রাজধানীতে পৃথক ঘটনায় স্কুল শিক্ষার্থীসহ ৩ মরদেহ উদ্ধার
রাজধানীর মুগদা, ওয়ারিয়া ও খিলগাঁওতে পৃথক ঘটনায় স্কুল শিক্ষার্থীসহ দুই নারীর মরাদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ। বৃহস্পতিবার (১০ ফেব্রুয়ারি) মরাদেহ ময়নাতদন্তের জন্য ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল (ঢামেক) মর্গে পাঠানো হয়।
এই তিনজন হলেন- স্কুল শিক্ষার্থী মুগদার শান্তা আক্তার (১৫), খিলগাঁওয়ের রওশনারা বেগম (৬০) ও ওয়ারীর অজ্ঞাত এক নারী। তার আনুমানিক বয়স ৪০ বছর।
মুগদা থানা পুলিশের উপ-পরিদর্শক (এসআই) আবু আনছার বলেন, আমরা খবর পেয়ে মুগদা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের জরুরি বিভাগ থেকে শান্তা আক্তারের মরদেহ নিয়ে ঢামেক মর্গে পাঠাই। তার স্বজনরা বলছে, সে ঘরের আড়ার সঙ্গে ওড়না পেঁচিয়ে ফাঁসি দিয়েছে। দরজা ভেঙে তাকে উদ্ধার করে মুগদা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের জরুরি বিভাগে নিয়ে গেলে চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন।
তিনি আরও জানান, তার গলায় চিকন দাগ রয়েছে। ময়নাতদন্তের প্রতিবেদন পেলে মৃত্যুর সঠিক কারণ জানা যাবে। থানায় একটি অপমৃত্যু মামলা হয়েছে।
নিহতের মা সাহিদা আক্তার বলেন, আমার মেয়ে মানিকনগর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের অষ্টম শ্রেণিতে পড়াশোনা করতো। আমরা বাসায় ফিরে দেখি সে ওড়না গলায় পেঁচিয়ে ঝুলে আছে।
অপরদিকে খিলগাঁও থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) মোছা. সনিয়া পারভীন বলেন, আমরা ৯৯৯ ফোন পেয়ে রাত সাড়ে ১০টার দিকে খিলগাঁও কবরস্থানের দক্ষিণ ও পূর্ব পাশে গাছের ডালে রশি দিয়ে গলায় ফাঁস লাগানো অবস্থায় রওশন আরার ঝুলন্ত মরদেহ উদ্ধার করি। পরে আইনি প্রক্রিয়া শেষে ময়নাতদন্তের জন্য ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয় মরদেহ।
তিনি আরও জানান, আমরা প্রাথমিকভাবে তার স্বজনের কাছে জানতে পেরেছি দীর্ঘদিন ধরে মানসিক সমস্যায় ভুগছিলেন তিনি। সে কারণে ফাঁসি দিয়ে আত্মহত্যা করতে পারেন। তবে ময়নাতদন্তের রিপোর্ট পেলে সঠিক কারণ জানা যাবে।
নিহতের ছেলে সজীব বলেন, আমার মায়ের প্রায় ১০-১২ বছর ধরে মানসিক সমস্যা ছিল। গতরাতে তিনি বাসা থেকে বের হয়ে যান। পরে আমরা খবর পাই তিনি আত্মহত্যা করেন।
অপরদিকে ওয়ারী থানার ওয়ান্ডারল্যান্ড পার্কের প্রথম গেটের ভেতর থেকে অজ্ঞাতনামা এক নারীর মরদেহ উদ্ধার করে পুলিশ।
ওয়ারী থানা পুলিশের উপ-পরিদর্শক (এসআই) মো. শাহজাহান মিয়া বলেন, খবর পেয়ে রাতে পার্কের প্রথম গেটের ভেতর থেকে ওই নারীর মরদেহ উদ্ধার করি। পরে আইনি প্রক্রিয়া শেষে মরদেহ ময়নাতদন্তের জন্য ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়।
তিনি জানান, এলাকার লোকজনের মুখে জানতে পারি তিনি ওই এলাকায় ভবঘুরে ছিলেন। ওই পার্কেই থাকতেন, সেখানে ঘুমাতেন। প্রাথমিকভাবে ধারণা করছি অসুস্থজনিত কারণে তার মৃত্যু হয়েছে। তবে ময়নাতদন্তের রিপোর্ট পেলে সঠিক কারণ জানা যাবে।
এই রকম সংবাদ আরো পেতে হলে এই লেখার উপরে ক্লিক করে আমাদের ফেসবুক ফ্যান পেইজে লাইক দিয়ে সংযুক্ত থাকুন। সংবাদটি সম্পর্কে মন্তব্য করতে হলে এই পেইজের নীচে মন্তব্য করার জন্য ঘর পাবেন