রাঙামাটির কাউখালী মারমা তরুণীকে গণধর্ষণের ঘটনায় প্রতিবাদ জানিয়েছে মারমা ছাত্র সমাজ

খাগড়াছড়ি পার্বত্য জেলায় পুলিশের বাধায় রাঙামাটির কাউখালী উপজেলায় সেটলার কর্তৃক এক মারমা তরুণীকে গণধর্ষণের ঘটনায় প্রতিবাদ জানিয়ে বিক্ষোভ মিছিল করেছে সচেতন মারমা ছাত্র সমাজ। শনিবার (১৯ এপ্রিল ২০২৫) বিকেল ৫টায় য়ংন্ড বৌদ্ধ বিহার থেকে প্রতিবাদ মিছিল বের করা হয়।

মিছিলটি শহরে শাপলা চত্বরে দিকে আসতে চাইলে বাজারে পানখাইয়া পাড়ার যাওয়ার মুখে প্রধান সড়কে আটকিয়ে দেয়। এসময় চতুরমুখী রাস্তায় পুলিশের মোবাইল টিমের যানবাহনসহ এলোপাঠাড়ি রাখা হলে অন্যান্য সাধারন যানবাহন জ্যামে পড়ে সাধারন যাত্রীরা চরম বিরম্বনা পড়তে হয়েছে।

প্রতিবাদ মুখী সাধারন শিক্ষার্থী একই জায়গায় অবস্থান করে বাংলাদেশ মারমা ষ্টুডেন্ট কাউন্সিল খাগড়াছড়ি জেলা শাখার সভাপতি উখ্যেনু মারমা সভাপতিত্বে প্রতিবাদ সমাবেশ করে। এতে বক্তব্য রাখেন বাংলাদেশ মারমা ষ্টুডেন্ট কাউন্সিল খাগড়াছড়ি জেলা শাখার সাধারন সম্পাদক উক্যচিং মারমা, সাধারন শিক্ষার্থী কবিতা চাকমা, চম্পা মারমা, নিথোয়াই মারমা প্রমূখরা এ নিন্দা ও প্রতিবাদ জানান।

বক্তার বলেন, খাগড়াছড়ি প্রশাসন আজকে বাধা দিয়ে ধামা-চাপা দেওয়ার চেষ্টা করছে।

ঘটনা উল্লেখ করে বলেন, গত ১৫ই এপ্রিল মধ্যরাত ১২টার সময় কাউখালী বাজার এলাকায় একদল সেটলার বাঙালি কর্তৃক এক মারমা তরুণী (২০) গণধর্ষণের অমানবিক শিকার হয়েছে। ঘটনার পরদিন সকালে লোকজন ঘটনাটি জানতে পারার আগেই ধর্ষকরা সেখান থেকে পালিয়ে যায়।

পরে ঘটনাটি জানাজানি হলে ভুক্তভোগীর পরিবারের পক্ষ থেকে কাউখালী থানায় জিডি করা হয়। কিন্তু ঘটনার ২দিন পার হলেও অপরাধীদের গ্রেফতারে প্রশাসনের কোন পদক্ষেপ দেখা যাচ্ছে না। ভুক্তভোগী তরুণী বর্তমানে রাঙামাটিতে চিকিৎসাধীন অবস্থায় রয়েছেন।

উদ্বেগ প্রকাশ করে বলেন, পার্বত্য চট্টগ্রামে পাহাড়ি নারীদের নিরাপত্তার হুমকি হয়ে দাঁড়িয়েছে সেটলার বাঙালি দ্বারা। তাদের দ্বারা প্রতিনিয়ত পাহাড়ি নারী-শিশু ধর্ষণ-নির্যাতনের শিকার হচ্ছে।

অভিযোগ করে বলেন, পার্বত্য চট্টগ্রামে আজ পর্যন্ত যতগুলো ধর্ষণ-নিপীড়নের ঘটনা ঘটেছে তার কোন ঘটনারই সুষ্ঠু বিচার হয়নি বরং ঘটনা ধামাচাপা দেয়া হয়েছে। যার কারণে ধর্ষণের মতো জঘন্য ঘটনা বেড়েই চলেছে।

কাউখালীতে গণধর্ষণের ঘটনায় জড়িতদের অবিলম্বে গ্রেফতার করে বিচারের আওতায় এনে দৃষ্টান্তমূলক কঠোর শাস্তি এবং পার্বত্য চট্টগ্রামসহ আছিয়া মতো ধর্ষনের পর চিকিসাধীন অবস্থায় মারা যায়। সারাদেশে নারী নির্যাতন, ধর্ষণ বন্ধে কঠোর পদক্ষেপ নেয়ার দাবি জানান।

উল্লেখ্য পার্বত্য জেলা রাঙামাটির কাউখালী উপজেলায় সেটলার কর্তৃক এক মারমা তরুণীকে গণধর্ষণের ঘটনায় বিভিন্ন সংগঠন তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়ে আসছে।
খাগড়াছড়ি সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো: আব্দুল বাতেন মৃধা জানান, আমরাও চাই ধর্ষকরা যথাপযুক্ত শাস্তি পাক এই কামনা করি। তবে প্রশাসনের পুর্বানু অনুমতি না থাকা এবং উর্দ্ধতন কর্তৃপক্ষের নির্দ্দেশে বাধা দিতে হয়েছে।