রিজার্ভ চুরির তদন্তে ফের ফিলিপাইন যাচ্ছেন সিআইডির ২ কর্মকর্তা

বাংলাদেশ ব্যাংকের রিজার্ভ থেকে চুরি হওয়া অর্থ ফেরতের বিষয়ে তদন্ত করতে আবারও ফিলিপাইন যাচ্ছেন পুলিশের অপরাধ ও তদন্ত বিভাগের (সিআইডি) দুই কর্মকর্তা। তারা হলেন পুলিশ সুপার (বিশেষ) মোল্যা নজরুল ইসলাম ও অতিরিক্ত পুলিশ সুপার রায়হান উদ্দিন খান। তারা দুজনই তদন্তের সঙ্গে প্রত্যক্ষভাবে সংশ্লিষ্ট।

স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় সূত্রে জানা গেছে, ৬ থেকে ৯ জুন চারদিনব্যাপী এই সফরে তারা ফিলিপাইনের সেন্ট্রাল ব্যাংকের ডিপার্টমেন্ট অব জাস্টিস, অ্যান্টি মানি লন্ডারিং কাউন্সিল (এএমএলসি), প্রেসিডেনশিয়াল কমিশন অন গুড গভর্নেন্স (পিসিজিজি) এবং সোলিসিটর জেনারেল অফিসের সঙ্গে একাধিক সভায় অংশ নেবেন।

এ বিষয়ে জানতে চাইলে সিআইডির এক কর্মকর্তা জানান, রিজার্ভের অর্থ চুরি হওয়ার মামলার তদন্তের কিছু অংশ তুলে ধরবেন। এছাড়া টাকা আদায়ের প্রক্রিয়ার বিষয়ে তাদের অবগত করা হবে। রিজার্ভ চুরির তদন্তে যেসব আসামির নাম উঠে এসেছে তাদের বিষয়ে ফিলিপাইনকে অবগত করবে সিআইডির সদস্যরা।

২০১৬ সালের ৪ ফেব্রুয়ারি সুইফট সিস্টেম ব্যবহার করে ভুয়া বার্তা পাঠিয়ে যুক্তরাষ্ট্রের ফেডারেল রিজার্ভ ব্যাংক অব নিউইয়র্ক থেকে বাংলাদেশ ব্যাংকের প্রায় ১০ কোটি ১০ লাখ ডলার চুরির ঘটনা ঘটে। এ অর্থের একটি বড় অংশ ফিলিপাইনের রিজাল কমার্শিয়াল ব্যাংকিং কর্পোরেশনের (আরসিবিসি) মাধ্যমে ফিলিপাইনের চলে যায়।

রিজার্ভ চুরির ঘটনায় বাংলাদেশ ব্যাংকের পক্ষে প্রতিষ্ঠানটির হিসাব ও বাজেট শাখার যুগ্ম পরিচালক জুবায়ের বিন হুদা বাদী হয়ে মতিঝিল থানায় মানি লন্ডারিং প্রতিরোধ আইন ২০১২ (সংশোধনী ২০১৫) এর ৪সহ তথ্য ও প্রযুক্তি আইন ২০০৬-এর ৫৪ ধারায় ও বাংলাদেশ দণ্ডবিধি ৩৭৯ ধারায় একটি মামলা করা হয়। এতে অজ্ঞাত পরিচয় ব্যক্তিদের আসামি করা হয়। সংবেদনশীল এই মামলাটির তদন্তের দায়ভার দেয়া হয় সিআইডিকে।

সিআইডির তদন্ত সংশ্লিষ্ট সূত্র জানায়, দীর্ঘ সোয়া ১ বছরের তদন্তে সিআইডির তদন্ত সংশ্লিষ্টরা এ পর্যন্ত ফিলিপাইনের ৩০ জনকে চিহ্নিত করতে পেরেছে। তারা সবাই ফিলিপাইনের বিভিন্ন ব্যাংকের কর্মকর্তা ও ভুয়া হিসাবধারী। তাদের মধ্যে বেশ কয়েকজনকে রিজার্ভ চুরির মামলায় সাক্ষী করা হবে। বাকিদের আসামি করে অভিযোগপত্র দেয়া হবে। এছাড়া বাংলাদেশের রিজার্ভ চুরির সঙ্গে হংকং, ম্যাকাও ও ফিলিপাইনের ২৩ জন জুয়াড়িকে চিহ্নিত করা হয়েছে। তাদের সবাইকে এ মামলায় আসামি করা হবে।