রাখাইনে ফের নিরাপত্তাবাহিনীর ওপর আরসার হামলা

রাখাইনের স্বাধীনতাকামী রোহিঙ্গা বিদ্রোহীদের সংগঠন আরাকান রোহিঙ্গা স্যালভেশন আর্মির (আরসা) হামলায় মিয়ানমারের ছয় পুলিশ সদস্য আহত হয়েছে। দেশটির গণমাধ্যমের খবরে বলা হয়েছে, বুধবার রাখাইনের উত্তরাঞ্চলে এই হামলা চালিয়েছে আরসা।
শনিবার মিয়ানমার রেডিও ও টেলিভিশন (এমআরটিভি) বলছে, মিয়ানমার সীমান্তরক্ষী বাহিনী বর্ডার গার্ড পুলিশের (বিজিপি) সদস্যদের বহনকারী একটি পুলিশ ভ্যান মংডু শহরের ওয়াত কিইয়েন গ্রামের কাছে আক্রান্ত হয়েছে। দেশটির সরকার বলছে, রোহিঙ্গা বিদ্রোহীদের সংগঠন আরসা এই হামলার সঙ্গে জড়িত।
২০১৭ সালের আগস্টে রাখাইনে বিজিপির একাধিক তল্লাশি চৌকিতে আরসার একযোগে হামলায় বেশ কয়েকজন পুলিশ সদস্যের প্রাণহানি ঘটে। রাখাইনে আরসার এই হামলার পর সংখ্যালঘু রোহিঙ্গা মুসলিমদের বিরুদ্ধে ক্লিয়ারেন্স অপারেশন শুরু করে দেশটির নিরাপত্তা বাহিনী। কঠোর এই অভিযানে প্রায় সাড়ে সাত লাখ রোহিঙ্গা মুসলিম সীমান্ত পেরিয়ে বাংলাদেশে ঢুকে পড়ে।
বাংলাদেশে পালিয়ে আসা রোহিঙ্গারা বলেছেন, অভিযানের নামে মিয়ানমার সেনাবাহিনী রাখাইনে নির্বিচারে রোহিঙ্গা হত্যা, ধর্ষণ ও বাড়ি-ঘরে অগ্নিসংযোগ করেছে। ২০১৭ সালের ওই হামলার পর মিয়ানমার সরকার রোহিঙ্গাদের এই সংগঠনকে সন্ত্রাসী হিসেবে ঘোষণা দেয়। একই সঙ্গে বিজিপির ওপর হামলার নিন্দা জানায়।
কয়েকদিন আগেও দেশটির নিরাপত্তা বাহিনীর ওপর হামলা চালানোর অভিযোগ উঠে আরসার বিরুদ্ধে। শনিবার সকালের দিকে বিজিপির ওপর হামলার ছোট একটি ভিডিও ফুটেজ সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ভাইরাল হয়ে ছড়িয়ে পড়ে। এই ভিডিওতে আরসার লোগো এবং হামলার তারিখ দেখা যায়।
ভিডিওতে অস্ত্রে-শস্ত্রে সজ্জিত মুখোশ পরিহিত কিছু মানুষকে দেখা যায়; আগের ভিডিওতে একে-৪৭ রাইফেল-সহ যাদের দেখা গেছে তাদের সঙ্গে মুখোশ পরিহিত এই অস্ত্রধারীদের চেহারার মিল নেই। একে-৪৭ রাইফেল থেকে পুলিশের একটি ভ্যানে গুলি ছুড়েছিল আরসার ওই সদস্যরা।
এমআরটিভিতে প্রচারিত ভিডিও ফুটেজে একজন বন্দুকধারীকে বলতে শোনা যায়, সৃষ্টিকর্তা নিরাপত্তা বাহিনীকে হত্যার নির্দেশ দেয়ায় গত ১৬ জানুয়ারি ২০১৯ আমাদের আরসার সদস্যরা হামলা চালিয়েছে।
তবে শনিবার পুলিশের অপর এক প্রতিবেদনে নিরাপত্তাবাহিনীর ওপর হামলার জন্য রাখাইনের অধিক স্বায়ত্ত্বশাসনের দাবিতে লড়াইরত অপর বিদ্রোহী গোষ্ঠী আরাকান আর্মিকে (এএ) দায়ী করা হয়।
সূত্র : দ্য ইরাবতি
এই রকম সংবাদ আরো পেতে হলে এই লেখার উপরে ক্লিক করে আমাদের ফেসবুক ফ্যান পেইজে লাইক দিয়ে সংযুক্ত থাকুন। সংবাদটি সম্পর্কে মন্তব্য করতে হলে এই পেইজের নীচে মন্তব্য করার জন্য ঘর পাবেন




















