রাখাইনে ফিরে এই ক্যাম্পে জায়গা হবে রোহিঙ্গাদের
রোহিঙ্গাদের প্রত্যাবাসন প্রক্রিয়া চলছে। গত ২৩ নভেম্বর বাংলাদেশ ও মিয়ানমারের দুই পররাষ্ট্রমন্ত্রী এ বিষয়ে দ্বিপাক্ষিক সমঝোতায় পৌঁছান। ১৯ ডিসেম্বর যৌথ ওয়ার্কিং গ্রুপ গঠন করা হয়। ১৬ জানুয়ারি প্রত্যাবাসনের পদক্ষেপ বাস্তবায়নের রূপরেখা নিয়ে চুক্তি সই হয়।
সেই চুক্তি অনুযায়ী দুই দেশের সীমান্তে অস্থায়ী ক্যাম্পে যাচাই-বাছাই প্রক্রিয়ার মাধ্যমে ইতিমধ্যে প্রত্যাবাসন প্রক্রিয়া মঙ্গলবার শুরু হওয়ার কথা ছিল। তবে পরিচয় ও অন্যান্য প্রক্রিয়াগত জঠিলতায় ফেরত পাঠানো শুরু হতে দেরি হচ্ছে বাংলাদেশকে। অবশ্য এ সুযোগ নিয়ে ঢাকাকে দায়ী করা শুরু করেছে সু চি সরকার।
মিয়ানমারের আন্তর্জাতিক সম্পর্ক বিষয়ক মন্ত্রী খ থিন সংবাদ মাধ্যমকে বলেছেন, তারা এখনই প্রত্যাবাসনে প্রস্তুত রয়েছেন। কিন্তু বাংলাদেশ দেরি করছে।
অনেকের আগ্রহ জন্মেছে মিয়ানমার আসলে কিভাবে ‘প্রস্তুতি’ নিয়েছে? রোহিঙ্গাদেরকে কি তাদের বাড়িঘর ফেরত দেবে সু চি সরকার? উত্তর, ‘না’।
নিজের মাতৃভূমিতে ফিরে যাওয়ার পর শরণার্থী ক্যাম্পে আশ্রয় হবে রোহিঙ্গাদের। নিজের দেশেই শরণার্থী! সেই ক্যাম্প নির্মাণের কাজ চলছে।
বার্তা সংস্থা রয়টার্স রাখাইনের মংডুতে নির্মিতব্য সেই ক্যাম্পের কিছু ছবি প্রকাশ করেছে। তাতে দেখা যাচ্ছে, কয়েক একর জমির উপর কিছু টিনের ঘর তৈরি করা হয়েছে। ঘরগুলোর চারদিকে কাটাতারের উঁচু বেড়া দেয়া। তার বাইরে বন্দুক হাতে টহল দিচ্ছেন নিরাপত্তা বাহিনীর সদস্যরা।
এদিকে জাতিসংঘ বলেছে, রোহিঙ্গাদের ফিরে যাওয়ার জন্য মিয়ানমার এখনও নিরাপদ নয়। বৃহস্পতিবার জাতিসংঘের শিশু অধিকার নিয়ে কাজ করা ইউনিসেফ এর উপ নির্বাহী পরিচালক জাস্টিন ফরসিথ বলেন, নিরাপত্তা শঙ্কায় বাংলাদেশে আশ্রয় নেওয়া রোহিঙ্গাদের কেউই এখন ফিরে যাওযার আগ্রহ প্রকাশ করেনি।
এবিসি নিউজের প্রতিবেদনে বলা হয়, অনেক রোহিঙ্গাই নিজেদের গ্রামে ফিরতে চাইলেও এখনি প্রস্তুত নয়। জাস্টিন ফরসিথ বলেন, এখন ফিরে যাওয়ার জন্য নিরাপদ নয়। আমাদের মিয়ানমারের অভ্যন্তরীণ নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে হবে তারপর তাদের ফেরত পাঠাতে হবে।
এই রকম সংবাদ আরো পেতে হলে এই লেখার উপরে ক্লিক করে আমাদের ফেসবুক ফ্যান পেইজে লাইক দিয়ে সংযুক্ত থাকুন। সংবাদটি সম্পর্কে মন্তব্য করতে হলে এই পেইজের নীচে মন্তব্য করার জন্য ঘর পাবেন