছে ২০টাকা, বরবটি ৬০ টাকা, তিতা করলা ৬০ টাকা, লাউ পিচ ৩০-৪০ টাকায়, মিষ্টি কুমড়া কাঁচা ৪০ টাকা, পাকা ৫০ টাকা, পটল ৭০-৮০ টাকা, চিচিঙ্গা ৫০ টাকা, ঢেঁড়স ৫০ টাকা, টমেটো ৩০-৪০ টাকা, কচুর লতি ৫০-৬০ টাকা, পেঁপে ৩৫ টাকা, শিম ৬০-৬৫ টাকা, কাঁচা মরিচ কেজি ৭০-৮০ টাকা। এছাড়া গত দুইদিন আগে প্রতি হালি লেবু ২৫-৩০ টাকায় বিক্রি হলেও এখন বিক্রি হচ্ছে ২০ টাকায়।

সবজি বিক্রেতারা বলছেন, বাজারে হঠাৎ করে বেগুন, শসা ও লেবুর চাহিদা বেড়ে যাওয়ায় দামও বেড়ে গেছে। সরবরাহ বাড়লে দাম কমে যাবে। আরিফ হোসেন নামের একজন ক্রেতা জানান, রমজান মাস আসলে বিক্রেতারা নিত্য নতুন অজুহাতে সবজির বাজার বৃদ্ধি করে থাকে। বিষয়টা দুঃখজনক। এ ব্যাপারে প্রশাসনের নিয়মিত বাজার মনিটরিং করা জরুরী বলে মনে করেন এই ক্রেতা।

খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, ইলিশ আকারভেদে বিক্রি হচ্ছে ৬০০ টাকা থেকে শুরু করে ১ হাজার ২০০ পর্যন্ত। এছাড়া লইট্টা বিক্রি হচ্ছে ১৩০-১৪০ টাকা, মাগুর বিক্রি হচ্ছে ৫০০-৬০০ টাকা, অপরদিকে দেশী শিং মাছ আকারভেদে বিক্রি হচ্ছে ৬০০ টাকা থেকে ৮০০ টাকায়, কই ২৫০ টাকা থেকে ৩০০ টাকায়, মাগুর ৭০০ টাকা থেকে ৮০০ টাকা, শৈল ৪০০ টাকা থেকে ৫০০ টাকা, কাতাল ৩০০ টাকা থেকে ৩৫০ টাকা, রুই ২৫০-৩০০ টাকা, বোয়াল ৫০০ টাকা ৬০০ টাকা, গলদা চিংড়ি আকারভেদে ৭০০ টাকা ৮০০ টাকা, তেলাপিয়া ১৫০-১৮০ টাকা, পাঙ্গাস ১৫০ টাকা থেকে ১৮০ টাকা।

আটঘরিয়ার দেবোত্তর বাজারের মাছ বিক্রেতা লালন হোসেনসহ অনেকেই জানান, মিঠা পানির মাছের দাম আগের মতোই অপরিবর্তিত রয়েছে। তবে সামুদ্রিক মাছের দাম কিছুটা বেড়েছে।

অন্যদিকে মাংসের বাজারে খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, বর্তমানে ব্রয়লার মুরগি বিক্রি হচ্ছে ১৬০ থেকে ১৬৫ টাকা, সোনালি মুরগির বিক্রি হচ্ছে ৩০০ থেকে ৩২০ টাকা কেজি দরে। গরুর মাংস গত সপ্তাহে ৬০০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে বর্তমানে কেজিতে ৫০ টাকা বেড়ে বিক্রি হচ্ছে ৬৫০ টাকায়। অপরদিকে খাসির মাংস বিক্রি হচ্ছে ৭০০ টাকা থেকে ৮০০ টাকায়।

মাংস বিক্রেতা মনিরুল ইসলাম বলেন, অনেক দিন ব্রয়লার মুরগির দাম বাড়তি। তবে এখন আগের তুলনায় মুরগির সরবরাহ বাড়ছে। রমজানে দাম বাড়ার সুযোগ নেই। এছাড়া গরু ও খাসির মাংসের দাম দীর্ঘ সময় ধরে স্থিতিশীল রয়েছে।