রাজনৈতিক ব্যানার-ফেস্টুন সরানো হলো সেই কলেজ ভবন থেকে
গাজীপুরের বহুল আলোচিত কোনাবাড়ী ডিগ্রি কলেজ ভবন ও মাঠের আশপাশে সাঁটানো ব্যানার-ফেস্টুন অবশেষে সরিয়ে নেওয়া হয়েছে।
সোমবার এ নিয়ে বিভিন্ন গণমাধ্যমে ‘কলেজ ভবন নাকি রাজনৈতিক কার্যালয়’ এমন শিরোনামে সংবাদ প্রকাশ হয়। এরপর সোমবার দিবাগত রাতেই নেতাকর্মীরা নিজ দায়িত্বে তাদের ব্যানার ফেস্টুন সরিয়ে নেন।
আওয়ামী লীগের নেতা-কর্মীদের একের পর এক ব্যানার আর ফেস্টুনে পুরো ভবন ঢেকে দেওয়া হয়েছিল। ভবনের পাশের মাঠ ও মূল ফটকেও ছিল নেতা-কর্মীদের ছবিসংবলিত বাহারি প্রচার। তখন একনজরে কেউ দেখলে মনে করতেন এটা কোনো রাজনৈতিক কার্যালয়। আদতে এটি গাজীপুরের কোনাবাড়ী ডিগ্রি কলেজের ভবন।
দলীয় সূত্রে জানা গেছে, কোনাবাড়ী থানা আওয়ামী লীগের নতুন কমিটি গঠন উপলক্ষে ১৫ অক্টোবর সম্মেলনের আয়োজন করা হয়েছে। সম্মেলনকে কেন্দ্র করে এলাকায় ব্যাপক প্রচার-প্রচারণা চালিয়ে যাচ্ছেন দলীয় নেতা-কর্মীরা। নেতা-কর্মীরা জেলা ও মহানগরের বড় নেতাদের ও সম্মেলনে আসা অতিথিদের দৃষ্টি আকর্ষণ করতে ঢাকা-টাঙ্গাইল মহাসড়কের দুই পাশে প্রায় দুই কিলোমিটার এলাকায় ব্যানার-ফেস্টুন লাগিয়েছেন।
কোনাবাড়ী ডিগ্রি কলেজ মাঠেই সম্মেলন অনুষ্ঠিত হবে, তাই কলেজের প্রধান ফটকসহ আশপাশে এবং পুরো কলেজ ভবনটি ঢেকে ফেলা হয়েছে ব্যানার ও ফেস্টুন দিয়ে।
এরই মধ্যে মঙ্গলবার থেকে ছুটি শেষে কলেজে ক্লাস শুরু হয়েছে।
এর আগে রোববার দুপুর আড়াইটার দিকে কোনাবাড়ী ডিগ্রী কলেজে গিয়ে দেখা যায়, বিভিন্ন পর্যায়ের নেতাকর্মীদের ব্যানার ও ফেস্টুনে কলেজ ফটক, মাঠ ও একাডেমিক ভবন ডেকে গেছে। দেখে বোঝার উপায় নেই এটি কলেজ নাকি আওয়ামী লীগের কার্যালয়। প্রধান ফটকে বেশ কয়েকজন লোক তোরণ নির্মাণে ব্যস্ত সময় পার করছেন। কলেজ ভবনসহ পুরো মাঠের চারদিকে ছেয়ে ফেলা হয়েছে ব্যানার ফেস্টুন দিয়ে।
কলেজ কমিটির অভিভাবক সদস্য রিয়াজ উদ্দিন বলেন, ‘কলেজের ভবন দেখে বুঝার উপায় নেই এটি কলেজ নাকি রাজনৈতিক কার্যালয়।’
স্থানীয় বাসিন্দারা বলছেন, আওয়ামী লীগের সম্মেলন হবে তাতে আমাদের কী। আমাদের বাড়ি ঘর থেকে শুরু করে পুরো রাস্তাঘাট সব স্থানে পোষ্টার লাগিয়ে এলাকার পরিবেশ নষ্ট করে দিয়েছে। এলাকার শিক্ষা প্রতিষ্ঠানটি দেখে মনে হচ্ছে এটি রাজনৈতিক কাযালয়। দ্রুত এসব ব্যানার-ফেষ্টু অপসারণ করা প্রয়োজন।
কোনাবাড়ী ডিগ্রি কলেজের অধ্যক্ষ মো. বেলাল হোসেন বলেন, কলেজ বন্ধ থাকার সুযোগে আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীরা এগুলো করে কলেজের পরিবেশ নষ্ট করেছে। তারপরও কলেজের পক্ষ থেকে এলাকার নেতাকর্মীদের বিষয়টি জানিয়েছি। তারা বলেছেন, অনুষ্ঠান শেষে ব্যানার ফেস্টুন খুলে সব কিছু পরিস্কার করে দেওয়া হবে।
গাজীপুর মহানগর আওয়ামী লীগের ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক আতাউল্লাহ মন্ডল বলেন, একটি রাজনৈতিক অনুষ্ঠান হবে যার কারণে সবাই আগে থেকেই ব্যানার পোস্টার লাগিয়েছেন। এটাতো আর আশালীন কিছু না, তাই অতোটা সমস্যা হবে না। কয়েকটা দিনই তো আপনারা একটু সয়ে নেবেন।
এই রকম সংবাদ আরো পেতে হলে এই লেখার উপরে ক্লিক করে আমাদের ফেসবুক ফ্যান পেইজে লাইক দিয়ে সংযুক্ত থাকুন। সংবাদটি সম্পর্কে মন্তব্য করতে হলে এই পেইজের নীচে মন্তব্য করার জন্য ঘর পাবেন