রাতে ঘুমের আগে যে মারাত্নক ভূল করে নিজেকে শেষ করে দিচ্ছেন

ঘুম শরীরের জন্য খুব গুরুত্বপূর্ণ। ভালো ঘুম না হলে ক্লান্ত ও অবসাদগ্রস্ত হয়ে পড়ি আমরা। ঘুমের মধ্যে শরীরের সব অঙ্গ নতুন করে শক্তি সঞ্চয় করে। ভালো ঘুম না হলে অনেক ধরনের রোগ তৈরি হয়, মানসিক চাপও বাড়ে। কাজেই ঘুম নষ্ট হতে দেওয়া যাবে না। আর নির্ঝঞ্ঝাট ঘুমের জন্য রয়েছে কিছু টিপস। লাইফস্টাইল ওয়েবসাইট বোল্ড স্কাই জানিয়েছে ঘুমের আগে কিছু জিনিস করবেন না, তাহলে দুই চোখজুড়ে ঘুম আসবে আপনার।

তর্ক-বিতর্কঃ

ঘুমানোর আগে যদি কারো সাথে যুক্তিতর্কে লিপ্ত হন তখন আপনার মন নানা চিন্তায় পূর্ণ হয়ে যায়। যুক্তির পিঠে পাল্টা যুক্তি আপনার ভাবনায় আসতেই থাকবে। এটি আপনার ঘুমকে ব্যাহত করবে। গবেষকরা বলেন, ঘুমের আগে কারো সঙ্গে ঝগড়া করলে, এর রেশ রয়ে যায় পরেরদিন ভোর পর্যন্ত। পুরো রাত নিশ্চিন্ত ঘুমকে নিশ্চিত করতে ঘুমুতে যাওয়ার আগে কোনো তর্কবিতর্ক নয়, কেমন?

আগ্রহ জাগায় এমন বইঃ

ঘুমানোর আগে বই বা উপন্যাস পড়লে ঘুম তাড়াতাড়ি আসে। তবে এ সময় কোনো উৎসুক বা জানার আগ্রহ হয় এমন গল্পের বই পড়তে যাবেন না। এর ফলে আপনি বইটি পড়তেই থাকবেন আর এতে আপনার ঘুমের সময় চলে যাবে। তখন ঘুম সহজে ধরা দেবে না চোখে।

ব্যায়াম করবেন নাঃ

ব্যায়াম শরীরকে স্বাস্থ্যকর ও সুঠাম রাখে। তবে ঘুমের আগে ব্যায়াম করলে ঘুম ব্যাহত হবে। ব্যায়ামের ফলে শরীরের তাপমাত্রা বেড়ে যায় এবং এটা ঘুমের অসুবিধা করে। তাই ঘুমের আগে শরীরচর্চা নয়।

ইন্টারনেট ব্রাউজ করাঃ

ঘুমের আগে ল্যাপটপ চালানো বা টিভি দেখা ঘুমের আবেশকে নষ্ট করে দেয়। টিভির স্ক্রিন থেকে যে আলো আসে সেটা ঘুম তৈরির হরমোন মেলাটোনিনের নিঃসরণকে কমিয়ে দেয়। সব ধরনের স্ক্রিনের আলো এমনকি মোবাইল ফোনের আলোও এড়িয়ে চলুন।

বিছানায় বসেও কাজ নয়ঃ

ঘুমাতে যাওয়ার আগে যেকোনো ধরনের অফিসের কাজ মস্তিষ্ককে সক্রিয় রাখে। এটা মানসিক চাপ তৈরি করে এবং ঘুমকে ব্যাহত করে। কাজেই বিছানায় যাবেন ঘুমোতেই, কাজ করে ঘুমাবেন এমন চিন্তা করবেন না।

শিশুদের সঙ্গে খেলাঃ

ঘুমানোর আগে শিশুর সঙ্গে খেলতে যাবেন না। এটা শিশু এবং আপনার উভয়ের ঘুমই নষ্ট করবে। মস্তিষ্ককে শেখাতে হবে খেলার সময় খেলা, ঘুমের সময় ঘুম।

চা-কফি খাবেন নাঃ

চা-কফি বা যে কোনো ক্যাফেইন-জাতীয় খাবার ঘুমানোর আগে এড়িয়ে চলুন। এগুলো ঘুমের ব্যাঘাত ঘটায়।..