রাখাইনে রোহিঙ্গা বিদ্রোহীদের হামলায় ৫ সীমান্ত পুলিশ আহত
রাখাইনে সংখ্যালঘু রোহিঙ্গা মুসলিম বিদ্রোহীদের হামলায় মিয়ানমারের ছয় সীমান্ত প্রহরী পুলিশ আহত হয়েছে।
শনিবার দেশটির রাষ্ট্রীয় গণমাধ্যমের খবরের বরাতে বার্তা সংস্থা রয়টার্স এমন তথ্য জানিয়েছে। সংঘাত কবলিত রাখাইনে সম্প্রতি সহিংসতা বৃদ্ধির আশঙ্কার মধ্যেই এই হামলার ঘটনাটি ঘটেছে।
দক্ষিণ এশীয় দেশটির সরকার নিয়ন্ত্রীত টেলিভিশন নেটওয়ার্কের খবরে বলা হয়েছে, রাখাইনের উত্তরে মংডু শহরতলীর ওয়েট কেইন গ্রামে আরাকান রোহিঙ্গা স্যালভেশন আর্মির (আরসা) ১০ সশস্ত্র হামলাকারী অতর্কিতভাবে সীমান্ত প্রহরীদের একটি ফাঁড়িতে চড়াও হন।
এ নিয়ে বার্তা সংস্থা রয়টার্সের তরফে মিয়ানমার সরকারের মুখপাত্রের সঙ্গে যোগাযোগ করার চেষ্টা করা হলে তাকে পাওয়া যায়নি।
গত কয়েক সপ্তাহ ধরে সহিংসতায় রাখাইনে উত্তেজনা চলছে। রাখাইনের আরেকটি সশস্ত্র গোষ্ঠী আরাকান আর্মি ও সরকারি নিরাপত্তা বাহিনীর মধ্যে সংঘর্ষে রাজ্যটি উত্তপ্ত অবস্থায় রয়েছে।
২০১৬ সালে সীমান্ত ফাঁড়িতে হামলার মধ্য দিয়ে আরসার আত্মপ্রকাশ ঘটে। মিয়ানমারে বছরের পর বছর ধরে নিপীড়নের শিকার সংখ্যালঘু রোহিঙ্গাদের অধিকার আদায়ের বিষয়টি সামনে তুলে ধরেই তাদের আবির্ভাব ঘটেছে।
জাতিসংঘ জানিয়েছে, রাখাইনে সাম্প্রতিক সহিংসতায় অন্তত পাঁচ হাজার লোক তাদের ঘরবাড়ি ছেড়ে চলে যেতে বাধ্য হয়েছে।
এছাড়াও ২০১৭ সালের আগস্টের শেষ দিকে রোহিঙ্গাদের বিরুদ্ধে মিয়ানমার সেনাবাহিনীর হামলায় সাড়ে সাত লাখের বেশি রোহিঙ্গা পালিয়ে প্রতিবেশী বাংলাদেশে আশ্রয় নিয়েছেন।
জাতিসংঘ ও পশ্চিমা দেশগুলো যেটাকে জাতিগত নিধন হিসেবে আখ্যায়িত করেছে। অভিযোগ অস্বীকার করে বিদ্রোহীদের বিরুদ্ধে বৈধ অভিযান পরিচালনার দাবি করে আসছে মিয়ানমার সরকার।
আরাকান আর্মি রাখাইনে স্বায়ত্তশাসনের দাবিতে গত একদশক ধরে লড়াই করে আসছে। নৃতাত্ত্বিক রাখাইন বৌদ্ধদের নিয়ে সংগঠনটির উৎপত্তি।
খবরে বলা হয়েছে, আরাকান আর্মি যেখানে হানা দিয়েছিল, বুধবারের হামলাও সেখানে ঘটেছে। কিন্তু মংডু সীমান্ত পুলিশের এক কর্মকর্তা বলেছেন, এ হামলার জন্য আরসা দায়ী।
পুলিশের লেফটেন্যান্ট কর্নেল টিন হান লিন বলেন, প্রথমে একটি প্রাথমিক তদন্ত হয়েছে। কিন্তু এখন আমরা নিশ্চিত হয়েছি।
শুক্রবার জাতিসংঘের মানবাধিকার বিষয়ক বিশেষ দূত ইয়াং লি রাখাইনে সহিংসতা বেড়ে যাওয়ার ব্যাপারে সতর্কবার্তা দেন। তিনি উভয়পক্ষকে সংযম অবলম্বন করে বেসামরিক নাগরিকদের সুরক্ষার আহ্বান জানান।
এই রকম সংবাদ আরো পেতে হলে এই লেখার উপরে ক্লিক করে আমাদের ফেসবুক ফ্যান পেইজে লাইক দিয়ে সংযুক্ত থাকুন। সংবাদটি সম্পর্কে মন্তব্য করতে হলে এই পেইজের নীচে মন্তব্য করার জন্য ঘর পাবেন