রাজীবের হাত ‘বিচ্ছিন্নকারী’ দুই বাসচালক গ্রেফতার
রাজধানীর কারওয়ান বাজারে বেপরোয়া দুই বাসের মাঝে পড়ে তিতুমীর কলেজের স্নাতকের ছাত্র রাজীব হোসেনের হাত হারানোর ঘটনায় উভয় বাসের চালককে গ্রেফতার করা হয়েছে।
গ্রেফতারকৃতরা হলেন- বিআরটিসি বাসের চালক ওয়াহিদ ও স্বজন বাসের চালক মো. খোরশেদ।
বুধবার এক প্রেস বার্তায় ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের (ডিএমপি) মিডিয়া অ্যান্ড পাবলিক রিলেসন্স বিভাগ বিষয়টি নিশ্চিত করেছে।
প্রসঙ্গত, মঙ্গলবার দুপুরে বিআরটিসির একটি দোতলা বাসের পেছনের ফটকে দাঁড়িয়ে গন্তব্যের উদ্দেশে যাচ্ছিলেন মহাখালীর সরকারি তিতুমীর কলেজের স্নাতকের দ্বিতীয় বর্ষের ছাত্র রাজীব হোসেন। বাসটি হোটেল সোনারগাঁওয়ের বিপরীতে পান্থকুঞ্জ পার্কের সামনে পৌঁছলে হঠাৎ পেছন থেকে স্বজন বাস বিআরটিসি বাসটির গাঘেঁষে অতিক্রম করে। দুই বাসের প্রবল চাপে গাড়ির পেছনে দাঁড়িয়ে থাকা রাজীবের হাত শরীর থেকে বিচ্ছিন্ন হয়ে যায়।
ওই ঘটনার পর পথচারীরা রাজীবকে পান্থপথের শমরিতা হাসপাতালে ভর্তি করেন। চিকিৎসকরা জানিয়েছেন, রাজীবের ডানহাত কুনইয়ের ওপর থেকে বিচ্ছিন্ন হয়ে গেছে। প্রচুর রক্তক্ষরণ হয়েছে। তবে তার অবস্থা এখন স্থিতিশীল।
শাহবাগ থানার উপ-পরিদর্শক আফতাব আলী জানান, ঘটনার পরপরই স্বজন পরিবহনের চালক বাস রেখে পালিয়ে যায়। তবে দোতালা বাসের চালক ওয়াহিদকে গ্রেফতার করা হয়।
রাজীবের বাবা-মা কেউ বেঁচে নেই। তিন ভাইয়ের তিনি সবার বড়। পড়ালেখার পাশাপাশি একটি প্রতিষ্ঠানে কম্পিউটার টাইপ করে তিনি নিজের এবং ছোট দুই ভাইয়ের খরচ চালাতেন বলে রাজীবের মামা জাহিদুল জানিয়েছেন।
ওই ঘটনায় রাজিব হোসেনকে ক্ষতিপূরণ দিতে বুধবার রুল দিয়েছেন হাইকোর্ট। একই সঙ্গে তার চিকিৎসার ব্যয়ভার বহন এবং তার কৃত্রিম হাত প্রতিস্থাপন করা হলে তার খরচও দুই বাসমালিক কর্তৃপক্ষকে বহন করতে আদেশ দেন আদালত।
এই রকম সংবাদ আরো পেতে হলে এই লেখার উপরে ক্লিক করে আমাদের ফেসবুক ফ্যান পেইজে লাইক দিয়ে সংযুক্ত থাকুন। সংবাদটি সম্পর্কে মন্তব্য করতে হলে এই পেইজের নীচে মন্তব্য করার জন্য ঘর পাবেন