রিটার্নিং কর্মকর্তার বিরুদ্ধে ঘুষ চাওয়ার অভিযোগ!
ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে ষষ্ঠ ধাপে দিনাজপুর সদর উপজেলার ১০নম্বর কমলপুর ইউনিয়নের রিটার্নিং কর্মকর্তার বিরুদ্ধে ২ জন পরাজিত প্রার্থী ঘুষ চাওয়ার অভিযোগ করেছেন।
মঙ্গলবার বিকেলে ৭নং ওয়ার্ডের মেম্বার প্রার্থী টিউবওয়েল প্রতীক মকবুল হোসেন চৌধুরী এবং সংরক্ষিত ৩নং (৮, ৯ ও ১০নং) ওয়ার্ডের মেম্বার প্রার্থী শাহিনা বেবী পৃথক পৃথকভাবে জেলা জ্যেষ্ঠ নির্বাচন কর্মকর্তা বরাবর অভিযোগ দায়ের করেন। অভিযোগগুলোর জেলা প্রশাসক ও সমন্বিত জেলা দুদক অফিসে অনুলিপি প্রদান করেছেন।
এর আগে সোমবার বিকেলে ৩ ইউপি মেম্বার প্রার্থী বল প্রতীকের ইয়াছিন আলী, বৈদ্যুতিক প্রতীকের প্রার্থী মোকলেসুর রহমান ও টিউবওয়েল প্রতীক আহসান হাবীব অভিযোগ দায়ের করেন।
দিনাজপুর সদর উপজেলার ১০নং কমলপুর ইউনিয়ন পরিষদের নির্বাচনে রিটার্নিং অফিসারের দায়িত্বে ছিলেন নবাবগঞ্জ উপজেলা নির্বাচন কর্মকর্তা আতাউল হক।
মেম্বার প্রার্থী মকবুল হোসেন চৌধুরী অভিযোগ করেন- ভোটের আগের দিন ৩০ জানুয়ারী রাত ১১টায় রিটার্নিং অফিসার তার লোকমারফত আমাকে ডেকে নেয়।
এসময় তিনি নির্বাচনে জয়ী করে দিবে মর্মে ২ লক্ষ টাকা ঘুষ দাবী করেন। আমি দিতে অস্বীকার করে চলে আসি। ভোটের দিন সকাল সাড়ে ৭টায় ১০নং কমলপুর ইউনিয়নের ৭নং ওয়ার্ডের প্রিসাইডিং অফিসারের কাছে আমার এজেন্টদের নামের তালিকা নিয়ে যাই। কিন্তু প্রিসাইডিং অফিসার আমার কাছ থেকে ৩জন পুরুষ ও ২ জন মহিলা এজেন্টের নাম অন্তর্ভুক্ত করে। অথচ ওই কেন্দ্রে ভোট কক্ষ ছিল ৮টি। সকাল ১১টায় আমি ভোটকেন্দ্রের ঘরে ঢুকতে চাইলে প্রিসাইডিং অফিসার বাধা দেন। অথচ আমার প্রতিদ্ব›দ্বী প্রার্থী রফিকুল ইসলাম ও তার লোকজন ভোটকেন্দ্রের ঘরে অনায়াসে ঢুকতে পারছেন। এছাড়াও দুপুর ১২টায় ইভিএম মেশিনগুলো বন্ধ করে দেয়। আমি ওই ওয়ার্ডে তিনবার টিউবওয়েল প্রতীক নিয়ে নির্বাচন করেছি। আমি রার্নিং মেম্বারও ছিলাম। কিন্তু রিটার্নিং অফিসারকে টাকা না দেওয়ায় আমাকে হারানো হয়েছে।
সংরক্ষিত ৩নং ওয়ার্ডের নারী সদস্য প্রার্থী শাহিনা বেবী অভিযোগ করেন- দায়িত্বপ্রাপ্ত রিটার্নিং অফিসার আতাউল হক ভোটের আগের দিন রাতে আমার কাছে ভোটে জিতিয়ে দিবে মর্মে ৩ লক্ষ টাকা দাবী করেন। আমি দিতে না পারায় আমাকে পরাজিত করা হয়েছে।
রিটার্নিং অফিসার ও নবাবগঞ্জ উপজেলা নির্বাচন কর্মকর্তা আতাউল হক বলেন, আমার বিরুদ্ধে দায়েরকৃত সকল অভিযোগ একইভাবে লেখা হয়েছে। ইভিএম কোন ধরনের কারচুপির সুযোগ নেই। আর আমি কারো কাছে অর্থ চাই নি।
দিনাজপুর জেলা জ্যেষ্ঠ নির্বাচন কমকর্তা শাহিনুর ইসলাম প্রামানিক বলেন, অভিযোগ আমি পেয়েছি। অভিযোগকারীরা অভিযোগের বিষয়ে প্রমাণ দেখাতে পারলে দোষীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
উল্লেখ্য, গত সোমবার দায়িত্বরত রিটার্নিং অফিসার অফিসার ও ২নং ওয়ার্ডের প্রিসাইডিং অফিসার আব্দুল্লাহ আল শামসের বিরুদ্ধে ৩ জন পরাজিত প্রার্থী লিখিত অভিযোগ করেন। অভিযোগে সকলেই রিটার্নি অফিসার ও প্রিসাইডিং অফিসারের বিরুদ্ধে ঘুষ চাওয়ার অভিযোগ করেন।
এই রকম সংবাদ আরো পেতে হলে এই লেখার উপরে ক্লিক করে আমাদের ফেসবুক ফ্যান পেইজে লাইক দিয়ে সংযুক্ত থাকুন। সংবাদটি সম্পর্কে মন্তব্য করতে হলে এই পেইজের নীচে মন্তব্য করার জন্য ঘর পাবেন