রাঙামাটি পরিবহন ধর্মঘট প্রত্যাহার, যান চলাচল স্বাভাবিক

রাঙামাটিতে পাহাড়ি-বাঙালি সহিংসতার ঘটনার তিন দিন পর পরিস্থিতি স্বাভাবিক হয়ে উঠছে।

অস্থিরতা, ভয় ও আতঙ্ক কাটিয়ে চিরচেনা রূপে ফিরতে শুরু করেছে পার্বত্য জেলা রাঙামাটি। ১৪৪ ধারা ও গণপরিবহনের অনির্দিষ্টকালের ধর্মঘট প্রত্যাহারের পর থেকে স্বাভাবিক হতে শুরু করেছে পার্বত্য এই জেলা।

পরিবহন ধর্মঘট প্রত্যাহার করায় আজ সোমবার শহরের একমাত্র যোগাযোগ মাধ্যম সিএনজি চালিত অটোরিকশা চলাচল শুরু করেছে; পাশাপাশি শহরের দোকানপাট ও অফিস-আদালত খুলেছে। শহরের প্রধান বনরূপা কাঁচাবাজারে শুরু হয়েছে বেচাকেনা।

রাঙামাটি-চট্টগ্রাম, রাঙামাটি-বান্দরবনের বাস চলাচল করলেও রাঙামাটি থেকে খাগড়াছড়ির কোনও বাস ছেড়ে যায়নি। বেলা বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে সড়কে গণপরিবহনের সংখ্যাও বাড়ছে।

রাঙামাটি সিএনজি অটোরিকশা চালক সমিতির সভাপতি মিজানুর রহমান বলেন, গতকাল সন্ধ্যার দিকে অনির্দিষ্টকালের জন্য ধর্মঘট প্রত্যাহারের ঘোষণা দেওয়া হয়েছে। আজ সোমবার সকাল থেকে শহরের অটোরিকশা চলাচল করছে। বাস–ট্রাক চলাচলও স্বাভাবিক হয়েছে বলে তিনি জানান।

তবে ইউনাইটেড পিপল ডেমোক্রেটিক ফ্রন্ট (ইউপিডিএফ) ও বৈষম্যবিরোধী পাহাড়ি ছাত্র আন্দোলনের ডাকা ৭২ ঘণ্টার অবরোধের কারণে রাঙামাটি-খাগড়াছড়ি সড়কে যানবাহন চলাচল করছে না।

জেলা প্রশাসন সূত্রে জানা গেছে, সহিংস ঘটনার দুই দিন পর স্বাভাবিক হয়ে আসায় গতকাল রোববার বেলা ১১টার দিকে জেলা প্রশাসন রাঙামাটি পৌর শহরে জারি করা ১৪৪ ধারা প্রত্যাহার করে নেয়। গতকাল সন্ধ্যার দিকে ধর্মঘট প্রত্যাহারের ঘোষণা দেন পরিবহনের মালিক-শ্রমিকেরা। আজ সকল থেকে শহরে অটোরিকশা চলাচল করছে।

তবে আতঙ্ক পুরোপুরি কাটেনি। স্থানীয়রা মনে করেন, ধীরে ধীরে স্বাভাবিক হয়ে একদম আগের মতো অবস্থায় ফিরবে রাঙামাটি।

নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্যদের তৎপর দেখা গেছে। বনরূপা পুলিশ বক্স এলাকা, হ্যাপির মোড় ও নিউমার্কেট এলাকায় বিপুলসংখ্যক পুলিশ ও সেনাবাহিনী মোতায়েন রয়েছে।