রাজশাহীর গোদাগাড়ীতে ব্রি১০৩ জাতের ধানের ভালো ফলন কর্তন উপলক্ষ্যে মাঠ দিবস পালিত

রাজশাহীর গোদাগাড়ীতে উচ্চ ফলনশীল ব্রি১০৩ জাত ধানের ভালো ফলন হয়েছে। বুধবার বিকাল সাড়ে টায় ১৯ নভেম্বর উপজেলার ঘনশ্যামপুর মাঠে উচ্চ ফলনশীল ধান কাটাই ও মাঠ দিবস পালিত হয়েছে। বাংলাদেশ ধান গবেষণা ইনস্টিটিউট, আঞ্চলিক কার্যালয়, রাজশাহী কর্তৃক বাস্তবায়িত আমন মৌসুমে ব্রি উদ্ভাবিত উচ্চ ফলনশীল ব্রিধান১০৩ জাতের উপজেলার ঘনশ্যামপর মাঠে নমুনা শস্য কর্তন ও মাঠ দিবস অনুষ্ঠিত হয়।

ফসল কর্তন ও মাঠ দিবস অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন বাংলাদেশ ধান গবেষণা ইনস্টিটিউট রাজশাহী এর প্রধান ও মুখ্য বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা মোহাম্মদ হোসেন।বিশেষ অতিথি ছিলেন সিনিয়র বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা হান্নান আলী।

আরো উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশ ধান গবেষণা ইনস্টিটিউট রাজশাহীর ঊর্ধ্বতন বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা তাপস কুমার হোড়, বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা সুমনা হক, গোদাগাড়ী উপ সহকারী কৃষি কর্মকর্তা সানোয়ার হোসেন,ফার্ম ম্যানেজার মোখলেসুর রহমান,এস ,এএও আব্দুল্লাহ আল মারুফ কৃষক মতিউর রহমান।

মাঠ দিবসে প্রধান অতিথি বলেন, স্বর্ণা ধান আমন মৌসুমে রাজশাহীর চাষিদের কাছে আগে থেকেই জনপ্রিয়। এ বছরও রাজশাহীতে এই ধান চাষ হয়েছে ব্যাপক। তবে গোদাগাড়ী উপজেলায় তেমন চাষ হয়নি। উপজেলার কৃষক মতিউর রহমান তার ৬বিঘা জামিতে ব্রি ১০৩ ধান চাষ করে সফল হয়েছে।

তিনি প্রতি বিঘায় ২৪মণ করে পেয়েছে। এই জাতের ধান ঘূর্ণিঝড় মোন্থার প্রভাবে যে বৃষ্টি ও বাতাস হয়েছে, তাতেই মাঠের স্বর্ণা ধান শুয়ে পড়েছে। কিন্তু পাশেই মতিউরের ব্রি-১০৩ ধান দাঁড়িয়ে রয়েছে। এই ধানের গাছও স্বর্ণার চেয়ে লম্বা। কাণ্ড শক্ত তাই বাতাসে হেলে পড়েনি। পেকেছে স্বর্ণার চেয়ে প্রায় ১৫ দিন আগে।
তিনি আরো বলেন, স্বর্ণা ধান ১৯ মণ পর্যন্ত ফলন দেয়।

আর তাদের উদ্ভাবিত দেশি জাতের এই ধানের ফলন গড়ে ২২ মণ পর্যন্ত হবে। এধানের রোগ বালাই পোকামাকড়ের আক্রমণ প্রচলিত জাতের চেয়ে কম হয়। দামও বেশি পাওয়া যাবে। চাষিরা লাভবান হবেন। সহজে এই ধান শুয়ে পড়ে না। এ জন্য চাষিরা এই ধানের খড়ও বেশি দামে বিক্রি করতে পারবেন।

এছাড়াও তানোরের মাঠ আলুর জন্য ভালো। এই ধান স্বর্ণার চেয়ে ১৫ দিন আগেই উঠছে। আলু চাষের জন্যও ভালো হবে। তাই আগামীতে পুরো মাঠ জুড়ে ব্রি ১০৩ ধানের চাষ করার জন্য চাষিদের অনুরোধ করেন।